স্বরচিত কবিতা - বস্তির ছেলে
মানুষের জীবনটা আসলে অন্যরকম। কেউ সব কিছু পেয়েও জীবনের আসল সুখটাকে খুঁজে পায়না আবার কেউ কেউ জীবনে কোনো কিছু না পেয়েও খুশি। আমরা অনেকেই এমন, আমরা যে অবস্থায় থাকি না কেন সেই অবস্থাতেই থেকেই কখনো শুকরিয়া আদায় না করে উপরের দিকেই তাকাই। কিন্তু একবার চিন্তা করে দেখুন বস্তির মানুষ গুলো কিভাবে তাদের জীবন যাপন করছে?
একবেলা খেলে অন্য বেলা চিন্তায় তাদের সময় পার করতে হয়। তাদের জীবনে গোপন গল্পগুলো জানলে হয়তো আমরা মনে করব যে আমরাই প্রকৃত সুখী । কেননা,,, সবকিছু যেমনই হোক এক বেলা খাবারের কষ্ট কখনো করিনি।
প্রকৃতপক্ষে এটাই নিয়ম নিজে কি পেয়েছি না পেয়েছি সেটা না দেখে নিচের দিকে তাকানোর। আমার থেকেও যারা খারাপ অবস্থায় আছে তাদেরকে নিয়ে ভাবার। তাহলে হয়তো জীবনে প্রকৃত সুখী হওয়া সম্ভব। এমনি কিছু বিষয়বস্তু নিয়ে আমার আজকের লেখা কবিতা। আজকে আমি বস্তির ছেলে নামে একটি কবিতা কিছু লাইন লিখেছি ও মনের অনুভূতি দিয়ে মনের কথা গুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার লেখা কবিতার লাইন গুলো ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক.......
বস্তির ছেলে |
---|
বস্তি আমার জাত।
দিন রাত কেটে যায় আমাদের
শুধু এক মুঠো জোটাতে ভাত ।
এগ্রাম ওগ্রাম আর শহর,
বোতল, শিশি,ছেঁড়া জুতা, কুড়াতেই
পেরিয়ে যায় কত প্রহর।
আরেক বেলার চিন্তায়,
পেটের দায়ে করে বসে কেউ
ডাকাতি বা ছিনতাই ।
বুঝবে কি অন্য কেউ?
ভাত খেতে ভাত পায় না মোরা
তারা লালন করে দামি কুকুর,
দেখলেই করে ঘেউ ঘেউ।
ছুটে যায়, স্যার দুইটা টাকা দেন!
পড়ালেখা করিস না,কাজ করিস না,
ভিক্ষা করিস ক্যন ?
নাই আমাদের লাজ,
দোকানে গ্যারেজে গেলেও বলে
যা যা নাই দেয়ার মত কোনো কাজ।
পেলাম না তো কিছুই,
দালান কোটায় তাকালে বলে
তাকিয়ে থাক শুধু নিচুই।
শুধু নামে বস্তা পার্টির দল,
সারা জীবন মোদের কাটবে এভাবেই
চোখে ঝরবে শুধু জল।
এই কাঁধেরই বস্তার মাঝে,
যদি কারো কখনো দয়া হয় খুলে দেখবেন
রেখেছি ওই পলিথিনের ভাঁজে।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_

আপু খুব সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আজকে কবিতা লিখেছেন আপনি।আমরা যে যেই অবস্থানে আছি,সেখান থেকে শুকরিয়া আদায় করিনা।উপরের দিকে তাকায় অথচ আমাদের থেকেও খারাপ অবস্থানে হাজার হাজার মানুষ রয়েছে।তাদের জীবন অনেকটা কঠিন,স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।তাই আমাদের সকলের উচিত শুকরিয়া আদায় করা নিজেদের অবস্থান নিয়ে।কবিতার লাইন গুলো বাস্তবিক এবং হৃদয় ছোঁয়া ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কবিতার টপিকটা খুব চমৎকার ছিল, এদের নিয়ে সচরাচর খুব একটা লেখা লিখি হয় না, তাও আবার কবিতার মত জায়গায় তাদেরকে স্থান দেয়া হয়েছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম চমৎকার একটি কবিতা লেখার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে অসাধারণভাবে একটি কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা কবিতাটি পড়তে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে বস্তির মানুষকে নিয়ে এত সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন আমার কাছে বেশ অসাধারণ লেগেছে। আসলে বস্তির মানুষের খাবার জুটাতে রাত দিন কেটে যায় এটা একদম সত্য কথা। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দিদি আপনার কবিতার প্রত্যেকটি লাইন খুব অসাধারণ ছিল আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সত্যিই তাদের একবেলা খাবার জুটলে অন্য বেলার জন্য পথে পথে ঘুরতে হয়। বোতল,শিশি, গুছিয়ে মানুষের কাছে হাত পেতে তাদের জীবন চালাতে হয়। আমাদের সবার এই বস্তির মানুষের পাশে এগিয়ে আসা। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর কবিতা লেখেন। আজকের কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে। কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, বস্তির ছেলে এই কবিতাটি অনেক ভালো লেগেছে আমার।
অসহায় মানুষদের নিয়ে অনেক সুন্দর চিন্তা ভাবনা করেছেন। আর সে চিন্তা ভাবনা থেকে উঠে এসেছে মনের মধ্যে আজকে আপনার এই কবিতার লাইনগুলো। কবিতাটা অনেক ভালো ছিল এবং এর মধ্য দিয়ে মানুষকে সজাগ করার একটি প্রয়াস জুগিয়েছেন। খুশি হলাম বস্তির অসহায় ছেলে মেয়ে ও মানুষকে নিয়ে লেখা সুন্দর কবিতা পড়ে।
আপু আপনার স্বরচিত কবিতা "বস্তির ছেলে" বাস্তবতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বেশ সুন্দর করে এই কবিতাটিতে আপনি আপনার মনের ভাব ব্যক্ত করেছেন। আসলে বস্তিতে যারা বসবাস করে তাদের জীবনটাই বুঝি এরকম হয়। দুবেলা ভাতের জন্য বস্তির ছেলের হাতে সব সময় বস্তা থাকেই। আপনার কবিতাটি অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে।
খুবই অর্থবহ একটি কবিতা শেয়ার করেছেন আপু। কবিতার নামকরণ এবং কবিতার প্রতিটি লাইনের গভীরতা অনেক অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সর্বদা।