দীপাবলি - আলোর উৎসব : পর্ব ৫ [শেষ পর্ব]
গত চারদিন ধরে চলা আমার "দীপাবলি - আলোর উৎসব" সিরিজের আজকে পঞ্চম ও শেষ পর্ব । একটা মাত্র দিনই শুধু এবার বাজি পোড়াতে পেরেছি । তারপরেও খুবই এনজয় করেছি দিনটা । এবার আমরা হোল ফ্যামিলি বাজি পুড়িয়েছি, শুধু আমার বাবা । বাবাকে দিয়ে বাজি পোড়ানো তো দূরের কথা সন্ধ্যাবেলায় ছাদেই ওঠাতে পারি না । তিনি ড্রইং রুমে বসে টিভিতে দীপাবলি উৎসব দেখেন :)
কিন্তু, আমার মা বাজি পোড়ানো দেখতে ভালোবাসে এবং নিজেও আমাদের সাথে বাজি পোড়ায় - ফুলঝুরি, তারাবাজি, রংমশাল । এই বছর টিনটিনবাবু সর্বপ্রথম স্বহস্তে বাজি পুড়িয়েছেন । দিনটি তার কাছে যেমন ঠিক তেমনই আমাদের কাছেও স্মরণীয় ।
বাজি পোড়ানোর সময় সে কি তার উল্লাস বাপ্ রে ! চেঁচিয়ে মেচিয়ে একাকাকার করে দিছিলো । এক একটা বিগ শট (বড় আতশবাজি) যখন বিশাল আলোর বৃষ্টি ছড়িয়ে ফাটছিলো তখন হাততালি দিয়ে ঘুরে ঘুরে চেঁচিয়ে নৃত্য করছিলো আমাদের টিনটিনবাবু । তুবড়ি দেখে সেদিকে দৌড় মারছিলো - আটকানোই মুশকিল । তবে চরকি আর ঘটবাজি দেখে একটু একটু ভয় ভয় করছিলো টিনটিনবাবুর । তুবড়ি গুলোতে আগুন দেয়ার ৩ সেকেন্ড এর মধ্যে প্রায় এক তলা সমান আলোর ঝর্ণা তৈরী করছিলো । সেই আলোর ঝর্ণা দেখে টিনটিনবাবু একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলো ।
আর, চরকিবাজিগুলো এতো দ্রুত ফোঁস ফোঁস করে আলোর ফুলঝুরি ছুটিয়ে এত বেগে ঘুরছিলো যে টিনটিনবাবু দেখেই পেছন ফিরে দে দৌড় । হা হা :)
সব মিলয়ে বিশাল একটা আলোকময় আর আনন্দময় সন্ধ্যা উদযাপন হলো আমাদের ।
তারাবাজি থেকে ছিটকে পড়া আলোর ফুলকি। তারাবাজি আর ফুলঝুরি বাজি আসলে একই রকমের । বড় সাইজের তারাবাজির নামই ফুলঝুরি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটা ফুলঝুরি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
তুবড়ি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
তারাবাজি ও ফুলঝুরি-বাজি । ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ফুলঝুরি-বাজি থেকে ফুলের মতো আলোর ফুলকি ছুটছে । দেখতে আসলেই অপূর্ব ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সবুজ ও লাল রংমশালের আলোয় উদ্ভাসিত রাতের আঁধার ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বাজি পোড়ানোর শেষ রাউন্ড এখন । একের পর এক তারাবাজি আর ফুলঝুরি জ্বালিয়ে আমাদের বাজি উৎসবের অন্তিম পর্ব ঘটাতে যাচ্ছি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
অবশেষে শেষ তারাবাজিটিও পুড়ে নিঃশেষ হলো, আর তারই সাথে আমাদের বাজি পোড়ানো উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটলো ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৯ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
টাস্ক ৪৫৮ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 6e784fad7ed695668adc2a9b6247887949f55c7726a8743e6a4674d163e94810
টাস্ক ৪৫৮ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR


আমার আজকের NFT আর্ট হলো ক্রিপ্টো কারেন্সী আর্ট । বিটকয়েন (Bitcoin ) এর দুই দুই টি দুর্দান্ত 3D আর্টের NFT করা হয়েছে । এই আর্ট দুটি পাবেন আমার Crypto Art
গ্যালারিতে । এগুলোর কোনোটাই বিক্রির জন্য নয় । তো চলুন দেখে নেয়া যাক ক্রিপ্টো আর্টের উপর আধারিত আমার আজকের NFT আর্ট দু'টি -
০১. Bitcoin Art
০২. Crypto Logo Art - Bitcoin
এই গ্যালারির ছয়টি আর্ট-ই দারুন ও নিখুঁত হয়েছে যা বিটকয়েন কে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। আপনার গ্রাফিক্সের হাত অনেক ভাল দাদা।
মোটামুটি দাদা, আপনার ক্রিয়েশনের অনেকগুলো NFT আর্ট দেখার আমার সৌভাগ্য হয়েছে। বেশ দারুণ বানিয়েছেন।
These two nft art are deeply beautiful ❤️.
