বিয়ের দিন পার্লারের ফটোগ্রাফী ও মূহুর্ত।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরো একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলের ভালোই লাগবে।

আপনাদেরকে বলেছিলাম যে আমি আমার খালামনির বিয়ের অনুষ্ঠানটির সবকিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তো সে কারণেই চলে আসলাম শেয়ার করতে।

বিয়ের দিন প্রথমে আমি আর খালামনি।সকালের একটু পরে করে অর্থাৎ দুপুরে শুরুর দিকে চলে গিয়েছিলাম পার্লারে। কারণ যেহেতু সাঁজতে এবং ব্রাইডাল সাঁজের একটু বেশ সময় লাগে। সে কারণেই আমরা চলে গিয়েছিলাম।

আর মজার ব্যাপার হলো আমি ঠিক যাওয়ার আগ মুহূর্তেই মেহেদী দিয়েছিলাম। কারণ এর আগের একটি পোস্টে লিখেছিলাম যে খালামণিকে মেহেদি দেওয়াতে অনেক বেশি লেট হয়ে গিয়েছিলো। সে কারণেই আসলে আমি বের হওয়ার একটু আগেই মেহেদী দিয়েছিলাম।

এরপরে আমরা পার্লারে চলে গেলাম। যেহেতু আগে থেকেই আমাদের দুটো বুকিং দেয়া ছিলো।অর্থাৎ আমার আর খালামনির। তো সে কারণেই আমরা আমাদের পেমেন্টটা ক্লিয়ার করে এরপরে বসলাম। বসার সাথে সাথেই আপুরা এসে চা দিয়ে গেলো। কারণ বুঝতেই পারছেন সাজার বিষয়টা খুবই বিরক্তিকর এবং লং টাইমের একটা ব্যাপার। সে কারণেই সতেজ রাখতেই একটু পরপর তারা চা দেয়।

দেখতেই পাচ্ছেন আমার হাতে তখনও খুব একটা মেহেদির কালার আসেনি। কারণ তখনই আমি মেহেদিটা উঠিয়েছিলাম। আর এটা যেহেতু অর্গানিক মেহেদি সেহেতু রঙ আসতে কিছুটা সময় লাগে।

এরপরে ড্রেস চেঞ্জ করলাম। কারণ সাঁঝের আগে ড্রেস চেঞ্জ করতে হচ্ছিলো। তা না হলে সাজ নষ্ট হয়ে যাবে পরে।এরপর লেন্স পরলাম। আর লেন্স পরতে আমার একটু কষ্টই হয়। অর্থাৎ চোখে পানি চলে আসে। তাও পরলাম।এরপর সাঁজ কমপ্লিট করা হলো। বেশ অনেকক্ষণ ধরে অর্থাৎ প্রায় দুই ঘন্টা ধরে।

এর একটু পরে খালামণির সাজ কমপ্লিট করা হলো। আর খালামণিকে মারাত্মক সুন্দর লাগছিলো দেখতে।

এরপর আমি আর খালামণি কিছু ফটোগ্রাফি করছিলাম। যেহেতু আমাদের দুজনের সাজ কমপ্লিট হয়ে গিয়েছিলো। আর তখনও আমাদের গাড়ি আসেনি।

এরপরে খালামণি আমার কিছু ফটোগ্রাফি করছিলো। অর্থাৎ এটা আমাদের মোটামুটি চিরাচরিত অবস্থা। বউ বলে কি আর পার পাবে! হাহাহা।

খালামণি কিন্তু আমার ফটোগ্রাফি বেশ ভালোই করে।

এরপরে আমিও খালামণির কিছু ফটোগ্রাফি করে দিলাম। আর দেখতেই পাচ্ছেন খালামণির মেহেদীর কালারটা কি সুন্দর এসেছে।

এরপর সামনে একটা লং আয়না ছিলো ওয়েটিং রুমে। তো আমরা ভাবলাম একটু আমাদের সাজটা দেখে নেওয়া যাক। সেই সাথে ফটোগ্রাফিও করা যাক।

এরপরে আমি খালামনির ফটোগ্রাফি করে দিচ্ছিলাম।

আর খালামণি ও আমার ছবি তুলে দিচ্ছিলো।

এরপরে খালামণির বান্ধুবী আসলো। আর খালামণি বেশ ভালো লেস লাগাতে পারে। তাই ওনার বান্ধবীর লেস লাগিয়ে দিচ্ছিলো।

এরপর তো আমাদের গাড়ি নিতে চলে এসেছিলো। পরবর্তী পোস্টে আপনাদের সাথে ক্লাবের ফটোগ্রাফি গুলো অবশ্যই শেয়ার করবো,ধন্যবাদ।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।