দক্ষিণেশ্বরের ঘাট এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলুড় মঠ যাওয়ার পথে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি।
বন্ধুরা ,
তোমরা সবাই কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। |
---|
প্রথমেই সবাইকে জানাই শুভ দীপাবলির অনেক অনেক শুভেচ্ছা। গতকালকে আমাদের এই দীপাবলি ছিল। গতকালকের পোস্টে তোমাদের দীপাবলির শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে ভুলে গেছিলাম তাই আজ শুভেচ্ছা জানিয়ে দিলাম। যাই হোক আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। এই ফটোগ্রাফি গুলো কয়েক মাস আগে আমি তুলেছিলাম দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে । সেদিন পুজো দিতে আমি আমার বন্ধু বান্ধবের সাথেই গেছিলাম। সেদিন কালী মন্দিরে পুজো দেওয়া শেষ করে আমি দক্ষিণেশ্বর মন্দির ঘাটে যাই । মন্দির ঘাটে গিয়ে সুন্দর সুন্দর কিছু ভিউ আমি দেখতে পাই। তারপর সেখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করে নি। তারপর সেইখানে অনেকটা সময় কাটিয়ে আমি গেছিলাম বেলুড় মঠের দিকে।
বেলুড় মঠে যাওয়ার জন্য আমাকে দক্ষিণেশ্বরের নিকটবর্তী ফেরিঘাট থেকে ফেরিতে করে যেতে হয়েছিল। ফেরিতে উঠার জন্য ছোট্ট একটি ব্রিজ পার করে ফেরিতে উঠতে হয়। সেই ছোট ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় নদীর দারুণ সৌন্দর্য আমার চোখে পড়ে, সেগুলো কিছু ক্যামেরা বন্দি করে নি তখন। তাছাড়াও ফেরিতে করে বেলুড় মঠ যাওয়ার পথে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে নদীর জল ঘোলা হয়ে যায়। সেই ঘোলা জলের দৃশ্য দেখতেও বেশ দারুন লেগেছিল । ওভারল সেদিনের পরিবেশটা খুবই অসাধারণ ছিল। দক্ষিণেশ্বর ঘাট থেকে এবং বেলুড় মঠে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম সেগুলোই নিচে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ঘুরাঘুরি শেষ করে নিকটবর্তী ফেরি ঘাট যাওয়ার পথে ছোট একটি ব্রিজের উপর দিয়ে যেতে হয়। সেই ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে তোলা হয়েছিল এই ফটোগ্রাফিটি। এই ফটোগ্রাফিটিতে দূর থেকে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির দেখা যাচ্ছে।
এই ফটোগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে আকাশের মেঘ অনেক নিচে নেমে চলে এসেছে। নদীর দৃশ্য উপভোগ করছিলাম এইখানে কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: বালি-দক্ষিণেশ্বর।
দক্ষিণেশ্বর ঘাট থেকে দূরে বালি ব্রিজ দেখা যাচ্ছে।
দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে পুজো দিতে আসা লোকজন নদী ঘাটে স্নান করছে।
দক্ষিণেশ্বর মন্দির ঘাটে দাঁড়িয়ে তোলা এই ফটোগ্রাফিটি। নদীর এবং নদীর কূলের সৌন্দর্য দেখা যাচ্ছে এই ফটোগ্রাফিতে।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: বালি-দক্ষিণেশ্বর।
দূরে দেখা যাচ্ছে ওই স্পিডবোটটি খুব দ্রুত ছুটে চলেছিল তার গন্তব্যের দিকে। আমরা যে ফেরিতে ছিলাম তার স্পিডের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুন বেশি স্পিডে চলছিল ওই স্পিডবোটটি।
বৃষ্টি হওয়ার কারণে হঠাৎ করেই নদীর জল ঘোলা হয়ে গেছে।
আজকের শেয়ার করা দক্ষিণেশ্বরের ঘাট এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলুড় মঠ যাওয়ার পথে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি তোমাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। কয়েক মাস আগের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো, ফটো নিচে খুবই সুন্দর বর্ণনা করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আপনাকেও শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা। আপনার তোলা
সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার শেয়ার করা ফটোগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম আমি।
বন্ধুদের সাথে ঘুড়তে গিয়ে তোলা কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও জানাই দীপাবলীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা। দক্ষিণেশ্বরের কথা অনেক শুনেছি কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আজকে অনেক কিছু দেখেছি। বিশেষ করে আকাশের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছিল আকাশটা হাত দিয়ে ছোঁয়া যাবে। আপনারা ফেরিতে করে যাতায়াত করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
সেদিনের আকাশটা দেখতে সত্যিই অনেক ভালো লাগছিল। আকাশের মেঘগুলো অনেক নিচে নেমে এসেছিল যা মনে হচ্ছিল সেদিন।
বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তগুলো খুব সুন্দরভাবে অতিবাহিত করেছেন। আসলে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়ে। গেলাম। এমন চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছুক্ষণ বন্ধুদের সাথে সময় দিতে পারলে নিজেকে খুবই ভালো লাগতো এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
এত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ।
ভাইয়া দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলুড় মঠ যাওয়ার পথে আমাদের মাঝে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি সেয়ার করলেন। সাথে চমৎকার বর্ণনা দিলেন। সব গুলো ছবিই অনেক ভাল হয়েছে, আমার কাছে সব থেকে বেশি ভাল লাগছে বালি ব্রিজের ছবিটা তারপর নদীর ঘোলা জলে স্পিডবোর্টের ছবিটা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার আজকের শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো তোমার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমার ভালো লাগার কথা শেয়ার করার জন্য।