ফটোগ্রাফি-"স্বাদের ফুচকা" খাইতে সমুদ্র পাড়ে।।২৩.০৭.২০২২।।
হ্যালো,
আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক অনেক ভাল আছি। আপনাদের কি অবস্থা গরমের? আমার এখানে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। গরমের প্রভাব কিছুটা হলে ও কমেছে। আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই-বোনেরা আমি আপনাদের শুভ কামনায় প্রতিদিন আপনাদের সাথে কানেক্ট থাকার চেষ্টা করি। আমি প্রতিদিনের ন্যায় আজ ও একটি নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি।
বন্ধুরা! আমি আজ একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আমার আজকের ফটোগ্রাফি মূলত "ফুচকা" নিয়ে।
বন্ধুরা আমি ফুচকা খেতে খুবিই ভালবাসি। তাই ফুচকা খাওয়ার জন্য বার বার সমুদ্র সৈকতে ছোটে যায়। আজ ও তাই হলো। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আমার বাসা থেকে একদম পাশে।বলতে গেলে হেটে যাওয়া যায়। তাই সময় পেলেই বাচ্চাদের নিয়া ছোটে যায় সেই ফুচকার টানে। আহা! স্বাদের ফুচকা। মাঝে এক সপ্তাহ না খেলে মনে হয় বহুদিন যাবত খাচ্ছি না। চলুন আমার ফুচকা প্রেমিরা একটু আপনাদের দেখায় মজার ফুচকা! কেউ আবার খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাবেন না।
আমার কিন্তু পাঠিয়ে দেবার সুযোগ নাই প্রিয় ভাই ও বোনেরা।
আমার ফুচকা ফটোগ্রাফি----
বন্ধুরা এই ফটোগ্রাফি টা হচ্ছে লাবণী পয়েন্টের শুরুতে।ট্যুরিস্ট পুলিশেরা যতেষ্ট সহায়তা করেন। এই ভবন ট্যুরিস্ট পুলিশ ভবন ।
হাতের বামে অনেক সুন্দর একটি সবুজ গাছ-গাছালির এরিয়া।
এই কর্ণার হলো বীচে প্রবেশের শুরুতে।
এই টা সী-বীচে প্রবেশের শুরুতে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র।
সামনে অনেক অনেক ফুচকা-চটপটির দোকান।একটা দোকানে প্রবেশ করি। দোকানদার কে বলি দুই প্লেট ফুচকা দেন।
ফুচকা দিলেন আর মজার ফুসকা তেঁতুলের টক দিয়ে মজা করে খেলাম।
মা-মেয়ে তিন জনে মজা করে আগে ফুচকা খাওয়া কাজ টা ছেড়ে নিলাম।
আহ! স্বাদের ফুচকা যত খাই তত মজা। পেট ভরে খেয়ে তার পর সমুদ্র দর্শন করবো।
ফুচকা খাওয়া শেষ এবার হাটা শুরু করি।
হঠাৎ দেখি আকাশে রংধনু! এবার বুঝি আমার মেয়ের রংধনু দেখার স্বাদ ও মিঠবে। অনেক দিন যাবত বলতেছে মা! আমি কি কখনো রংধনু দেখতে পাবো না? আমি সান্তনা দিই মা এই শহরে রংধনু কিভাবে দেখবে।রংধনু দেখতে হলে খোলা আকাশে যেতে হবে আর দিন টি হতে হবে মেঘাচ্ছন্ন।
হঠাৎ মেয়ে রংধনু দেখতে পেয়ে খুশিতে নাচানাচি শুরু করে দেয়। আমি শান্তি পেয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়।
যাক, অবশেষে তাহলে আমার মেয়ে রংধনু দেখতে পেলো।
উড়ন্ত বিমান আকাশে।
দিন টা ছিল মেঘাচ্ছন্ন। তাই সূর্য মেঘের আড়াল থেকে হাসে।
সমুদ্র পাড়ের সূ্র্যের লাল টকটকে হাসি।
দিনটি ছিল মেঘাচ্ছন্ন। এই বুঝি বৃষ্টি আসবে এমন অবস্থা।
তবু ও মানুষের কমতি ছিল না।
সমুদ্রের বালি।
উত্তাল সাগর। বর্ষায় সাগরের উত্তাল ঢেউ।
আমি যে ছবি গুলো এড করেছি সব ছবি আমি আমার মোবাইল দিয়ে করেছি।
ছবির তথ্য নিচে টেবিল আকারে দেওয়া হলোঃ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Wiko T3 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
মডেল | WV770 |
লোকেশন | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