বেশ মজা পেলাম আজকের পোষ্টের শুরুর কথাগুলো পড়ে দাদা, তবে টিনটিন বাবু নিজ হাতে প্রথমবার বাজি পুড়িয়েছেন এটা ছিলো দারুণ খরব। প্রতিটি দৃশ্যই বেশ সুন্দরভাবে ক্যাপচার করেছেন, তবে আমার কাছে ভালো লেগেছে তারাবাজি এবং তুবড়ির দৃশ্য। ধন্যবাদ
শট যখন ফাটে আসলেই দুর্দান্ত লাগে। পুরো আকাশ রঙ্গিন আলোকে আলোকিত করে দেয়।
চরকিবাজি দেখে নতুন নতুন ভয় লাগেই। বনবন করে ঘোরে আর যা আওয়াজ হয় তাতে নতুন ভয় পাওয়াই স্বাভাবিক।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
wooow
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ok
ইশশ, দাদা!
আমিও যদি আপনাদের সাথে বাজি পোড়ানোর সময় থাকতে পারতাম, তাহলে কতই না মজা হতো। জাস্ট ওয়াও!
দেখতে দেখতে দীপাবলীর শেষ পর্বে চলে এলাম। বাজি পোড়ানোর ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল।টিনটিন বাবুর বাজি পড়ানোর কথাগুলো শুনে সত্যিই বেশ ভালো লাগলো। বেশ আনন্দ করেছে বোঝা যাচ্ছে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদেরকেও দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
i like ur post
দীপাবলিতে আলোর উৎসবে মেতে থাকতে আসলে বেশ ভালো লাগে।দাদা চোড়কি বাজিতে আসলে বাচ্চারা সবথেকে বেশি মজা পায়।দীপাবলিতে টিনটিন বাবু অনেক মজা করেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
দীপাবলি আলোর উৎসব সিরিজের আজ ছিল
পঞ্চম পর্ব ।দীপাবলির আলোর উৎসবে চার দিকটা আলোকিত হয় দেখে অনেক ভালো লাগে।দীপাবলিতে টিন টিন বাবু অনেক আনন্দ করেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। এতো আলোকসজ্জা দেখলে এমনিতেই মনটা ভরে যায় আর টিনটিন বাবু তো ছোট মানুষ ওর খুশিটা আরো বিশাল। বাজি পুরানোর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
cool
দীপাবলি'র আলোর উৎসব শেষ পর্বে আমরা আরো কিছু সুন্দর মুহূর্তের কথা ও ছবি দেখতে পেলাম দাদা ৷ ভীষণ ভালো লাগলো ৷ তবে এবার প্রথম টিনটিন বাবু বাজি পুড়িয়েছেন জেনে আরো বেশি ভালো লাগলো ৷ নিশ্চয়ই এটা দারুণ এবং স্মরণীয় একটি দিন ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মুহূর্ত গুলো এভাবে সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য ৷