লাইফস্টাইলঃ-পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া।
সবাই কেমন আছেন,
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আপনাদের দিনকাল কেমন যাচ্ছে? আশা করি বন্ধুরা আপনাদের দিনকাল বেশ ভালই যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিং নিয়ে যুক্ত আছি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণাঞ্চল কক্সবাজার শহর থেকে। সত্যি কথা বলতে এত দূরে থেকেও দূরে মনে হয় না আমার। কারণ সবার কাছে এত সুন্দর একটি বন্ধুত্ব, এত সুন্দর একটি বাইন্ডিং যেন মনে হয় যে আমরা সবাই সব সময় একই পরিবারের সাথে যুক্ত আছি। মনে হয় না শুধু সব সময় এমনটাই সময় চলে যাচ্ছে সবার সাথে আড্ডা,ভালো মন্দ বিষয় শেয়ার করি। সবকিছু মিলিয়ে যেন আমরা অনেক সুন্দর একটি বন্ধনে আবদ্ধ।
আজকে বন্ধুরা আমি আবার চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে। ভালো লাগে যেকোন ভালো মন্দ বিষয়গুলো সবার সাথে শেয়ার করতে। আবার তাও ভালো লাগে সবার ভালো মন্দ বিষয়গুলো জানতে পেরে। এখানে সব সময় নিজের অনুভূতিগুলো মন খুলে সবার সাথে শেয়ার করা যায় সবচেয়ে ভালো লাগার বেশি হচ্ছে এ বিষয়টি। যেকোনো বিষয়ে সবাই অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেন। আজকে বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বেশ কিছুদিন আগে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করা এবং খাওয়া দাওয়া মুহূর্ত। আপনারা তো জানেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের খুব কাছাকাছি আছি আমি। মন চাইলে যে কোন সময় যাওয়া যায় যে কোন সময় ঘোরাঘুরি করে খাওয়া দাওয়া করে আসা যায়। যেহেতু দূরত্ব অনেক বেশি নয় তাই সময় সুযোগ পেলে যখন মন চাই তখন ছুটে চলে যাওয়া যায়।
আমারও অনেক ভালো লাগে আর বাচ্চারাও যদি যেতে চাই তখন আমি আর না করি না। রেডি হতে যতক্ষণ আর একটা অটো নিয়ে পৌঁছাতে মাত্র পাঁচ আট মিনিটের ব্যাপার। একদিন আমরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে গেছিলাম ঘোরাঘুরি করতে সমুদ্রে। বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করেছিলাম সবাই মিলে। যদিও আমরা সন্ধ্যাবেলায় বের হয়েছিলাম।আমার কেমন জানি সন্ধ্যার মুহূর্তে বের হতে খুব ভালো লাগে। কারণ রোদের মধ্যেই বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করা একদম ভালো লাগেনা। তাছাড়া বাচ্চাদের স্কুল থাকে আর কোচিং থাকে। তাছাড়াও মক্তবে হুজুরের কাছে পড়তে যেতে হয় সব কিছু মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত থাকে। তো আমিও চাই তারা ফ্রি হয়ে যাক আর আমিও ফ্রি হয়ে বিকেলে ঘুরে আসি।
সবচেয়ে বেশি মজার বিষয় হচ্ছে বিকেলবেলা বের হবে চারদিকের পরিবেশ গুলো খুব সুন্দর দেখায় লাইটিং এর মাধ্যমে। আর সমুদ্রের বাতাসগুলো ঠান্ডা ঠান্ডা সেখানে বসে থাকতে ভালো লাগে। আমরা সেদিন সবাই মিলে যখন ঘুরতে যাই তখন সিদ্ধান্ত নিলাম যে কিছু খাওয়া-দাওয়া করবো ফিরার সময়। আসলে বীচে গেলে অনেক কিছু খাওয়া যায়। কারণ সেখানে ঝালমুড়ি পাওয়া যায় তাছাড়া ও বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবারগুলো পাওয়া যায়। এমন সুন্দর বাতাসের মধ্যে বসে ছোলা ভাজা কিংবা বাদাম ভাজা এবং শিম বিচি ভাজা খেতে খুব ভালো লাগে। যখন রাত নয়টা হলো তখন আমরা বীচ থেকে উঠে আসলাম।
তখন আমরা পাশে একটি রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করি। এই রেস্টুরেন্টের নাম হচ্ছে কয়লা রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্ট এর আগেও খাওয়া হয়েছে খাবারগুলো বেশ ভালো লাগছিল। আমরা সেদিন আবারো প্রবেশ করলাম। যেহেতু আগে খাবার খেতে বেশ ভালো লাগছি তাই আবারও একই খাবার অর্ডার করেছিলাম। সেখানে আমরা চিকেন স্পাইসি তান্দুরী অর্ডার করলাম। সাথে আমরা নান রুটি অর্ডার করেছিলাম। এর পাশাপাশি তো সালাদ দেওয়া হয়েছে। আর বাচ্চাদের জন্য অর্ডার করেছিলাম স্ট্রবেরি মিল্ক শেক। তারা এই খাবার খেতে সব সময় পছন্দ করে। তাই তাদের খাবারের তালিকায় স্ট্রবেরি মিল্ক শেক বা নরমালি মিল্ক শেক রাখতে হয় অথবা অন্য কোন জুস দিলে আরো বেশি খুশি হয়।
সবকিছু মিলিয়ে বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছিলাম। খাবার গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগছিল। যেহেতু আগে একবার খেয়েছিলাম তাই আমি দ্বিতীয়বার সেখানে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য যাওয়া। আপনাদের ভাইকে বললাম যে কিছুদিন আগে যেহেতু সেখানে খেয়ে অনেক ভালো লাগলো তাই আবারও যেতে হবে। যে ভাবা সেই কাজ নিয়ে গেলো আমাদেরকে। যেয়ে পছন্দের খাবার অর্ডার দিলেন। বসে আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা বিলগুলো পেমেন্ট করে আবারও সোজা বাসায় চলে আসি। বলতে গেলে বীচে গেলে প্রতিটি মুহূর্ত ভালো কাটে আমাদের।
