ব্রাইটন সমদ্র সৈকতে সকলে মিলে ছোটখাট একটি পিকনিক।। পর্ব : ১

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।

IMG_1092.jpeg

গতবছর যখন আমেরিকা থেকে আমার খালা শাশুড়ি এসেছিলেন তখন আপনাদের সাথে তাকে নিয়ে কিছু পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। কিন্তু তাকে নিয়ে তেমন কোথাও আমাদের যাওয়া হয়নি। তাই লন্ডনে আমার যে খালা শাশুড়ি রয়েছেন তিনি আর তার মেয়ে মিলে ব্রাইটন সমুদ্র সৈকতে একটি পিকনিকের আয়োজন করেন। আসলে আত্মীয়-স্বজন সকলে একত্রে এ ধরনের পিকনিকের আয়োজন করলে খুবই ভালো লাগে।মোটামুটি চারটি পরিবার আমরা একত্রে ছিলাম। আমরা, আমার ছোট ভাসুরের পরিবার, আর দুই খালা শাশুড়ির পরিবার। ব্রাইটন সমুদ্র সৈকত আমাদের বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয়, মাত্র ৪০ মিনিট লাগে গাড়িতে যেতে। প্রায়ই যাওয়া হয় সেখানে। সামার টাইম এ স্কুল যখন বন্ধ থাকে তখন আমরা সেখানে গিয়ে দারুণ উপভোগ করি। এর আগে আপনাদের সাথে ইস্টবর্ন সমুদ্র সৈকতের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম।এই সমুদ্র সৈকতও দেখতে ইস্টবর্ন সমুদ্র সৈকতের মতই। দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমরা তখন বেশি উপভোগ করতে পারিনি কারণ তখন ঠাণ্ডা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ঠান্ডার মধ্যে সমুদ্রের পাড়ে গেলে বুঝতেই পারেন কি অবস্থা হতে পারে? কিন্তু হঠাৎ করেই এই আয়োজনটি করা হয়েছিল যেহেতু খালা শাশুড়ির আমেরিকায় ফিরে যাওয়ার টাইম হয়ে গিয়েছিল। তাই ঠান্ডা উপেক্ষা করেই আমরা সকলে একত্রিত হয়েছিলাম। যাইহোক চলুন তাহলে ফটোগ্রাফি গুলো উপভোগ করা যাক।

IMG_1089.jpeg

IMG_8501.jpeg

সমুদ্রের পাড়ে খুব সুন্দর একটি বসার জায়গা পেয়ে গেলাম। যেহেতু ঠান্ডা ছিল তাই মানুষের আনাগোনা ছিল না বললেই চলে, অনেক ফাঁকা ছিল। খাওয়ার জন্য সকলে মিলে বসে গেলাম। বাসা থেকে বিরিয়ানি বানিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম।

IMG_8491.jpeg

IMG_8490.jpeg

IMG_8489.jpeg

IMG_8492.jpeg

IMG_8514.jpeg

IMG_8515.jpeg

প্রচুর পাখি ছিল সেখানে। খাওয়ার জন্য উড়ে উড়ে আসছিল।

IMG_8516.jpeg

IMG_8517.jpeg

IMG_8518.jpeg

সমুদ্রের তীর জুড়ে শুধু ছোট ছোট পাথর আর পাথর। পাথরের মধ্যে হাঁটতে মোটেও ভালো লাগেনা। আমার ভালো লাগে বালুর মধ্যে খালি পায়ে হাঁটতে। আর সাগরে গেলেই আমার কক্সবাজারের কথা মনে পড়ে।কক্সবাজারের মত এত সুন্দর সমুদ্র সৈকত পৃথিবী আর কোথাও নেই।

IMG_8521.jpeg

IMG_8522.jpeg

প্রতিবার যখন সাগরে যাই তখন বাচ্চারা পানির মধ্যে নেমে অনেক এনজয় করে। কিন্তু তখন এত ঠান্ডা ছিল যে কেউ আর সাহস করেনি পানিতে নামতে।

