আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 120
না। এখন থেকে কোনও ব্যাপারে রিজিড হয়ে থাকবি না। ক্লায়েন্ট হয়তো চকোশেক খায়,
তোর অপছন্দ, কিন্তু না বলবি না।' 'এরকম কতটা করতে হবে?'
'যতক্ষণ না তোর শরীর আক্রান্ত হচ্ছে ততক্ষণ।
'ধন্যবাদ।'
'কাল থেকে তুই চুল বেঁধে আসবি না তো, খুলে আসবি।'
'খুলে আসব।'
'হ্যাঁ। আজ কোনও পার্লারে গিয়ে ঠিকঠাক করিয়ে নে। চুল খোলা থাকলে তোকে অনেক বেশি সুন্দর দেখাবে। সুন্দরী এবং স্মার্ট।'
'বাজে বকিস না।' রঞ্জনা বলল, 'বলছিস যখন তখন পার্লারে যাব।'
'তোর স্বামীর রি-অ্যাকশন কী?'
ঠিক আছে।'
'খুশি না গভীর।'
'বুঝতে পারিনি।' রঞ্জনা বলল, 'তবে আমার শ্বশুর খুব উৎসাহ দিয়েছেন।'
'শাশুড়ি?'
উনি হিসেব করে বলেছেন আমি যা রোজগার করব তার চেয়ে বেশি খরচ হবে।'
ইনটারেস্টিং। কী রকম?'
'ছেড়ে দে ওসব কথা।' রঞ্জনা মুখ ঘোরাল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
এই সময় দরজায় টোকা পড়ল। উপাসনা বলল, 'কাম ইন।'
মধ্যবয়সি এক ভদ্রলোক ঘরে ঢুকলেন, 'ম্যাডাম, তিনটে কোটেশনই রেডি হয়ে গেছে। আপনি
কি এখন দেখবেন?'
'সওর।' ঘড়ি দেখল উপাসনা, 'এখনও অনেক সময় আছে। আমি দেখে দিচ্ছি, আপনি আজই পাঠিয়ে দিন। ওঃ, হরিপদবাবু, ইনি রঞ্জনা। কাল থেকে জয়েন করবেন। প্রথম কয়েকটা দিন ওকে
সাহায্য করবেন।' 'নিশ্চয়ই ম্যাডাম।' হরিপদবাবু রঞ্জনাকে নমস্কার করলেন।
'বিউটি কনটেস্টের ব্যাপারটা কতদূর এগোল?'
'সবকিছু ঠিক হয়ে আছে। শুধু জাজদের ব্যাপারটা আপনি ফাইনাল করলে অনেকটা নিশ্চিন্ত
হওয়া যায়।' হরিপদবাবু বললেন।
উপাসনা তাকাল, 'রঞ্জনা, আগামী বারো তারিখ, শনিবার গ্র্যান্ড হোটেলে মিস বেঙ্গল কনটেস্টটা আমরা কনডাক্ট করছি। তিন থেকে পাঁচজন জাজ চাই। এখন যাঁদের গ্ল্যামার আছে, একডাকে সবাই চেনে এমন মহিলা এবং পুরুষকে রাজি করাতে হবে। তুই কাল অফিসে এসেই দশ জনের একটা লিস্ট তৈরি করবি। এঁদের সঙ্গে কথা বলে রাজি করানোর দায়িত্ব তোকে দিচ্ছি।'
হরিপদবাবু বেরিয়ে গেলেন। ফাইলটা টেনে নিয়ে উপাসনা বলল, 'কাজ করতে নামলে দেখবি
বেশ ভাল লাগবে।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
রঞ্জনা চুপচাপ বসেছিল। কলকাতা শহরের কোন কোন মানুষের গ্ল্যামার আছে? তাঁদের নামের একটা তালিকা তৈরি করতে হবে। অপর্ণা সেনের নাম প্রথমেই মাথায় এল। কিন্তু তিনি কি অনুরোধ করলে আসবেন? ভাবতেই কীরকম রোমাঞ্চ হল রঞ্জনার। এই নামগুলো সে শুধু দেখে এসেছে এতদিন, এখন এঁদের সঙ্গে তাকেই কথা বলতে হবে? তাঁরা কথা বলবেন?
'ঠিক আছে রঞ্জনা, তুই আজ যেতে পারিস। এখনই আবার আমাকে তাজ বেঙ্গলে ছুটতে হবে। মিটিং আছে। আর হ্যাঁ, কাল থেকে তুই আমাকে ম্যাডাম বলে ডাকবি। এই অফিসে এটাই নিয়ম।'
উপাসনা কাছে উঠে এল।
'ম্যাডাম!' ঠিক বুঝতে না পেরে বলল রঞ্জনা।
'হ্যাঁ। আমরা যতই ভাল বন্ধু হই সেটা অফিসের বাইরে। অফিসের কাজের সময় একটা ডেকোরাম মেনটেইন করা দরকার। বুঝতে পেরেছিস নিশ্চয়ই। বাইরে যখনই কথা হবে তখনই আমরা মনের সুখে তুই-তোকারি করব।' হাসল উপাসনা। তারপর দু' হাতে রঞ্জনার কাঁধ জড়িয়ে ধরে আচমকা ওর গালে চুমু খেল একটা।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @taskiaakther,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community