আসুন ব্যায়াম শিখি, প্লে-শ্রেণীর চঞ্চল বাচ্চাদের কাছে
আজ - শুক্রবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আপনারা অনেকেই জানেন ভিন্ন ধর্মি পোস্ট করা আমার কাজ। তাই বলে থাকি 'সুমন মানে নতুন কিছু সময় মানে ইউনিক পোস্ট'। আর এই কথাটি মাথায় রেখেই আমি আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে হয়তো অনেক আনন্দ বোধ করতে পারবেন, পারবেন অতীতের স্মৃতিতে ফিরে যেতে। হয়তো এটাও স্মরণ করতে পারবেন আপনার শৈশবকাল কেমন কেটেছে। শৈশবের স্কুল লাইফ কেমন ছিল, কিছুটা হয়তো স্মরণ করতে পারবেন। আসলে আমাদের সোনালী দিন গুলো কবে যেন হারিয়ে ফেলেছি তাই এ সমস্ত বাচ্চাদের নিয়ে পুনরায় অতীতের স্মৃতির পাতায় ফিরে যাই কিছুটা সময়ের জন্য। যাই হোক আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন মেইন পয়েন্টে ফিরে যায়। স্কুলের ছোট বাচ্চাদের দারুন কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে ক্ষণিকের জন্য হলেও স্মরণ করতে পারব আমাদের সেই ছোট্টবেলার স্মৃতিগুলো।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
শারীরিক ব্যায়াম করে দেখানোর মুহূর্ত
তৃতীয় পেরোডে ক্লাস নেওয়ার জন্য প্লে-শ্রেণীতে প্রবেশ করেছিলাম। প্লে-শ্রেণীর বাচ্চাদের ক্লাস নেয়ার জন্য এই সাধারণ জ্ঞানের ক্লাসটি আমাকে দিয়েছে পরীক্ষা করার জন্য। তবে আমি এই ক্লাসটি নিতে যে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত বোধ করি এবং সবচেয়ে বেশি আনন্দ বোধ করে থাকি।
এই শ্রেণীতে প্রবেশ করার পর সকলের মাঝে প্রশ্ন করলাম আজকে কি পড়া দিয়াছিল। একটি ছেলে শান্তভাবে বই দেখে পড়া বের করে বইটি হাতে করে আমার দিকে আসছিল।
সে এতোটুকু বাচ্চা হওয়া সত্ত্বেও তার পড়া ঠিক রেখেছে এবং বের করে দেখাতে পারছে দেখি আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম এবং সামনে দাঁড় করিয়ে এই ফটোটি উঠেছিলাম।
ওই ছেলেটার দেখাদেখি মোঃ আবির নামের ছেলেটি ফটো উঠানোর জন্য পড়া বের করে নিয়ে আমার সামনে উপস্থিত হল এবং বাচ্চাটা বলল স্যার এবার আমার ফটো উঠান। অনেকটা আনন্দবোধ করলাম এবং তারও ফটো উঠালাম।
কিছুটা সময় খুব ভালোভাবে তাদের পড়াচ্ছিলাম হঠাৎ করে তাদের মাথায় কি ভূত চাপলো তাকে কে জানে। আমাকে এক জন বলে উঠল স্যার ও স্যার ব্যায়াম শিখবেন? কোন উত্তর দেওয়ার আগেই তারা লাফাতে লাফাতে সামনে এসে শুরু করে দিল।
আমি তাদের খুব চেষ্টা করেছিলাম কন্ট্রোল করে পুনরায় মনোযোগ দিয়ে পড়ানোর জন্য কিন্তু কোন ভাবেই তা সম্ভব হলো না। বরং তাদের থেকে একজন বলে উঠলো আপনি আমাদের পড়া শেখান আমরা আপনাকে ব্যায়াম শিখাবো। নাও ঠেলা! কন্ট্রোল করা বড় কঠিন।
যখন তাদের আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না হাল ছেড়ে দিলাম। তারা ইচ্ছে মতো ব্যায়াম করছে, আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখলাম আর হাসছিলাম হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো ফটো উঠানোর। তাই আপনাদের কথা ভেবে আর দেরি না করে তার মধ্য থেকে কয়েকটি ফটো উঠেছিলাম। আল আরাফ নামের ছেলেটি এসে বারবার বলতে থাকলো ও স্যার স্যার আমার শক্তি দেখো। শুধু হাঁসি মুখে চেয়ে চেয়ে দেখতেই থাকলাম আর শিখতে থাকলাম তাদের থেকে! আপনারাও শিখে নিন, আশা করি কাজে লাগবে।
কিছুটা সময় পরে তারা টায়ার্ড হয়ে গেল। ওদের প্রশ্ন করলাম: কি হলো থেমে গেলে কেন? উত্তর পেলাম হাপিয়ে গেছি। আপনি শিখেছেন? ও স্যার আপনি এখনো শেখেননি! ওই শোন স্যার এখনও ব্যায়াম শিখতে পারেনি! শেষমেষ আমি ভাবলাম এত দুঃখ রাখবো কোথায়। তাদের বললাম খুব সুন্দর করে ব্যায়াম শিখিয়ে দিয়েছো আমাকে আমি বাড়িতে যে প্র্যাকটিস করে এসে কালকে তোমাদের দেখাবো তবে একটি শর্ত আছে যদি আমার দেওয়া পড়া গুলো ঠিকভাবে পড়ে আসো তবেই দেখাবো। আর যদি না পারো তাহলে আমি দেখাবো না। তার কিছুক্ষণ পর ঘন্টা বেজে গেল, এভাবেই এই ক্লাসটি সমাপ্ত হলো।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ভাইয়া আপনার করা ফটো গ্রাফি গুলো দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় এরকম অনেক আনন্দ করতাম। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এখন সবকিছু স্মৃতি হয়ে রয়েছে। আপনার ফটো গ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার এত সুন্দর কমেন্ট পড়ে খুব খুশি হলাম।
ভাইয়া, আপনার লেখা পড়ে হাসতে হাসতে আমি শেষ।সত্যিই বাচ্চাদের দুস্টুমি মাঝে মাঝেই অনেক আনন্দ দেয়।ছোটবেলায় আমরাও স্কুলে এইরকম ব্যায়াম করতাম।আর মাঝে মাঝেই বাচ্চাদের কাছে বাধ্য ছেলের মতো অনেক কিছু শিখতে হয় তাদের মুখের আনন্দের জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে।
এভাবেই দিন চলছে আপু,ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমিও ফিরে এলাম শৈশব থেকে। আর মনে মনে অনুতপ্ত হলাম, হ্যাঁ যদি আমাদের সময় এত ছবি তোলার ব্যবস্থা থাকত তাহলে কতই না আরো ভালো লাগতো ।সুন্দর লিখেছেন ভাই।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনার মতো আরো অনেকের শৈশব ফিরে আসবে আমার এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
🌹
অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সাথে আমাদের সাথে শেয়ার করে এই আনন্দের ভাগীদার বানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এক মুহুর্ত এর জন্যে মনে হয়েছিল এখনো শৈশবেই আছি। আপনার প্রতিটি পোস্ট এই ভিন্নতা রয়েছে। রয়েছে নতুন নতুন চমক। আমার বাংলা ব্লগ এ এভাবে এক্টিভ সদস্যের ভূমিকা পালন করে গেলে আপনি খুব শীঘ্রই আপনার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন। আপিনার জন্য শুভকামনা রইলো।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য কোন অসংখ্য ধন্যবাদ।আশা করি আপনার ছোটবেলাকে স্মরণ করতে পেরেছেন এবং আনন্দবোধ করেছেন।