বাংলার প্রকৃতির কয়েকটি আলোকচিত্র।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৬ই মার্চ,রবিবার, ২০২৫খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে আসার পর ফটোগ্রাফিকে আরো বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। এখন ফটোগ্রাফি একটা নেশা হয়ে গেছে। যেখানেই যায় না কেন ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালো লাগে। মায়ের সাথে বাড়ির পাশে মাঠে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি ক্যাপচায় পড়েছিলাম। এর আগে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজকেও হাজির হয়েছি বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা ফটোগ্রাফি নিয়ে। আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেখে আসা যাক।
ফটোগ্রাফি নং-১
ডিভাইস: গুগোল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে মটরের শাকের ডগায় পড়ন্ত বিকেলের সূর্য। মা মূলত গিয়েছিল মোটরের শাক তুলতে। মটরের শাক খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি খেতে চেয়েছিলাম সেজন্য বিকেল বিকেল দুজন বেরিয়ে পড়েছিলাম আমাদের মাঠের উদ্দেশ্যে। মা যখন শাক তুলছিলো তখন আমি বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করছিলাম। তখনই এই ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি নং-২
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ:১৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি তে রয়েছে মৌরি ফুলের ফটোগ্রাফি। এগুলো কি মৌরিফুল বলে কিনা ঠিক জানিনা। তবে ফুল গুলো দেখে মৌরিফুলের মতই লাগছে। এর আগের ফটোগ্রাফিতেও একটা মৌরিফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। এখানে দেখতেই পাচ্ছেন পুরো জায়গা জুড়ে মৌরি ফুলের ক্ষেত।আমাদের মাঠে খুব বেশি মৌরিফুল নেই। এই ক্ষেতটাতেই দেখলাম মৌরিফুল হয়েছে। তাই ক্যাপচার করেছিলাম। মসলা হিসেবে মৌরি কিন্তু ভীষণ কাজের।
ফটোগ্রাফি নং-৩
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে মোটরের ফুল। শীতকালে এই ফুলের আনাগোনা বেশি দেখা যায়। এখন বসন্ত এসেও দু একটা মটরের ফুল দেখা যায়। তবে এখন মোটরের গাছে ফুলের থেকে ফলের সংখ্যা বেশি। এখন সব মটর গাছেই ফল ধরেছে। যেটাকে আমরা বলি মটরশুটি। অনেকগুলো মটরশুটির মধ্যেও এই সুন্দর ফুলটি আমার নজরে পড়ল। তাই ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
ফটোগ্রাফি নং-৪
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো।
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে পেঁয়াজ ফুলের ফটোগ্রাফি। আমাদের ওদিকে এটাকে পেঁয়াজের কদম বলে থাকে। মাটির নিচে যখন পেঁয়াজ হয়ে যায় তারপরে এই কদম ধরে। এখান থেকে আবার পেঁয়াজের বীজ হয় সেই বিচ রোপন করে পেঁয়াজের চারা গাছ পাওয়া যায়। এভাবেই প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে। এখন মাঠে খেয়াল করলে অনেক পেঁয়াজ দেখা যায়। প্রত্যেকটি পেঁয়াজের মাথায় এরকম ফুল। অনেকে আবার ফুল ধরার আগে পেঁয়াজ কেটে ফেলেন। এটা আমাদের ক্ষেত থেকেই তোলা হয়েছে।
ফটোগ্রাফি নং-৫
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
এই ফটোগ্রাফি তে দেখতে পাচ্ছেন একজন ব্যস্ত কৃষক ফটোগ্রাফি। মাঠে গেলে দেখা যায় কৃষকের নানান ব্যস্ততা। বাংলার প্রতিটি কৃষক প্রত্যেকটি মৌসুমে ব্যস্ততায় থাকে। এক কাজ শেষ হতেই আরেক কাজ এসে হাজির হয়। কৃষকের কোন ছুটি নেই। প্রতিদিন তাদের মাঠে যেতেই হবে। আমরা যেখানে শাক তুলছিলাম তার পাশেই একজন আঙ্কেল এরকম পানি দিচ্ছিল। তখনই আমি ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করেছিলাম। বেশ দূর থেকেই ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করেছিলাম। এরকম ব্যস্ত কৃষকদের কাজ দেখলে বেশ ভালো লাগে।
