কবিতা আবৃত্তি📢 প্রতিযোগিতা|| পাহাড় চূড়ায়-সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় || 10% beneficiary for shy-fox||
২৮ চৈত্র ১৪২৮ ; মঙ্গলবার।
কবিতাটির আবৃত্তি ভিডিও নিচে প্রদত্ত হলোঃ
পাহাড় চূড়ায়
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
অনেকদিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কেনার শখ।
কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে তা জানি না।
যদি তার দেখা পেতাম,
দামের জন্য আটকাতো না।
আমার নিজস্ব একটা নদী আছে,
সেটা দিয়ে দিতাম পাহাড়টার বদলে।
কে না জানে, পাহাড়ের চেয়ে নদীর দামই বেশী।
পাহাড় স্থানু, নদী বহমান।
তবু আমি নদীর বদলে পাহাড়টাই
কিনতাম।
কারণ, আমি ঠকতে চাই।
নদীটাও অবশ্য কিনেছিলামি একটা দ্বীপের বদলে।
ছেলেবেলায় আমার বেশ ছোট্টোখাট্টো,
ছিমছাম একটা দ্বীপ ছিল।
সেখানে অসংখ্য প্রজাপতি।
শৈশবে দ্বীপটি ছিল আমার বড় প্রিয়।
আমার যৌবনে দ্বীপটি আমার
কাছে মাপে ছোট লাগলো। প্রবহমান ছিপছিপে তন্বী নদীটি বেশ পছন্দ হল আমার।
বন্ধুরা বললো, ঐটুকু
একটা দ্বীপের বিনিময়ে এতবড়
একটা নদী পেয়েছিস?
খুব জিতেছিস তো মাইরি!
তখন জয়ের আনন্দে আমি বিহ্বল হতাম।
তখন সত্যিই আমি ভালবাসতাম নদীটিকে।
নদী আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিত।
যেমন, বলো তো, আজ
সন্ধেবেলা বৃষ্টি হবে কিনা?
সে বলতো, আজ এখানে দক্ষিণ গরম হাওয়া।
শুধু একটি ছোট্ট দ্বীপে বৃষ্টি,
সে কী প্রবল বৃষ্টি, যেন একটা উৎসব!
আমি সেই দ্বীপে আর যেতে পারি না,
সে জানতো! সবাই জানে।
শৈশবে আর ফেরা যায় না।
এখন আমি একটা পাহাড় কিনতে চাই।
সেই পাহাড়ের পায়ের
কাছে থাকবে গহন অরণ্য, আমি সেই অরণ্য পার হয়ে যাব, তারপর শুধু রুক্ষ
কঠিন পাহাড়।
একেবারে চূড়ায়, মাথার
খুব কাছে আকাশ, নিচে বিপুলা পৃথিবী,
চরাচরে তীব্র নির্জনতা।
আমার কষ্ঠস্বর সেখানে কেউ শুনতে পাবে না।
আমি ঈশ্বর মানি না, তিনি আমার মাথার কাছে ঝুঁকে দাঁড়াবেন না।
আমি শুধু দশ দিককে উদ্দেশ্য করে বলবো,
প্রত্যেক মানুষই অহঙ্কারী, এখানে আমি একা-
এখানে আমার কোন অহঙ্কার নেই।
এখানে জয়ী হবার বদলে ক্ষমা চাইতে ভালো লাগে।
হে দশ দিক, আমি কোন দোষ করিনি।
আমাকে ক্ষমা করো।
পাহাড় চূড়ায় কবিতাটির ভাবার্থঃ
কবিতায় কবি তাঁর নিজের জীবনের ছোটবেলা থেকে শুরু করে শেষ জীবন অব্দি সবকিছু তুলে ধরেছেন। কবিতায় মূলত কবিতার শিশুকাল কেমন কাটছে, যৌবন কাল কেমন কেটেছে এবং তার বৃদ্ধ বয়স কেমন কাটছে সে সম্পর্কে লিখেছেন। সে তার শিশু কালকে ছোট একটি দ্বীপ এর সাথে তুলনা করেছেন। এখানে তো আর দীপ ছোট হলেও তার দিকে ছিল রঙিন স্বপ্ন। তার স্বপ্ন গুলোকে তিনি প্রজাপতির সাথে তুলনা করেছেন। কবি এখানে তার শিশুকাল যে আনন্দের ছিল এবং তাতে তিনি অনেক সুখী ছিলেন।
যৌবন কালকে কবি এখানে নদীর সাথে তুলনা করেছেন, কেননা যৌবন মানুষের জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। যৌবনে তার জীবন অনেক সুখে সমৃদ্ধ ছিল। যৌবনের মানুষ সবকিছু অর্জন করে। কিন্তু তারপরেও এই যৌবন মানুষের চিরস্থায়ী নয়, তাই কবি এখানে যৌবনকে প্রবাহমান নদীর সাথে তুলনা করেছেন। কারণ এই যৌবন পেরিয়েই একদিন সবাইকে বৃদ্ধ বয়সে পদার্পণ করতে হইবে।
*কবি এখানে তার বৃদ্ধ বয়সকে পাহাড়ের সাথে তুলনা করেছেন। কবির মতে বৃদ্ধ বয়স পাহাড়ের মত স্থবির। এই বয়সে এসে সবাই থেমে যায়। কেউ চাইলেও আর সেই যৌবন ও শিশুকাল থেকে যেতে পারে না। এই বৃদ্ধ বয়সে মানুষ একাকীত্বে ভোগে। এই বৃদ্ধ বয়সে সবাই ছেড়ে যায়। বৃদ্ধ বয়সে এসে সকলেই একাকীত্বে ভোগে সে বিষয়টি কবি কবিতায় তুলে ধরেছেন।
