খেজুর গাছ নিয়ে কিছু কথা 🌴🎄 | আমার বাংলা ব্লগ ১৬/০৬/২০২৩.
হ্যালো বন্ধুগণ,
সকলে কেমন আছেন, আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আজকে আমি @moshiur69 আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে খেজুর গাছকে নিয়ে একটি পোস্ট করতে চলেছি। আশা করছি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
[তো চলুন শুরু করা যাক আজকের টপিক পোস্ট খেজুর গাছ]

৬টি ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ, যার মধ্যে সবথেকে প্রিয় ঋতু হলো শীতকাল। কারণ, এই শীতকালে প্রকৃতি তার উষ্ণতায় ছেয়ে যায়। শীতকালে শীতের পিঠা, খেজুরের রস থেকে শুরু করে যাবতীয় মজার সব খাবার পাওয়া যায়। তবে শীতকালের সবথেকে মজা এবং সব থেকে মজার খাবার তৈরি হয় এই খেজুরের রস থেকেই। বাংলাদেশ কার্তিক মাসের শেষে অগ্রাহন মাস থেকে শুরু হয় শীতকালে, যা চলে পৌষ-মাঘ মাস পর্যন্ত। ঠিক তখনই খেজুরের গাছ বেড়ে উঠে, পড়তে শুরু করে রস, যা সংগ্র করে থাকেন গাছি।
আমরা সকলেই জানি খেজুর গাছ থেকে রস হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সকল অঞ্চলেই এই খেজুর গাছের রস অধিক জনপ্রিয়। এবং এই রস থেকে যে গুড় তৈরি হয় সেটিও অনেক জনপ্রিয়। কিন্তু খেজুর গাছ থেকে রসের সাথে সাথে ফলও পাওয়া যায় কিন্তু এই ফলটিকে তেমন গুরুত্ব পূর্ণভাবে নেওয়া হয় না। কিন্তু যখন এই ফলটি পেকে যাই তখন ফলটি খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি লাগে। শৈশবকালে আমরা অনেক খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতাম এবং সেগুলো কোন একটি কাপড় দিয়ে ছেঁকে খেতাম। অনেকেই রসগুলো সংগ্রহ করে সেগুলো রান্না করে গুড় বানিয়ে খেতো। এমন কোন রাত ছিল না যে রাতে আমরা খেজুর গাছ থেকে খেজুরের রস চুরি করে খেতাম। শুধু খেজুর গাছ থেকে রস কিংবা ফল ই পাওয়া যায় না। খেজুর গাছ থেকে আমরা আরো অনেক কিছু পেয়ে থাকি যেমন:- রস, ফল, গুড়, পিঠা এবং গাছ কাটার পর গাছ থেকে আমাদের ঘুমানোর জন্য তুসক তৈরি করা হতো। আজ পর্যন্ত আমরা খেজুরের রস এবং খেজুরের ফল খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। গ্রামাঞ্চলের সবাই কাছ থেকে খেজুর কেটে এনে বাড়িতে পেকোতে দেন।
সোমা বিশ্বাস
খেতে ভারি মিষ্টি
খেজুর গাছের অমৃত রস
সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টি
যে খেয়েছে একবার
সে সময় যাবে ভুলে
চোখটি বুঝো সুখ নেবে
সর্গে যাবে চলে
গাছে উঠে ছুড়ি দিয়ে
চাঁচতে হয় গাছ
তারপর ধাতুর চামচ ঢুকিয়ে
করতে হয় কাজ।
সারাদিন গাছের রস
চুইয়ে পড়ে পাত্রে
খেজুর গাছ নীরবে কাদে
পারে না ফেলতে হাতড়ে।
সে তো এক নিরব প্রাণ
কি করবে সে?
নীরব পাত্রে অশ্রু ঝড়ায়
কোথায় পালাবে?