ফটোগ্রাফি নং-৬
ডিভাইস:গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে পড়ন্ত বিকেলের সূর্য। আমার বেশিরভাগ ফটোগ্রাফিতেই পড়ন্ত বিকেলে সূর্যকে দেখা যাচ্ছে তবে এটা আলাদা। আমি একটি মৌরিফুল ছিড়ে নিয়ে ফটোগ্রাফিটি করার চেষ্টা করেছি। মায়ের সাথে গল্প করছিলাম আর এরকম উল্টাপাল্টা ফটোগ্রাফি করছিলাম। ফটোগ্রাফি করতে যে আমার কি ভালো লাগে আর কি বলব। ফুলের উপড় সূর্য টি দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে।
ফটোগ্রাফি নং-৭
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ:১৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার সর্বশেষ ফটোগ্রাফি তে রয়েছে সবুজ প্রকৃতির সাথে সূর্যি মামা। সূর্য প্রায় পাটে যাওয়ার পথে। এ সময় সূর্যটাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। পুরো আকাশটা রক্তিম বর্ণ ধারণ করে দেখতে অপূর্ব লাগে। সবুজ প্রকৃতির সাথে পরিবেশটা যেন দুর্দান্ত মানিয়ে নেয়। সবুজের সাথে এরকম একটি রক্তিম বর্ণ ধারী আকাশ দেখতে অপূর্ব লাগছিলো।সবুজ প্রকৃতির সাথে এরকম দৃশ্য দেখতে পেয়ে নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলাম না। নিজেও উপভোগ করেছিলাম আর আপনাদেরকেও উপভোগ করার সুযোগ দিলাম।
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আমার কাছে ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে, আর ফটোগ্রাফি দেখতেও খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে ফুলের ফটোগ্রাফি আমি সব থেকে বেশি পছন্দ করি। যে কোনো ফুলের ফটোগ্রাফি দেখলে ইচ্ছে করে এক নজরে তাকিয়ে থাকি। কারণ সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি দেখলে সেগুলোর দিক থেকে আর চোখ ফেরাতে ইচ্ছা করে না। একেবারে মন ছোঁয়া ছিল আপনার তোলা সবগুলো ফটোগ্রাফি।
বাংলার প্রকৃতির কয়েকটি আলোকচিত্র শেয়ার করেছেন।এই ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে বাংলার প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সবুজের সমারোহ এবং আকাশের নীলিমা অসাধারণ।আপনার আলোকচিত্রে বাংলার প্রকৃতির প্রাণবন্ত রূপ ফুটে উঠেছে। প্রতিটি ছবিতে রং ও আলোর ব্যবহার খুবই চমৎকার। ধন্যবাদ আপু আপনাকে
কত সুন্দর ভাবে বাংলার প্রাকৃতিক চিত্র তুলে ধরেছেন। দেখে খুবই সুন্দর লাগছে। কৃষকের ফটোগ্রাফি টা আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পাবে। ধন্যবাদ।
দারুন দারুন ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন আপু। সব সময় আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজকে শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
বাহ্ আপু আপনি তো বেশ দারুণ দারুণ কিছু প্রকৃতির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। প্রকৃতির ফটোগ্রাফি দেখলেই মনটা ভরে যায়। বিশেষ করে সূর্য আর পিঁয়াজ ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছ।বাকি ফটোগ্রাফি গুলো ও দারুণ হয়েছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। আমার কাছে তো মৌরিফুল যেটাকে বলেছেন সেটা দেখতে ভীষণ সুন্দর লেগেছে। তাছাড়া মটরের ফুলটা অসাধারণ এসেছে। আসলে আপনার শেয়ার করা সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রতিনিয়ত এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের গ্রাম বাংলার প্রকৃতি দেখতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে আপনি সূর্যাস্তের দৃশ্য গুলো খুব সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করেছেন। আর ফুলের ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক বেশি সুন্দর। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে একটু বেশি ভালো লাগে।