বিভাগ | বিবরণ |
---|---|
কবিতার নাম | পাহাড় চূড়ায় |
কবির নাম | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের |
আবৃত্তিকার | @karuna21 |
ডিভাইস | Realme C21Y |
স্থান | নীলফামারী, বাংলাদেশ। |
আমার বাংলা ব্লগ বাসি এতক্ষণ আমার আজকের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার আজকের কবিতা আবৃত্তি আপনাদের কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আবারো ধন্যবাদ এতক্ষণ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার পোস্টটি এখানেই শেষ করছি।
আপনার কবিতা আবৃত্তি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই, অনেক সুন্দর করে আপনি কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন, এভাবেই সামনে এগিয়ে চলেন ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন ।যেটা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে ।আপনার কন্ঠ খুব ভালো লাগলো কবিতাটি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কবিতাটি আবৃত্তি করতে সক্ষম হয়েছেন ভাইয়া। আপনার কন্ঠে কবিতাটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনার পোষ্টের সামান্য পরিমাণে ভুল রয়েছে যদি পারেন সংশোধন করে নিবেন
অনেক ধন্যবাদ আমার ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
বাহ দারুণ। পাহাড় চূড়ায় কবিতা টা অনেক সুন্দর আবৃত্তি করেছেন আপনি। শুনে শরীরের মধ্যে শিহরণ সৃষ্টি হচ্ছিল। এবং আবৃত্তি করেই ক্ষান্ত হন নাই কবিতাটার ভাবাঅর্থ নিজের মতো করে তুলে ধরছেন। অনেক ভালো ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা।।
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাই দারুন কবিতা আবৃত্তি করেছেন আপনি। সত্যিই আপনার গলায় জাদু আছে। আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে আপনার আবৃত্তি। তবে প্রদত্ত তথ্যে একটু ভুল করেছেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় হবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। দয়া করে ঠিক করে নেবেন
আপনি অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন তাই আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাই আপনার আবৃত্তিটি শুনে খুবই ভালো লাগলো। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনি এই কবিতাটির ভাবার্থ খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এজন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাই। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য অবিরাম।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি খুবই চমৎকার একটা কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। কবিতাটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
ভাই আপনার কন্ঠে কবিতাটি খুবই সুন্দর লাগছে। আর আমার কাছে আপনার এই কবিতাটি আবৃত্তি করা অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। আর আপনাকে এই এই কনটেস্ট অংশগ্রহণ করার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আর আপনার জন্য অনেক ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
আপনি সম্ভবত কবির নাম ভুল দিয়েছেন পরিচিতির মধ্যে একটু চেক করে নিন