চাষীদের কাজ চাষীরা করে
রস করবে সঞ্চয়
কিছু চাষী দরিদ্র বড়
তারা যে নিরুপায়।
এইভাবে যার কাজ
সে করে যায়
খেজুর রস দিয়ে সুস্বাদু
খাবার তৈরি হয়।
সুস্বাদু মিষ্টি খেজুরের রস সংগ্রহে প্রথমেই গাছটি ভালো করে কেটে নিতে হয় এরপর চুন দিয়ে পরিষ্কার করে মাটির পাত্র বা হাড়ি ঝোলাতে হয়। এ সকল কাজ করার পর সারা রাত জুড়ে গাছ বেয়ে টপটপ করে রস পড়তে থাকে। এবং খুব ভোরে শীতের কুয়াশা মোড়ানো সকালে মধ্যে গাছিরা গিয়ে সেই রস সংগ্রহ করে। আপনারা যারা গ্রামে বসবাস করেন তারা জানেন খেজুরের রস সংগ্রহ পদ্ধতি এবং তারাই জানেন খেজুরের রসের মজা কেমন।
যখনই গ্রীষ্মকাল পেরিয়ে আমাদের মাঝে শীতকাল আসে, তখনই আমরা প্রথমে যে কথাটি ভাবি সেটি হলো খেজুরের রস। কারণ শীত মানেই খেজুরের রস আর খেজুরের রস থেকে মজার মজার সব পিঠা পুলি তৈরি করা হয়। যার কারণে এই শীতকালের কুয়াশা মোড়ানো সকালে আমরা সকালে খেজুরের রস খেতে অনেক পছন্দ করি ভালোবাসি।
শীত এসেছে আমার দেশে, দেশটাকে ভাই ভালোবেসে
শীত এসেছে পিঠা নিয়ে, খেজুরের রস মিঠা নিয়ে।*
শীতকালে মজার মূল কেন্দ্রবিন্দু থাকে খেজুরের রস। যা খেতে যেমনি সুস্বাদু তেমনি রয়েছে তার অনেক ধরনের উপকারিতা। তবে এর মাঝে আরেকটা অপকারিতার কথা ভুলে গেলে হবে না, আর সেটা হলো নতুন করে খেজুর রসে দেখা দিয়েছে এক ধরনের ভাইরাস! যার নাম নিপাহ্ ভাইরাস। তাই আমাদের খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা কিছু করণীয় তা মানতে হবে।
আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি, সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে এখানেই বিদায় নিলাম।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপনি আজকে আমাদের মাঝে খেজুর নিয়ে অসাধারণ মূল্যবান মতামত শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টে পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে এই খেজুর পাকলে খেতে বেশ ভালো লাগে। খেজুর গাছের রস দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হয় খেতেও বেশ সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে খেজুর নিয়ে অসাধারণ মূল্যবান মতামত শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টে পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে এই খেজুর পাকলে খেতে বেশ ভালো লাগে। খেজুর গাছের রস দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হয় খেতেও বেশ সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আমাদের দেশে যে খেজুর গাছ দেখতে পাওয়া যায় তার ফল গ্রামীণ জনপদে বেশ জনপ্রিয়। রসের জন্য প্রতিবছর কাটা হয়।শীতকালে পানীয় হিসাবে খেজুর রসের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত রস দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়।খেজুর খেতেও অনেক ভালো লাগে।আমাদের বাড়িতে খেজুর গাছ আছে যখন খেজুর গুলো একটু বড় হতে থাকে তখন এর ভিতরের সাস গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে।খেজুর নিয়ে এতো সুন্দর করে নিজের অনুভুতি ও কবিতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খেজুর এবং খেজুর গাছ নিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন । পুরো পোস্ট করে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এরকম খেজুর আমি ছোটবেলায় আমার নানুর বাড়িতে দেখেছিলাম। এখন আবার এই খেজুরগুলো তেমন একটা চোখে পড়ে না। খেজুরের রস আসলে বিভিন্ন রকম পায়েস পিঠা তৈরি করা হয় যা খেতে খুবই সুস্বাদু। আর পিঠাগুলো বেশিরভাগ শীতের সময় তৈরি করা হয়। কবিতাটিও বেশ ভালই লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।