স্বরচিত কবিতা - এম্বুলেন্স
সত্যিই তো তাই, এম্বুলেন্স হাজারো সত্য মিথ্যার সাক্ষী। আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি কত মৃত্যুর মিছিল হয় অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে। কত ধরনের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় এম্বুলেন্স এর ভেতরে করে। দূর-দূরান্ত থেকে শহরের পর শহর ও দূরে , কত এম্বুলেন্স কত পরিস্থিতির সাক্ষী। কত মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারে অ্যাম্বুলেন্স, কত মানুষের প্রাণকে আবার ছিনিয়েও নিতে পারে।
একমাত্র সময়ের তাগিদে। সময়মতো পৌঁছাতে পারলে হয়তো ওই মানুষটা বেঁচে যেত। এটাই বলে মানুষ। কিন্তু কি মৃত্যু কখনো সময়ের অপেক্ষা করে? যার মৃত্যু নির্ধারিত হয়ে যায় সে কখনো সময়ের অপেক্ষা করে না।
মৃত্যু যখন নির্ধারিত হয়ে যাবে সেদিন তাকে মরতেই হবে। পৃথিবীর কারো কোন শক্তি নেই তাকে আটকে রাখার। অ্যাম্বুলেন্স যত দ্রুতই হাসপাতালের দিকে ছুটে যাকনা কেন, সময়ের কাছে হেরে যাবেই নিথর দেহ। আর এমনি কিছু বিষয়বস্তু নিয়ে আমার আজকের লেখা কবিতা। আজকে আমি এম্বুলেন্স নামে একটি কবিতা কিছু লাইন লিখেছি ও মনের অনুভূতি নিয়ে মনের কথা গুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার লেখা কবিতার লাইন গুলো ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক.......
এম্বুলেন্স |
---|
আমি নিষ্ঠুর, আবার আমিই দেহ চোর,
আমি মায়া, আমি কায়া,
আমিই আবার কখনো কখনো
হতে পারি মৃত্যুর যাত্রীবাহী ছায়া।
আমি ঠান্ডা এসির ঘর।
আমি কারো কারো নিভাই মনের জালা, আবার...
কারো মনে লাগাই কঠিন তালা।
আমি কঠিন সময়ের ভীর,
আমি হঠাৎ হায়ে যায় নিষ্ঠুর
আবার কখনো বা ঘুষ খোর।
তবে সবার বেলা নয়,
পরিস্থিতির শিকার হলেই
সবাই আমায় মনে লয়।
করে মৃত্য কাতরে ছটফট,
সময় তখন থাকে অনেক দামি
যদি ফাঁকা না থাকে পথ।
রক্তাক্ত পরে থাকে,
হঠাৎ হঠাৎ নিথর দেহ গুলো
পিছু থেকে আমায় ডাকে।
শুনেও শুনিনা, থাকিনা পাতিয়া কান।
কারণ আমার যে রাখতে হবে
শক্ত করে ধরে আমার মান।
সাক্ষী হয়ে থেকে যায়,
দিন, বছর, আজীবন।
কারো আবার কঠোর কষ্টের সময়
কেড়ে নেই তার মন।
আমি দেখেছি হাজার লাশের ছায়া।
তবুও আমি চুপ কারন আমি এম্বুলেন্স...
আমার নেই যে কোনো মায়া।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_

জন্ম নিলেই মৃত্যুর স্বাদ একদিন না একদিন গ্রহণ করতেই হবে এটাই বাস্তব। একটা মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে এই এম্বুলেন্স আবার এই এম্বুলেন্সর অভাবে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। 24 ঘন্টা আমাদের সেবা করে যাচ্ছে এই এম্বুলেন্স। দিদি আপনার স্বরচিত কবিতা এম্বুলেন্স পরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্যে।
প্রতিটি মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে এটা চিরন্তন সত্য। একটি অ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে মানুষ অনেক সেবা পেয়ে থাকে। তবে মানুষের হায়াত এই পৃথিবীতে যতদিন থাকবে ততদিনই সেই মানুষটি রবে এই পৃথিবীতে।
সেখানে অ্যাম্বুলেন্স এর কোন হাত নেই, যে সময়ের স্বল্পতার জন্য সেই মানুষটি চলে গেল এরকম ধারণা অনেকের।অনেক ভালো লাগলো আপু কবিতাটি।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।