"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ - পর্ব ১৭
খুব দ্রুতই আমার "বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণের সপ্তদশতম পর্ব চলে এলো । আর মাত্র একটি পর্ব পাবলিশ করলেই এই সিরিজটা শেষ হয় । তারপরে আবার নতুন সিরিজ শুরু করতে হবে । আজকের আর আগামী পর্বের পুরোটা জুড়েই থাকছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত ব্রোঞ্জ আর প্রস্তর নির্মিত বহু হিন্দু আর বৌদ্ধ দেব-দেবীর মূর্তি । আসলে হিন্দুদের প্রায় সব দেব-দেবীই বৌদ্ধ, জৈন, শাক্ত এসব ধর্মে ভিন্ন নামে পাওয়া যায় ।
এই সকল সুপ্রাচীন মূর্তির বিশ্বজুড়ে বিশাল কদর রয়েছে । বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলির ধনকুবেরদের কাছে এই মূর্তিগুলোর চাহিদা আকাশ ছোঁয়া । একটা ছ'ইঞ্চি পাথর বা ব্রোঞ্জের মূর্তির দামই চোরাবাজারে কয়েক কোটি টাকা । আর তাই চোরাকারবারি আর পাচারকারীদের বিষদৃষ্টি পড়েছে দেশের এই সব অমূল্য প্রাচীন শিল্প ও ভাস্কর্যের উপর ।
সুপ্রাচীন এসব মূর্তি কেউ এখন আর পুজো করে না । এগুলোর একমাত্র পরিচয় হলো অপূর্ব প্রাচীন শৈল্পিক ভাস্কর্য । কিছু কিছু প্রস্তর মূর্তির বয়স দেড়-দু'হাজার বয়স । তাহলে বুঝতেই পারছেন কত প্রাচীন । বেলে পাথর, গ্রানাইট পাথর, ব্যাসাল্ট, লাইমস্টোন, কোয়ার্টজাইট এবং মার্বেল পাথর - এসকল পাথর খোদাই করে এসব প্রাচীন মূর্তি নির্মিত ।
দেড়-দু'হাজার বছর আগের প্রযুক্তি আর এখনকার প্রযুক্তির মধ্যে বিস্তর তফাৎ । সেই যুগে এই সব কঠিন শিলা-পাথর থেকে অপূর্ব গঠনশৈলীর সব মূর্তি নির্মাণ করা ছিল সুকঠিন একটা কাজ । এই অসাধ্য সাধন সেই যুগের মানুষ কিভাবে করেছিল সেটা একটি গভীর রহস্য ।
অনেক কারণে এসব মূর্তি উপমহাদেশের দেশগুলিতে অর্থাৎ ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্থান, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, তিব্বত এবং শ্রীলঙ্কায় এক অমূল্য সম্পদ । সব দেশই তাদের শিল্প নিদর্শনগুলি রক্ষায় সচেতন । এ সংক্রান্ত বহু আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে এগুলো রক্ষা করার জন্য । তবুও, প্রত্যেক বছরই কোটি কোটি টাকা মূল্যের এইসব অমূল্য সম্পদ দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে ।
এটাই গভীর দুঃখের ।
উপরের প্রত্যেকটা ছবিতে ব্রোঞ্জ নির্মিত বেশ কিছু হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে । প্রথম ছবিতে রয়েছে - কার্তিক, শনিদেব, গণেশ এবং মহাদেবের মূর্তি । দ্বিতীয় ছবিতে রয়েছে - গরুড়, রাধা এবং কৃষ্ণ । এবং তৃতীয় ছবিতে রয়েছে বিষ্ণুমূর্তি ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৫ টা ১০ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
উপরের প্রত্যেকটা ছবিতে প্রস্তর নির্মিত বেশ কিছু হিন্দু ও বৌদ্ধ দেব-দেবী ও অবতারের মূর্তি রয়েছে । প্রথম ছবিতে রয়েছে - গৌতম বুদ্ধের মূর্তি । দ্বিতীয় ছবিতে রয়েছে - শিবমূর্তি । এবং তৃতীয় ছবিতে রয়েছে দন্ডায়মান বিষ্ণুমূর্তি ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৫ টা ১০ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
উপরের প্রত্যেকটা ছবিতে রয়েছে প্রস্তর নির্মিত বেশ কিছু হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি । প্রথম ছবিতে রয়েছে - নৃত্যরত নটরাজের মূর্তি । দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ছবিতে রয়েছে শ্রী দূর্গা ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৫ টা ১০ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
উপরের দু'টি ছবিই হলো প্রস্তর নির্মিত বিষ্ণুর বাহন গরুড় (অর্ধেক মানুষ, অর্ধেক পক্ষী) আর মহাদেবের বাহন নন্দীর মূর্তি (ষাঁড়) ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৫ টা ১০ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
উপরের তিনটি ছবির মূর্তিই হলো ভগবান বিষ্ণুর ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৫ টা ১০ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫১০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 510 trx)
তারিখ : ২০ মার্চ ২০২৩
টাস্ক ২১০ : ৫১০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫১০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 6284859308b364cddfbd36dec3860572a2a20feb2b71453c0da664a786bfc9e7
টাস্ক ২১০ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
@tipu curate 6
Upvoted 👌 (Mana: 0/6) Get profit votes with @tipU :)
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
এখনকার প্রযুক্তি আর আগের কার প্রযুক্তি অনেক পার্থক্য। এখনকার কাজ যেমন সহজ হয়ে গিয়েছে। আগের এই কাজ গুলো অর্থাৎ খোদাই করা অনেক কঠিন কাজ।যাই দেখতে দেখতে প্রায় শেষ পর্বে চলে আসা হলো।আর কেবল এক পর্ব রয়েছে।ভালো লাগলো ছবিগুলো। ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এই অমূল্য সম্পদের ছবিগুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য। আসলে তখনকার কারিগর গন কিভাবে এই চমৎকার শিল্পকর্ম গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন এটা সত্যিই এখনও রহস্য। কিছু মানুষ টাকার লোভে এই সম্পদগুলো পাচার করে দিচ্ছে ভেবেই ভীষণ খারাপ লাগে।
সুপ্রাচীন মূর্তির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। আসলে এই সুপ্রাচীন মূর্তি গুলো অনেক মূল্যবান। আগেকার দিনের মূর্তিগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি নিখুঁত কারুকার্য করা। আর আগেকার সৃষ্টি গুলো সত্যিই দারুন ছিল। এখন বিজ্ঞান প্রযুক্তির উন্নতি হলেও সুপ্রাচীন সেই মূর্তিগুলোর মত কারুকার্য এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না। এমনকি সেই সৌন্দর্য এখন আর নেই। দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!