এলোমেলো কাটানো একটা দিন
নমস্কার,,
ভেবেছিলাম বাড়িতে এসে কয়েকটা দিন বেশ আরামে কাটবে। পেট ভরে খাব আর ঘুমাবো। তিন দিন সব রকম চিন্তা থেকে দূরে থাকবো একদম। কিন্তু সেই উপায় আর এবার হলো না। মূল সমস্যা হলো এই তীব্র গরম নিয়ে। গরমের মাত্রা এতোটাই বেশি যে শুয়ে থাকার উপায় নেই এক ফোঁটা। কোন কিছু খেয়েও যেন শান্তি পাচ্ছি না। কোথায় গেলে শান্তি পাব এটা যেন বার বার মাথার ভেতর চক্কর দেয়। অন্যদিকে আকাশে মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টির দেখা নেই। যার কারণে ভ্যাবসা গরমটা আরো বেশি।
আলসেমি করেই দিনটা কাটছিল। ও হ্যাঁ এর আগের দিন আবার ভাগ্নে ফোন করে যেতে বলেছিল। প্রায় তিন মাস ওদের সাথে দেখা নেই। আমি মজা করে বলেছিলাম ভাগ্নেকে যে আমাকে যদি কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ পাঠাও তবেই আমি যাব। ছেলেটা একটা কাগজে লিখে আমাকে নিমন্ত্রণের ছবি পাঠিয়েছে ফোনে। আর বাড়ির সবাইকে ঢোল পিটিয়ে দিয়েছে যে মামা আসছে। এদিকে আমি কিছুই জানি না। ওদিকে দিদি রান্না করে বার বার ফোন করছে যে কখন আমি পৌঁছাব। কিছুই করার নেই আর। ঐ গরমের ভেতরেই ভর দুপুরে রওনা দিলাম দিদির বাড়ি। প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যেই যাওয়া যায় আমার বোনের বাড়ি। সামনে আবার জামাই ষষ্ঠী। এক সাথে নিমন্ত্রণ টাও করা হয়ে যাবে।
এটা সত্যি যে অনেক দিন পর ভাগ্নেকে কাছে পেয়ে খুব ভালো লাগছিল। ওর নতুন স্কুলের গল্প শুনছিলাম। কিন্তু সব কিছুর পরেও গরমটা যেন বার বার অস্বস্তি দিয়ে যাচ্ছিল। যাই হোক দুপুরের খাবার খেতে খেতে প্রায় বিকেল। তারপর ছাদে গিয়ে কিছুক্ষণ বোনের সাথে গল্প করলাম। আমাকে থাকার জন্য অনেক জোরাজুরি করলো সবাই। কিন্তু আমিও নাছোড় বান্দা। দুই দিনের ছুটিতে এসে মায়ের কাছে ছাড়া কোথাও আমি থাকব না। হিহিহিহি। শেষমেষ সন্ধ্যার পর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। হঠাৎ করে দেখি গাড়ির জানালা দিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা শরীরে পরছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আমি হালকা করে জানালা টা খুলে রাখলাম। বৃষ্টির ঐ শীতল পরশে শরীর টা মৃদু ভেজাতে বেশ ভালো লাগছিল এক কথায়।
আর এভাবেই একটা দিন যেন চোখের পলকে শেষ হয়ে গেল। মনে হলো যেন কিছুই করতে না করতেই দিন শেষ। এবার একটি শান্তির ঘুম চাই। কিছুটা হলেও আবহাওয়া টা ঠান্ডা হয়েছে। এলোমেলো কাটানো একটা
আরে বাহ! বৃষ্টি পেয়েছেন, আপনি তো লাকি দাদা!! যেহেতু বৃষ্টিতে আবহাওয়া টা কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে, তাতে আশা করছি রাতে ঘুমটাও শান্তিতে ই হবে আপনার। আর আপনার ভাগ্নের বুদ্ধি এবং কান্ড শুনে বেশ হাসি পেলো!! 😂😂 এমন বুদ্ধি করেছে, না যেয়ে আর উপায় রাখে নি আপনার।
ঘুম টা শেষে সত্যিই অনেক ভালো হয়েছিল দিদি। আর এখনকার বাচ্চাদের বুদ্ধির সাথে পেরে ওঠা সত্যিই অনেক কঠিন 😊
সত্যিই গরম এতোটাই পরেছে স্বস্তি মিলছে না কোথাও।ভাগ্নে তো ভালো ই করেছে কার্ড দিয়ে নিয়ে গেলো আপনাকে।সবকিছুর পরে সময়টা ভালো ই কেটেছে বলতে হয়।বৃষ্টি নামলো ফেরার পথে।এবার স্বস্তির ঘুম ঘুমাতে পারলেন।
ভাগ্নের মাথায় দুষ্টুমির বুদ্ধি গিজ গিজ্ করছে একদম আপু। হাহাহাহা,, তবে ভালো ছিল সময় টা। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রচন্ড গরমে আসলেই দিনের বেলা ঘুমানোর যে তৃপ্তি টা সেটা আর নাই। আপনার সেই ইচ্ছাটা মনে হয় ভালোভাবে পূরণ হয়নি। মামা ভাগ্নের সম্পর্ক অনেক মধুর বোনের বাড়িতে নিমন্ত্রণ সেখানে না যেয়ে থাকাটাই যেন অস্বস্তির বিষয়। অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।