একটা বিষয় সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কোন বিষয় যখন আপনাদের সাথে শেয়ার করি অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেন। সেই দিক থেকে অনেক বেশি আনন্দিত মনে করে নিজেকে। বন্ধুরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সেই কামনা করি সব সময়।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কয়লা রেস্টুরেন্ট- কক্সবাজার বীচ |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#qualitytime-withfamily #eatingfood #lifestyle #amarbanglablog #steemit #steemexclusive #koyla-restaurant
https://x.com/nahar_hera/status/1796076100776267851?t=2ZFPiI4ybmPZq3QWq6rLEQ&s=19
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে আপু ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা আর সেটা যদি হয় পরিবারের সাথে তাহলে তো তার ফিলিংসটা অন্যরকম। কারণ পরিবারের সবাই একসাথে ঘুরাঘুরি করার মধ্যে একটা অন্যরকম মজা ফিল করা যায়। যেটা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনি দেখছি পরিবারের সাথে ঘোরাঘুরি করলেন এবং বীচের ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস আপনার খুবই ভালো লাগেছিল। তবে বাসায় আসার পূর্বে কয়লা নামক রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করলেন আর এরিই মধ্যে দিয়ে দারুন একটি মুহূর্ত উপভোগ করলেন। অপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
বেশ মজার ছিল খাবার দাবার গুলো। যেহেতু এর আগে একবার খেয়েছি তাই আবারও গেলাম।
আপনার পোস্টগুলোতে মাঝেমধ্যেই দেখি আপনারা সবাই মিলে বাইরে খাওয়া দাওয়া করেন এবং ঘুরতেও যান। আজকে খুব সুন্দর একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন। তবে রেস্টুরেন্টের নামটা শুনে খুব অবাক হলাম। কয়লা রেস্টুরেন্ট নামটা আসলেই অন্যরকম। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা।
ধন্যবাদ আপু আপনি সব সময় আমার পোস্টগুলো পড়েন আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেন সুন্দর মতামতের মাধ্যমে।
সমুদ্রের কাছাকাছি থাকলে আসলেই বেশ ঘুরা হয় আপু।আপনারা পরিবার সহ একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন।রেস্টুরেন্ট টির নাম আসলেই ইউনিক।ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার তো বেশ ভালো লাগে সব সময় চলে যেতে ইচ্ছে করে সময় সুযোগ পেলে।
আমি মনে করি আপনার ভাগ্যটা অনেক ভালো, যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি থাকতে পারছেন। এমনকি চাইলেই বিচে ঘুরতে আসতে পারেন। সবাই মিলে ঘোরাঘুরি করা এমনকি খাওয়া দাওয়া করতে সবারই ভালো লাগে। তবে আপনারা দেখছি রেস্টুরেন্টে এসে বেশি ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। আসলে মাঝে মাঝে বাইরে খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
তা ঠিক আপু সব সময় চলে যেতে পারি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সমুদ্র বোধ হয় এমন একটা জিনিস, যা কখনোই পুরোনো হয় না! নিত্য নতুন রূপ লাগে যেন তা যতবারই দেখা হোক না কেন! আর আসলেই দিনের বেলায় তো ঘোরাঘুরি করার কোন উপায় ই থাকে না! বিকেল বা সন্ধ্যাই ভালো ঘুরোঘুরি করার জন্য। ঘুরতে বের হয়ে রাতে পছন্দের রেস্টুরেন্টে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন সকলে মিলে। দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু বিকেলে ঘুরতে বের হলে একেবারে খেয়ে দেয়ে আসার সুযোগ হয়।
পরিবারের সকলকে নিয়ে কোন কিছু করার মধ্যে একটি আলাদা ভালোলাগা কাজ করতে থাকে৷ যখন পরিবারের সকলে মিলে কোন কিছু করা হয় তখনকার মুহূর্ত কখনোই ভোলার নয়৷ আজকে আপনি আপনার পরিবারের সকলকে নিয়ে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
আপনার মত আমারও আপু সন্ধ্যার দিকে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপু, আপনারা যে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন, সেই রেস্টুরেন্টের নামটা শুনে কিন্তু আমি বেশ খানিকটা অবাক হলাম। রেস্টুরেন্টের এরকম অদ্ভুত নাম আমি আগে কখনো শুনিনি। যাইহোক, ওইখানে গিয়ে যে খাবার গুলো আপনাদের ভালো লেগেছিল এবং পরিবারের সবাই মিলে যে আপনারা সুন্দর সময় কাটিয়েছিলেন, সেটা জেনে খুবই খুশি হলাম।
এই রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো খুবই ভালো লাগছিল। এর আগে একবার খেয়েছিলাম।
আমিও সময় পেলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হই। আর সাথে তো খাওয়া দাওয়া আছেই। আপনাদের ঘোরাঘুরির মুহূর্ত এবং খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন দেখে বেশ ভালো লাগলো। সবাই মিলে বেশ মজা করেছেন বুঝতে পারছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
ঘোরাঘুরি করা খাওয়া দাওয়া অনেক ভালো লাগে। আপনি সময় দিয়ে আমার ব্লগ ভিজিট করলেন ধন্যবাদ।