লোভনীয় কিছু আচারের ফটোগ্রাফি-😋😋।।

আচাঁর এমন একটি খাবার যেটা দেখলে সবার লোভ লাগে,সবার নজর আকর্ষন করে। আচাঁরের নামটা শুনলেই কেমন যেন মুখে জল চলে আসে, এটা কিন্তু কেউ ইচ্ছে করে করতে পারে না। অটোমেটিক প্রাকৃতিক ভাবে এরকম হয়। আমি ব্লগটি লেখার সময় কিভাবে যেন আমার জিহ্বেও জল চলে আসলো,হা হা হা। আমিও কিন্তুু আচার খেতে খুবই পছন্দ করি। অফিসে আসা যাওয়ার সময় কোথাও আচার বিক্রয় করতে দেখলে দশ টাকার হলেও কিনে খায়। রাস্তার খাবার তো তাই লোভ থাকে বেশি। তবে ছেলেদের টক জাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভালো। কিন্তু কে মানতে চাই এসব নিয়ম কানুন।

আজকে আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে যাচ্ছি, এগুলো কিছুদিন আগে আমাদের বাসার পাশের এক মেলা থেকে নিয়েছিলাম। এটা একটি সাপ্তাহিক মেলা ছিল। প্রতি সাপ্তাহে রবিবারে মেলাটি বসে। আমাদের বাসা থেকে দশ টাকা ভাড়া নেয় মেলাতে যেতে। একটি খেলার মাঠে বিভিন্ন দরকারি জিনিষ নিয়ে মেলাটি বসে। মোটামুটি অনেক আইটেমই মেলাতে উঠেছিল। মেলা মানেই হরেক রকম জিনিষের বাজার। কিন্তুু আমার নজর পড়েছে সেই আচারের দিকে। চলুন তাহলে আপনাদের নজরকেও আচারের দিকে নিয়ে যায়।

মরিচের আচার-😋

জীবনে কত আচার দেখলাম ও খেলাম তবে মরিচের আচার ঐদিন প্রথম দেখলাম। মানুষ মরিচ দিয়েও আচার বানিয়ে খায় সেটা না দেখলে বুঝতে পারতাম না। আমি তো তরকারিতে একটু ঝাল বেশি হলে খেতে পারি না। আর এখানে মরিচ দিয়ে আচার বানিয়ে বিক্রয় করে। যারা অতিরিক্ত ঝাল খোর তাদের জন্য এই আচার। মন চাইছিলো যারা বেশি চামচামি করে তাদের ধরে এই মরিচের আচার খাইয়ে দেয়,হে হে হে।

বাদামের আচার-😋

এই বাদামের আচারটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে আর ভালোও লেগেছে। এটা স্বাস্থসম্মত ও ভিটামিন যুক্ত আচার। বাদাম আমি এমনিতেও খেয়ে থাকি। যেদিন হোটেলে লাঞ্চ করি সেই দিন দশ/বিশ টাকার বাদাম কিনে অফিসে প্রবেশ করি। কাজের ফাঁকে বাদাম খেতে দারুন লাগে। এই আচারটা শেষের দিকে ছিল,ভালোই চাহিদা দেখলাম। এটা বেশি পরিমানে সেল হয়েছে।

চেরি ফলের আচার-😋

এটা চেরি ফলের আচার। এটা খুবই ভালো আচার তবে সবাই চিনে না। কোন একটি বিষয়ে না জেনে খাওয়াও যায় না। এই আচারটা কিন্তুু সহজ পদ্ধতিতে বানানো যায়। একটি কড়াই বা প্যানে তেল গরম করে আস্ত পাঁচফোড়ন ও তেজপাতা দিয়ে বাটা বা ব্যালেন্ডার করা মসলাগুলো ও মরিচ গুঁড়াসহ কষিয়ে নিতে হয়। তারপর চেরি ফল গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ আরও কষিয়ে ভিনিগার দিয়ে মিশিয়ে ঢেকে দিতে হয়। তারপর মাঝারি আঁচে কিছুক্ষন রান্না করুন। চেরি সিদ্ধ হয়ে গেলে তা চামচ দিয়ে ভেঙে ভালো করে মসলার সঙ্গে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। আর যদি মিষ্টির জন্য চিনি দিতে হয় তবে এই সময় দিতে হবে। চিনি গলে গেলেই চেরি ফলের আচার হয়ে যায়,আহ কি স্বাদ....।

আমলকির আচার-😋

আমালকির আচারটাও আনকমন। আমলকি আমাদের শরীরের জন্যও অনেক উপকারি। এখানে আমলকির কালারটা কেমন যেন চেইন্জ হয়ে গেছে। কেউ আবার বরই আচার মনে করে ভুল করবেন না। তারা আচারে যে পরিমানে মসলাপাতি দিয়ে থাকে,ঘ্রানেরেই ক্রেতারা মুগ্ধ হয়ে যায়। আমি আমলকি কাঁচা খায়,তবে কখনো আচার খায়নি। এই বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা কম। আপনাদের অভিজ্ঞতা কেমন,জানাবেন।

খেজুরের আচার-😋

এটা সম্ভবত খেজুরের আচার বলেছিল। আমার নামটা ঠিক মনে পড়ছে না। খেজুর গুলো ব্যালেন্ডার মেশিন দিয়ে দিয়ে গুঁড়ো করে তারপর বিভিন্ন মসলাপাতি দিয়ে মিক্স করে আচারটি তৈরী করা হয়। দেখেই কেমন লোভ লাগছে। খেজুর দিয়ে আচার বানিয়ে খাওয়ার কথা আমি কখনো কল্পনাও করি নাই। অথচ তারা অনেক আগে থেকেই সেটা বানিয়ে বিক্রয় করতেছে। বাসা থেকে বের না হলে অনেক কিছুই অজানা থাকে।

কাঁচা আমের আচার-😋

এটা কাঁচা আমের আচার। এই আচারটা সব থেকে বেশি লোভনীয় লাগছে। অনেকে আবার কাঁচা আমের চাটনি আচারও বলতে পারেন। এখন আপনারা বলেন এই আচার দেখলে কার খেতে মন না চাইবে। আমার তো মন চাইছিলো সবটা এক সাথে কিনে নিয়ে আসি। কিন্তু এত আচার একবারে খেলে বাচঁবো কিনা সন্দেহ....। এখন তো আমের সিজন চলতেছে,সবার ঘরেই কম বেশি আমের আচার তৈরী করা হয়ে থাকে।

বন্ধুরা কেমন লাগলো লোভনীয় আচারের ফটোগ্রাফি গুলো,আশা করি কমেন্ট করে মতামত শেয়ার করবেন। আমি জানি আমাদের কমিউনিটিতে অনেক আচারের লাভার রয়েছে। আশা করি সবার ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আজকে আর বাড়াচ্ছি না,এখান থেকেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।