বর্ণনার সাথে বিশেষ কিছু ফটোগ্রাফি || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০%
আজ - বুধবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি বিভিন্ন বিষয়ের কিছু বর্ণনামূলক কথা নিয়ে, আর সে বর্ণনামূলক কথার পাশাপাশি থাকবে ফটোগ্রাফি। তাই আর দেরি না করে মূল বিষয়ে চলে যেতে চাই। আশা করি শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
বিভিন্ন বিষয়ের ফটোগ্রাফি
একদিন প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রী এর তালিকা করার জন্য গিয়েছিলাম বাসা থেকে ছয় মাইল দূরে একটি গ্রামে। গ্রামটি বাসা থেকে নিকটের হলেও আমার এই ২৫-২৬ বছর বয়সে আজ পর্যন্ত সেই গ্রামে যাওয়া হয়নি। তাই এই সুবাদেই সেই গ্রামে গিয়েছিলাম এতদিন পরে। আসরের আজানের পর নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে উপস্থিত হয়েছিলাম সেই গ্রামের মসজিদে। নামাজ শেষে মসজিদের মধ্যে থাকা ডিজিটাল ঘড়িটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিল, তাই করেছিলাম কয়টা ফটোগ্রাফি। গ্রামটির নাম ঝোড়পাড়া।
একদিন গাংনীতে গিয়েছিলাম স্কুলের বিশেষ একটি কারণে। তবে কারণটা সমাধান করতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। দেখেছিলাম গাংনী বাজারে সেদিন কোন একটা ভোট হচ্ছে, যার জন্যই কিছুটা সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল কম্পিউটার ঘরে। আর সেই সুযোগে ভাবলাম গাংনী বাজারের একটি ঘরে পুষে রাখা খরগোশের মালিকের সাথে কথা বলি। খরগোশ পুষতে কেমন সুযোগ-সুবিধা আর কি খাওয়ানো লাগে এ বিষয়ে কিছু জানলাম আর তার সাথে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম। খরগোশগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগছিল। যেন প্রচন্ড রোদ গরমে খাটাখাটনির মধ্যে একটু সুখের অনুভূতি এই খরগোশগুলো দেখে পেয়েছিলাম।
আমি ছোট থেকেই কেমন জানি সূর্য উদয় ও সূর্য অস্ত দেখতে বেশি পছন্দ করে থাকি। যখনই সূর্য উঠতে দেখি চেয়ে থাকি সূর্যটা কতটা ক্লিয়ার দেখা যাচ্ছে বা কতদূর ছাড়িয়ে গেল অর্থাৎ কিছুটা সময়ের জন্য তাকিয়ে থাকি তার পানে ঠিক তেমনি ভাবে সূর্য যখন পশ্চিম দিকে অস্তযায় ঠিক তখনও একই ভাবে তাকিয়ে থাকে। তবে এই ভালোলাগাটা প্রতিদিনের নয় মাঝেমধ্যে যখন পুকুর পাড়ে বসে মাছের খাবার দেই। যেহেতু মাছের খাবার সকাল ভরে আর বিকালে দেওয়া হয়ে থাকে তাই এই সুযোগটা হয়ে থাকে। এটা আমার ছোটবেলার অভ্যাস দেখতে ভালো লাগে তাই আর কি। ঠিক সেই অভিজ্ঞতাটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্যই এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছিলাম।
আমরা কখনো কি লক্ষ্য করে থাকি আমাদের চারপাশে কারেন্টের তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর সেই কারেন্টের তারে কখন কিভাবে শর্ট সার্কিট করছে বা হতে পারে এমন সম্ভাবনাকে কখনো সচেতন দৃষ্টিতে ভেবেছি কি? আমরা সকলেই জানি কারেন্ট এক্সিডেন্ট অনেক মানুষ ইতিপূর্বে মারা গেছে এবং অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাই এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে অবশ্যই। হোক সেটা ঘরের মধ্যে অথবা বাইরে চলতে পথে। একদিন আমি আমাদের পুকুরে মাছের খাবার দিয়ে বাড়ি ফিরতে লক্ষ্য করলাম কারেন্টের তারে কলা গাছের পাতা বেঁধে আগুন সৃষ্টি হচ্ছে। তখন গাছের নিচ দিয়ে চলাচল বড়ই রিক্স। আমাদের পাশের পুকুর আলার কলা গাছ, ওনাকে বলার পরেও এই গাছগুলো কখনো কাটেন না। এভাবেই কখন জানি কার এক্সিডেন্ট হয়ে যায় কে জানে কিন্তু তিনি এই বিষয়ে খুবই অসচেতন। তাই আমাদের উচিত যতদূর সম্ভব মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করা।
আমি ছোট থেকেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে ভালোবাসি। ছোটবেলায় ছোট ছোট পুটি মাছ ধরেছি বরশি দিয়ে হয় সেটা নিজের পুকুরে অথবা বিলে অথবা ছোট আপাতে। কিন্তু এখন বড় বড় পুকুরে মাছ চাষ করে থাকি কিন্তু সেভাবে আর মাছ ধরা হয় না বড়শি দিয়ে। তবে কিছুদিন আগে যখন মাছ ধরেছিলাম মোবাইলটা পাশে থাকায় হঠাৎ মনে আসলো কয়েকটা ফটো তুলে রাখি আপনাদের জন্য।
আমাদের স্কুলের হায় রাস্তার পাশে খাস জমিতে একটি বড় শিশু গাছ রয়েছে। এই গাছটি আমাদের স্কুলের সৌন্দর্য বজায় রাখে। মাঝেমধ্যে এই গাছের ফটোগ্রাফি করে থাকি। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে কিছুদিন আগে বৃষ্টির সাথে সজোরে একটি বাজ পড়েছিল যা এই গাছের উপর দিয়ে গেছে। তাই এত সুন্দর গাছটি আজ আর সৌন্দর্য নেই প্রায় মরে যাওয়ার পথে। আশা রাখতে পারেন কয়েক দিনের মধ্যেই গাছের বর্তমান অবস্থার ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ওই মসজিদে তো সেইদিন আমিও ছিলাম। তবে ছবিতে দেখে আমি প্রথমে চিনতেই পারিনি। হয়তো সেভাবে খেয়াল করে দেখায় হয়নি সেদিন। আজ বর্ণনা শুনে মনে পড়লো। সেই সাথে আরো অনেক গুলা বিশেষ মুহুর্তের ছবি শেয়ার করেছেন। বেশ ভাল লাগলো দেখে।
ছবিটা দেখে না চেনারই কথা। তবে স্মৃতি করে রেখে দিলাম।