ঈদে বাচ্চাদের হাতে মেহেদি পড়িয়ে দেওয়ার কিছু মুহূর্ত।
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ তায়ালার নামে আরম্ভ করিতেছি -
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেকদিন অসুস্থতা কাটিয়ে বর্তমানে কিছুটা সুস্থ আছি। আমরা জানি ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। আর ঈদের খুশি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সবাই হাতে মেহেদি পড়ি। মেহেদি না পড়লে যেন মনে হয় ঈদের আনন্দটাই হয় না। শত ব্যস্ততার মাঝেও আমরা হাতে মেহেদি পড়ি। এবার আমার মেয়েকে নিয়ে প্রথম শশুর বাড়িতে ঈদ করলাম। এই ঈদে অনেক বাচ্চারা আমার কাছে মেহেদী পড়তে এসেছিল। ছোট মেয়ে তাছাড়া সাংসারিক অনেক কাজ রেখেও তাদেরকে মেহেদি পরিয়ে দিতে হয়েছে আমাকে। তারা সবাই লাইন ধরে অধীর আগ্রহে আমার হাতের মেহেদি পড়ার জন্য হাজির হয়েছিল। তাহলে চলুন বন্ধুরা আপনাদের মাঝে মেহেদি পরিয়ে দেওয়ার কিছু অনুভূতি শেয়ার করি।
ঈদ করার জন্য যখন গ্রামে আসি তখন ছোট ছোট বাচ্চারা আমাকে চাচি আম্মু, মামানি আরো বিভিন্ন ডাকে ডাকতেছিল। তারা অনেক খুশি হয়েছিল এই জন্য যে তারা এই ঈদে আমার হাতে মেহেদী পড়তে পারবে। তাদের যেমন ভাবনা তেমনি কাজ। ঈদের আগের দিন বিকাল থেকে শুরু করে প্রায় রাত বারোটা পর্যন্ত আমার কাছে অনেকেই মেহেদী পড়তে এসেছিল। আমি সবার হাতে মেহেদি পরিয়ে দিয়েছি ঠিকই কিন্তু তাদের সবার হাতের ফটোগ্রাফি করতে পারেনি। আমার মেয়ের তখন সাড়ে চার মাস পূর্ণ হয়েছে। একবার বাবু কান্না করে তাকে কোলে নেয় আবার তাদেরকে মেহেদি পরিয়ে দেয়। আবার মাঝে মাঝে কারেন্ট চলে গিয়েছিল, মোবাইলে লাইট দিয়ে দিয়ে তাদেরকে মেহেদি পরিয়ে দিয়েছিলাম। তাই শুধু আমার এক ভাগ্নি আর ভাতিজির হাতের ফটোগ্রাফি করে রেখেছি। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছি।
উপরের ছবির হাতটি হল আমার শাশুড়ির উকিল মেয়ের, মেয়ের হাত। সে আমাকে মামানি বলে ডাকে। তার হাতটি খুব ছোট। সে আমার কাছে এসে আবদার করল। মামানি আমার দুই হাত ভরে মেহেদি দিয়ে দিবেন। তার এত ছোট হাত কিভাবে তাকে সুন্দর করে মেহেদী দিয়ে দেয়। তাই খুবই সিম্পল ডিজাইন দিয়ে তার হাতে মেহেদি পরিয়ে দিলাম। প্রথমে হাতে একটি দাগ টেনে নিয়ে তাতে ঢেউ ঢেউ ডিজাইন দিয়ে দিলাম। তার মধ্যে একটি ফুল একটি পাতা ও একটি কুকিজ দিয়ে দিলাম।
তারপর সেই কুকিজের উপরে আরো ছোট সিম্পল তিনটি ফুল দিয়ে সম্পূর্ণ হাত ভরিয়ে দিলাম।
তাইবার হাত এতই ছোট ছিল যে, তার হাতে ভালোভাবে মেহেদি পড়াতেও সমস্যা হচ্ছিল। তাই আরেকটি ফুল আঙ্গুলের ঘোড়ার দিকে দিয়ে দিলাম। তারপর প্রত্যেকটি আঙুলের মাথায় ছোট ছোট পাতা দিয়ে দিলাম। মেহেদী পড়ানোর এই ডিজাইনটি তেমনটা খারাপ হয়নি। আমার ভাগ্নি তাইবা এই মেহেদি দেওয়ার ডিজাইনটি অনেক পছন্দ করে ছিল।
ভাগ্নির এক হাতে মেহেদি দেওয়ার পর। আমার কাছে আবদার করে যে তার হাতে ঈদ মোবারক লেখা দিয়ে একটা মেহেদি ডিজাইন দিয়ে দিতে। তাই এক হাতে ঈদ মোবারক ওয়ালা একটি মেহেদী অংকন করে দিলাম। কেমন হলো ছোট বাচ্চার হাতে দেওয়া এই মেহেদীর ডিজাইন গুলো। আপনারা সবাই কমেন্টস এর মাধ্যমে তা জানাবেন। আর বেড়াচ্ছি না,বন্ধুরা এখানে আমার ব্লগের সমাপ্তি করতেছি।
বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এখান থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে। আগামীকাল আবার আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | ঈদে বাচ্চাদের হাতে মেহেদি পড়িয়ে দেওয়ার কিছু মুহূর্ত ।। |
স্থান | নিজ বাসা, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ,বাংলাদেশ। |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু আপনার সাথে আমার অনেকটাই মিল রয়েছে। আপনি ঈদে বাড়িতে গিয়ে বাচ্চাদের মেহেদি পড়িয়েছেন। আর আমি ঢাকায় বাড়িতে সবাইকে ঈদে মেহেদী পরিয়েছি। আপনি আর আমি একই নামের মেয়েকে মেহেদি পড়িয়েছি। পার্থক্য হল আপনি খুব সুন্দর করে মেহেদী দিতে পারেন কিন্তু আমি পারিনা। অসাধারণ হয়েছে আপু আপনার মেহেদির ডিজাইনটি। আপনি খুব সুন্দর করে মেহেদি দিতে পারে।
!upvote 15
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ Participate in the "Seven Network" Community2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ ⚜💯.
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven).
the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 175%
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
আপু আপনার ভাগ্নির হাতে অনেক সুন্দর ভাবে মেহেদি ডিজাইন এর মধ্যে ঈদ মোবারক লিখে দিয়েছেন। ঈদে আপনি গ্রামে গেলে ছোট ছেলে মেয়েরা হাতে মেহেদি দেওয়ার জন্য অনেক আনন্দে মেতে উঠে। আর আপনার ছোট বাচ্চা থাকা সত্ত্বেও সবার হাতে রাত বারোটা পর্যন্ত মেহেদী দিয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আপু।
ঈদ চলে আসলেই বাচ্চাদের মেহেদী দেয়ার একটা আমেজ উঠে।আর এই আমার ও এক সময় ছিল। কিন্তু এখন আর নেই। আপনি এবার ঈদে বেশ কয়েকজন বাচচার হাতে মেহেদি দিয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। তবে আপনার মেহেদী ডিজাইন টি দেখে মনে হচ্ছে আপনি বেশ ভালোই মেহেদী ডিজাইন করতে পারেন।
ঈদের সময় ছোট বড় সবাই মেহেদি দিতে খুব পছন্দ করে। তবে শ্বশুর বাড়ি তে ঈদ করতে গিয়ে ছোটদের হাতে খুব সুন্দর করে মেহেদি লাগিয়েছেন। তবে ছোট ছোট ডিজাইনগুলোর কারণে মেহেদি আর্ট অসাধারণ লাগতেছে। তবে ধৈর্য ধরে খুব চমৎকারভাবে মেহেদি ডিজাইন আর্ট করেছেন ছোটদের হাতে। যদিও শ্বশুরবাড়িতে এবার আপনার মেয়েকে নিয়ে প্রথম ঈদ করতে গেলেন। মনে হয় এইবার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ ও খুব মজা করেছেন। সুন্দর করে মেহেদি ডিজাইন দেওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঈদের সময় আসলেই প্রত্যেকটা বাড়িতে মেহেদি পড়ার ধুম পড়ে যায়। ঈদের সময় দেখছি বাচ্চাদের হয়তো অনেক সুন্দর করে আপনি মেহেদি লাগিয়ে দিয়েছিলেন। মেহেদির ডিজাইনগুলো কিন্তু অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। আর আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে সবগুলো ডিজাইন দেখতে। মেহেদি আঁকার জন্য কিন্তু অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। ধৈর্য ধরে মেহেদী অংকন করলে বেশি সুন্দর হয়। খুব ভালো লাগলো আপু আপনার আজকের এই সুন্দর পোস্টটা দেখে।