IMG_8523.jpeg

IMG_8525.jpeg

IMG_8526.jpeg

আজ তাহলে এতটুকুই, আগামী পর্বে আমাদের এনজয় করা আরও কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

Photographer@tangera
DeviceI phone 13 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

আপনার বাসা থেকে সমুদ্রের পাড়ে যেতে মাত্র ৪০ মিনিট সময় লাগে তারমানে খুব বেশি দূরে নয়। আসলে শীতের মৌসুমে সমুদ্রের পানিতে নামা সম্ভব হয় না শুধু সমুদ্রের সৌন্দর্যটাই উপভোগ করা যায় তবে সেখানে সমুদ্র পাড়ে ছোট ছোট পাথরের জন্য দেখতে আরো বেশি ভালো লেগেছে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আপনাদের পিকনিকের মধ্য দিয়ে অচেনা একটি সুন্দর সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে ধারণা পেলাম। আর আপনাদের পিকনিকের মুহূর্ত আনন্দের মুহূর্ত বিষয় জানতে পারলাম। লোকেশন দেখতে চমৎকার। জানিনা ভাগ্যে আছে কিনা কখনো এমন সুন্দর সুন্দর জায়গায় বেড়াতে পারবো। তবে আপনাদের আনন্দের মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেকটা উপভোগ করতে পারি এমন সুন্দর জায়গা।

 last year 

ব্রাইটন সমুদ্র সৈকতের পরিবেশটি দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। আর এরকম সুন্দর পরিবেশে পিকনিক করার মজাই আলাদা। উক্ত সমুদ্র সৈকতে পাখি গুলো দেখে আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। একই সাথে সমুদ্র সৈকতে পড়ে থাকা সুন্দর সুন্দর পাথরগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যাহোক ব্রাইটন সমুদ্র সৈকতে আপনাদের আয়োজন করা পিকনিকের পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

কয়েকটি পরিবার একসঙ্গে পিকনিকের আয়োজন করলে সেটি সত্যি অনেক মজার হয়ে থাকে। তারপর আবার সমুদ্রসৈকতের পাশে। তাহলে তো অনেক বেশি ইনজয় করেছেন ।আর শীতের সময় সমুদ্রের পানিতে নামাও কষ্টকর। গরমের দিনে হলে আরো বেশি ইনজয় করতে পারতেন। বাচ্চারা বেশ আনন্দ পেয়েছে নিশ্চয়ই। বেশ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে ।ধন্যবাদ।

 last year 

আপু, আপনার দৌলাতে ব্রাইটন সমুদ্র সৈকত দেখার সৌভাগ্য হল। যেহেতু আপনারা চার পরিবার একসাথে গিয়ে সেখানে সময় কাটিয়েছেন, তার মানে যথেষ্ট মজা হয়েছে। তবে শীতকালে সমুদ্র সৈকতে গিয়ে মজা নেই, এটা সত্যি কথা। তাছাড়াও সমুদ্র সৈকতে বসে সবাই মিলে বিরিয়ানি খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার মাধ্যমে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখলাম, সত্যিই বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপু।

 last year 

এতগুলো পরিবার একসাথে মিলে এমন পিকনিক করলে আসলেই ভীষণ আনন্দ লাগে। আর সমুদ্র সৈকতে এমন পিকনিক করার মজাই আলাদা। বাসা থেকে বিরিয়ানি রান্না করে নিয়ে যাওয়ার আইডিয়াটা দারুণ লেগেছে। সমুদ্র সৈকত বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। তবে সমুদ্র সৈকতে এতো পাথর থাকলে হাঁটতে আসলেই বিরক্ত লাগে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো এতো সুন্দর সমুদ্র সৈকত পৃথিবীতে আর নেই। যাইহোক ব্রাইটন সমুদ্র সৈকতের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। এমন মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 96335.91
ETH 2788.63
SBD 0.67