বেলের শরবত।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমরা সব সময় চেষ্টা করে থাকি শরীর সুস্থ রাখার, আর শরীর সুস্থ রাখতে গেলে আমাদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর খাদ্যের প্রয়োজন। অস্বাস্থ্যকর তেল, ঝাল, মসলাযুক্ত খাবার খেলে কখনোই শরীর ভালো থাকে না। তাই আমরা সবসময় চেষ্টা করি যে খাবারগুলো শরীরের উপকার করে সেগুলোই খাওয়ার। আর আজকে সকাল বেলায় দেখলাম বাবা বাজার থেকে বেশ কয়েকটা বেল কিনে এনেছে। বেল খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকার। বেল আমাদের শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। আর সব থেকে যেটা বেশি উপকার করে কোষ্ঠকাঠিন্যের অর্থাৎ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে বেল খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। বেল আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়, গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা দূর করে, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এছাড়াও বেলের অনেক উপকার আছে। আমি সঠিক জানি না বেল কোন সময় পাওয়া যায় তবে বাজারে বেল দেখলেই আমরা সাথে সাথে কিনে আনি। বেল এমন একটি খাবার যেটা খেতেও অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে, আর সব থেকে বেশি মজা লাগে বেলের এই শরবত করে খেতে। তাহলে তৈরির কাজ শুরু করা যাক আজকের এই সুস্বাদু বেলের শরবত।
-:বেলের শরবতের উপকরণ:-
পাকা বেল
দুধ
গুড়
জল
-:বেলের শরবত তৈরি পদ্ধতি:-
বেলের শরবত তৈরীর জন্য প্রথমে আমি একটি বেশ পাকা মাঝারি আকারের একটি বেল নিয়ে নিলাম। আমার কাছে যেহেতু গরুর দুধ ছিল না বা কোন রকম তরল দুধ ছিল না তাই আমি গুড়ো দুধ দুই প্যাকেট নিয়ে নিলাম এছাড়াও দুই চামচ মত গুড় নিয়ে নিলাম একটি বাটিতে। প্রথমেই পরিমাণ মতো জল দিয়ে গুঁড়ো দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিলাম। আমি এখানে দুধ জাল দিয়ে ফুটিয়ে নিচ্ছি না। কারণ দুধ যদি ফুটিয়ে গরম করে নিই তাহলে আমার আবার দুধটাকে ঠান্ডা করে নিতে হবে। কারণ গরম দুধে বেল গোলালে দুধের ছানা কেটে যাবে এবং বেলের শরবত নষ্ট হয়ে যাবে। সেজন্য আমি ঠান্ডা জলেই দুই প্যাকেট গুড়ো দুধ মিশিয়ে তরল করে নিলাম। এবার বেলটি ফাটিয়ে ভালো করে কেখে বেলের সম্পূর্ণ শাঁস বের করে নিয়ে একটি বড় আকারের ঝাজরির ওপর নিয়ে নিলাম।
এই ঝাজরির ওপরেই আমি বেলটাকে ভালো করে ডলে নিচ্ছি। তাহলে আমার একবারে বেলের শাঁস গামলার মধ্যে নেওয়া হয়ে যাবে আলাদা করে আরো কয়েকটা বাটি মাখামাখি করা লাগবে না। ভালো করে বেলের শাঁস ডলে ডলে কেখে বের করে নেব। মাঝেমধ্যে আবার একটু জলও দিয়ে নিয়েছি তাহলে ভালো করে সম্পূর্ণ বেলের শাঁস এবং ছিবড়া আলাদা হয়ে যাবে। ভালো করে বেলের শাঁস গামলার মধ্যে নেওয়া হয়ে গেলে সেই দুধ এবং বেলের মধ্যেই পরিমাণ মতো গুড় দিয়ে নিলাম। এবার আরো ভালো করে একটি চামচের সাহায্যে নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নিলাম। বেশ কিছুটা সময় ধরে নাড়াচাড়া করে মেশাতে লাগলাম যেন বেল দলা বেঁধে না থাকে। সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে মনে হল অনেক বেশি ঘন হয়ে গেছে। তাই আমি আরও পরিমাণ মতো জল দিয়ে নিলাম।
আবার ভালো করে নাড়াচাড়া করে জলটার সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম এবং একটু পাতলা পাতলা করে গুলিয়ে নিলাম। আসলে বেলগোলা একটু পাতলা করে গোলালে কিছুক্ষণ বাদেই ঘন হতে আসে, আর ঘন করে গোলালে কিছুক্ষণ বাদে দেখা যায় পুরোই জমাট হয়ে যায়। সেই জন্য আমি অনেকটাই পাতলা করে বেলের শরবত তৈরি করি তাহলে একটু পরেই ঘন হয়ে আসে। বেলের শরবত গোলানো হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে নিলাম এবং পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল বেলের শরবত। কোন রকম মসলাদার খাবার খেলে সেদিন যদি এরকম এক গ্লাস বেলের শরবত খাওয়া যায় তাহলে শরীর ভালো থাকে এবং খাবারও ভালোভাবে ডাইজেস্ট হতে পারে। আর বর্তমানে যে ভীষণ গরম পরছে এবং ভবিষ্যতেও যে তীব্র গরম পড়তে চলেছে এই সময়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে এমন বেলের শরবত খেলে অনেকটাই ভালো এনার্জি পাওয়া যাবে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
এ বছর এখনো বেলের শরবত খাওয়া হয়নি। বেলের শরবত আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে এভাবে বেলের শরবত কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে আপনি পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।