স্মৃতি চারণ
উন্নয়নের চাকা সজোরে এগিয়ে যাচ্ছে।যার পরলে পরলে ঢাকা পড়ছে হাজারো সোনালী দিন।যে দিনগুলো কাটত পরিবারের লোকদের সাথে,কাটত বন্ধ-বান্ধবদের সাথে।হতো হরেক রকমের আনন্দ-ফুর্তি।কিন্তু যুগের রথবদলের সাথে সাথে সেগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।
Pixabay link
ছবিটি তো চিনতে পারছেন,তাইনা?হ্যাঁ,ওটা একটা হারিকেনের ছবি।অনেকের কাছে ওটা শুধুই হারিকেন আবার অনেকের কাছে ওটা আবেগ।
এখন নাহয় সুইচ অন-অফ করে সময় কাটাচ্ছেন। একটু ফ্ল্যাশব্যাক করে দেখুন তো।এই হারিকেনের সাথে ছোটবেলায় আপনি কতো মধুর সময় পার করে এসেছেন।সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই হারিকেন লাগিয়ে আপনার মা আপনাকে খুজতে বের হতো এই হারিকেন নিয়েই।খুজে পাওয়ার পর মা-ছেলে একসাথে গল্প করতে করতে বাড়ি ফিরতেন।বাড়ি ফেরার পর আবার সেই হারিকিনের আলোতেই হাত-মুখ ধুয়ে ঘরে ঢুকতেন।গভীরভাবে ভেবে দেখুন,ভেতোর থেকে নাড়া দিয়ে উঠবে।
এতো কথা যে আমি বলছি তা ঠিক হচ্ছেনা।কারণ হারিকেনের সাথে আমি নিজে বেশি সময় কাটাতে পারিনি।বড়জোর বছর দুই বা তিন।তবে এই সময়টুকুতেই বেশ হাস্যজ্জ্বল সময় কাটিয়েছি।রাতে আমি,বাবা আর চাচু একসাথে মেঝের উপর বসে খেতাম আর আলোর জোগান দিত এই হারিকেন।আম্মু পাশে বসে থেকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতো। মাঝে মাঝে কি হতো জানেন?হারিকেনের তেল ফুরিয়ে যেত।বাতাস করা ফেলে আম্মু আবার তেল এনে হারিকেনের ভেতোর ভরিয়ে দিতো।
এখন খুব বেশি দাদিবাড়িতে না গেলেও ছোট বেলায় অনেক সময় পার করেছি।রাতে প্রচুর বৃষ্টি, আর সেই বৃষ্টির ভেতোর হাতে হারিকেন নিয়ে দাদির সাথে আম কুড়াতে বেরোতাম।আহা সে দিনগুলো কতোই না সুন্দর ছিল।
শুধু কিন্তু হারিকেনই না,সাথে ছোট ল্যাম্পো থাকতো।অনেকে হয়তো অন্য নামে চেনেন তবে আমি ল্যাম্পো নামেই জানি।
pixabay link
সেই সোনালী দিনগুলোর কথা কি মনে হয়না?নাকি যুগের রথবদলের সাথে সাথে নিজেরও রথবদল করে নিয়েছেন?আর যাই করুন না কেন,দয়া করে অতীতের সেই সোনায় মুরোনো দিনগুলোকে ভুলবেন না।নাহোলে দেখবেন আপনি জীবনের মানেটাই ভুলতে বসবেন।
আমি তো হারিকেনের ছোয়া তেমন পাই নাই।পোস্ট লেখার সময় আম্মুর সাহায্য নিতে গিয়ে যখনই বললাম কিছু বলোতো আমায় হারিকেন নিয়ে।এই কথা শোনার সাথে সাথেই আম্মু আমায় বলে উঠলো,"তুই হারিকেনের কিছু বুঝিস?"তাহলে একটাবার ভেবে দেখুন তো কতটা মধুর সময়ই না পার করেছে এই হারিকেনের সাথে যাতে আমায় ওভাবে বললো।
Cc.@farhantanvir
Picture source. Pixabay
Date.21/08/21
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
স্বাগতম😍
সময়ের পরিবর্তন এর সাথে সাথে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হওয়ার সাথে সাথে হারিকেনের ব্যবহার হারিয়ে যাচ্ছে। খুব ব্যতিক্রম একটা কন্টেন্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
সময় করে পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া😊
হ্যারিকেন এখন আধুনিকতায় বিলুপ্তির পথে।এটি এখন বেশির ভাগই স্মৃতি হয়ে গেঁথে থাকবে আমাদের মনে।ধন্যবাদ ভাইয়া ।
স্বাগতম।ভালোবাসা নিয়েন আপু💙
অনেক সুন্দর একটি তথ্য উপস্থাপন করেছেন ভাই!
আমার মনে আছে, আমি যখন ক্লাস টুয়ে বা এর নিচের ক্লাসে পড়তাম। তখন সন্ধ্যায় এই হ্যারিকেন-এর আলোয় পড়ালেখা করতাম। পড়ালেখা শেষ করে খাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়তাম৷ আসলেই সে সময়টা সোনালি একটি দিন ছিলো✌️
ভালোবাসা অবিরাম ❤️
আমি ধন্য🥰
হ্যারিকেন। পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন হ্যারিকেনের আলোয় পড়েছি। কালের পরিক্রমায় সেই হ্যারিকেন এখন শুধুই স্মৃতি।
একদম সঠিক বলেছেন ভাইয়া
🙂
সেই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল । যে সময় বাড়িতে হারিকেন এ কেরোসিনের তেল দিয়ে ওই আলোয় পড়তে বসতাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্বাগতম😘
খুবই মনে পরে সেই সন্ধ্যার কথা,যেই সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ছিলো না,আমার প্রতিদিনের কাজ ছিল হারিকেন-এ তেল ডুকানো এবং কাচ পরিষ্কার করা,কাচ পরিষ্কার না হলে আম্মু মাঝে মাঝেই বলতো তারাতাড়ি ঘুমানোর জন্যে চালাকি করছিস,দারা আমি কাচ পরিষ্কার করে দিছি।
সত্যিই সেই দিন গুলো খুবই মনে পরে,চাইলেও আর ফিরে পাবো না সেই সোনালী দিন গুলো
ধন্যবাদ আপনাকে পুরনো কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যে
ভালো লাগলো আপনার পুরনো দিনগুলোর কথা শুনে,ভালোবাসা নিয়েন💙
প্রিয় ভাই খুব সুন্দর লিখেছেন।
বিষয়বস্তু খুব চমৎকার ছিল ♨️

কিন্তু কোন একটি বিষয়ের উপর শুধু মাত্র লিখলেই হবেনা। লিখাটি যথাসম্ভব মার্ক ডাউন ব্যাবহার করে সুন্দর করতে হবে।
মনে রাখবেন আগে দর্শন তারপর গুন বিচারন।
আমাদের @rme দাদার একটি মার্ক ডাউনের ব্যাবহার নিয়ে পোস্ট রয়েছে, অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে চালিয়ে যান 👍
জি ভাইয়া ধন্যবাদ🥰