বন্ধুরা, আজ এইখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে, সাথে থাকবেন, ভাল থাকবেন। আমার পোস্ট কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না
আসলে ভালো ফুচকা যদি তৈরি হয় তাহলে যে কোন জায়গাতে যেয়েই খেতে ইচ্ছে করে ঠিক তেমনি ভাবে আপনিও সমুদ্র সৈকতে ছুটে যান ফুচকা খাবার জন্য।
ফুচকা খেতে গিয়ে আপনি রংধনু দেখতে পেয়েছেন ব্যাপারটি শুনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ফুচকা গুলো দেখে আমারও অনেক লোভ লেগে যাচ্ছে খাবার জন্য।
ভাইয়া অনেক মজার ছিলো ফুচকা!আর রংধনু দেখেতো মেয়েরা অনেক খুশি।ধন্যবাদ ভাইয়া
Keep our home safe.🛡🤝🌎🌍🌏
thank you so much
সমুদ্রে সৈকতের সাথে বাসা,ওয়াও দারুন তো।ফুচকা খেতে আমার খুব ভালো লাগে।ছবি দেখে বেশ লোভ লাগছে।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
আপু দারুণ ছিলো।খাবেন?পাঠাই দিবো।বীচের পাশে বসে ফুচকা খাওয়া দারুণ আপুনি।ধন্যবাদ আপনাকে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশে আপনার বাসা শুনে খুবই ভালো লাগলো। ফুচকা খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমিও মাঝেমধ্যে ফুচকা খেতে বাইরে যাই।
আপু কক্সবাজার আসেন একসাথে সমুদ্র সৈকতে যেয়ে ফুচকা খাবো।অনেক মজা হবে।আসলেই কথা হচছে ফুচকা তো আপু সব জায়গায় পাওয়া যায়।কিন্তু বীচে বসে খাইলে ভাল লাগাটা একটু বেড়ে যায়।ধন্যবাদ আপু
এত সুন্দর পরিবেশে ফুচকা খাওয়ার মজাই আলাদা। ফুচকা খেতে এমনিতেই অনেক ভালো লাগে তার মধ্যে যদি এত সুন্দর পরিবেশ হয় তাহলে তো আরো বেশি জমে যায়। আপু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন এবং আপনার কাটানো মুহূর্ত উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু আমি সময় হলেই চলে যাায়।সমুদ্র সৈকতে যাওয়া নেশা হয়ে গেছে।আপনাদের দাওয়াত রইলো।ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
আপু আপনার সমুদ্র সৈকতের সাথে বাসা শুনে অনেক ভালো লাগলো। সমুদ্র সৈকতে ছোটবেলায় একবার গিয়েছিলাম আর যাওয়া হয়নি। আপনার ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি দেখে অনেক ভালো আপু। আমার মনে হয় প্রতিটি মেয়ের ফুচকার ওপর অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। ধন্যবাদ
আপু আবার আসেন।আপনাকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আমন্ত্রণ।আপু আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো
ফুচকা খেয়ে তার ফটোগ্রাফি শেয়ার করে সবাইকে লোভ লাগিয়েছেন আর সমুদ্র পারে রংধনুর ছবি দেখিয়ে সবাইকে আকৃষ্ট করেছেন। যদিও সমুদ্র পারে রংধনুর দৃশ্যটি আরো পরিষ্কারভাবে উপভোগ করেছেন। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আসলেই লোভ লাগার মতই জায়গা। ধন্যবাদ ভাইয়া
ফুচকা খাইতে মোটামুটি আমারও অনেক ভালো লাগে আর সেটা যদি হয় পদ্মার পার অথবা সমুদ্রপাড়ে বসে তাহলে তো কোন কথাই নেই খাবারের ফিলিংসটাই আসবে অন্যরকম যা হোক আপনি খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করে ফুসকা খেয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে।।
জ্বী ভাইয়া সময় টা অনেক আনন্দের ছিল বুঝতে পেরেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া