গ্রামীণ পরিবেশেই মনে প্রশান্তি মেলে
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আমি ফসলের মাঠের সৌন্দর্য শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।
শহরের জীবনটা বেশ কোলাহল পূর্ণ। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে যখন শহরের দিকে অগ্রসর হয়, বিভিন্ন সাউন্ড যেন আমাকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আর এভাবে প্রতিনিয়ত যখন চলতে থাকি, নিজের মধ্যে একঘেয়েমিতা সৃষ্টি হয়। তাই মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হয় কখন এই পরিবেশ থেকে মুক্তি পাব এবং গ্রামের বাড়িতে ছুটে যাব। ঢাকা শহরে আমাদের যেখানে বাসা সেখানে গ্রামের পরিবেশ রয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক দিনের ব্যস্ততা সেদিকে তাকানোর সুযোগ এনে দেয় না। আর এখানটা সেভাবে আমাকে স্বস্তি দিতে পারে না। নিজের ছেলেবেলা যেখানে কেটেছে, সেই জায়গা সব সময় মধুর পরিবেশ। তাই মাঝেমধ্যে ছুটে যাই গ্রামের বাড়িতে। যেন অন্যরকম প্রশান্তির দেখা মেলে। আরো প্রশান্তির দেখা মেলে ফসলের মাঠে, যখন চোখের সামনে ঘন সবুজ ভাবে পরিবেশন হয়।
এই ফটোগুলো আমি এমন একটা মুহূর্তের ফটো ধারণ করেছিলাম। যখন গ্রামের পথ দিয়ে চলছিলাম, চলতি পথে একটু থেমেছিলাম সুন্দর এই লোকেশন টাকে ক্যামেরাবন্দি করতে। অনেক সুন্দর ভাবে ফটো ধারণ করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু সম্ভব না হলেও চেষ্টা করেছিলাম। গ্রামের ফসলের মাঠগুলো মানুষের নজর কাড়ে। বিশেষ করে যারা বাইরে থেকে গ্রামে আসে, তাদের দৃষ্টিতে বেশি ধরা পড়ে। একদিকে ধানের গাছগুলো কত সুন্দর সতেজ সত্যস্পট ভাবে বেড়ে উঠছে। আরেক দিকে পুকুরের পাশ ঘেঁষে অনেকগুলো নারিকেল গাছ মাথা খাড়া করে রয়েছে। এটা যেন আমাদের গ্রাম বাংলা। সোনার মাটিতে সোনার ফসল। দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। ইট পাথরের পাচিল থেকে বের হয়ে এসে গ্রামের সৌন্দর্যগুলো মানুষের মনে প্রশান্তির যোগায়। এখানে নেই কোন কোলাহল গাড়ির আওয়াজ। একদম প্রাণবন্ত এরিয়া। যতদূর চোখ যায় চোখের চশমাটাও খুলে জানো শুধু দেখতে ইচ্ছে করে।
একটা সময় গ্রামে বড় হয়েছি। গ্রামের কাদামাটি গায়ে লেগে রয়েছে। কিন্তু সে গ্রামকে ছেড়ে যখন শহরমুখী হতে হয়েছে তখন গ্রামের মর্ম বুঝতাম না। কিন্তু এখন অনেক দিন পর গ্রামে আসলেই যেন গ্রামের মর্ম খুঁজে পাই। তবে বেশি ভালোলাগা খুঁজে পাই জন্মভূমির এরিয়াতে। কতই না সুন্দর আমাদের গাংনী মেহেরপুরের লোকেশন। মনে হয় যেন সারাদেশের সমস্ত এলাকার চেয়ে বেস্ট আমাদের এই জায়গা। যেখানেই থাকি না কেন নিজের এলাকাতে আসলেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারি। এখানে শীতল বাতাসের সাথে খুঁজে পাই অনাবিল এক সুখ। পরিচিত মুখগুলো যদি চোখের সামনে উপস্থিত হয় তাহলে আরো ভালো লাগা খুঁজে পাই। এটা আমার গ্রাম বাংলা এটা আমার সুখের নীড়। আর এমন ভালোলাগার অনুভূতি থেকে আমার আজকের এই ফটো ধারণ গুলো ছিল। সুযোগ পেলেই যেন বারবার ফিরে যায় এলাকার মাটিতে।
ফটোগ্রাফি | ফসলের মাঠ |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
গ্রামীন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে গ্রামের দৃশ্য গুলো দেখলে অনেক ভালো লাগে অসাধারণ ছিল।
ধন্যবাদ ভাই
আপনি একদম ঠিক বলছেন এই ধরনের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করলে একঘেয়েমি অনেক দূর হয়ে যায়। এমন সুন্দর সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য আমার খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে গ্রামের পরিবেশে গেলে দেখা যায় এমন সুন্দর সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ গুলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।