নদীর পাড়ে একটি সুন্দর বিকেল ও কিছু ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামুআলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি। সবাই নিজ নিজ পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দে মেতে উঠুন। আজকে সারাদিন বৃষ্টি কারণে বাইরে তেমন একটা যেতে পারিনি। গত কিছুদিন আগের কথা , আমার এক বন্ধু আমাকে এসে বলল ও একটা জায়গায় গিয়েছিল সেখানে নাকি সবুজ ঘাসে ভরা আর নদীর মাঝখান দিয়ে উঁচু একটা জায়গা। তখনো নদীতে পানি আসেনি। এই জায়গাটায় ও গত দিন গেছিলো আর ওর নাকি অনেক ভালো লেগেছে।
ও আমাদের সবার কাছে এসে বলছে আর আমরা প্ল্যানও করে ফেলছিলাম যে পরের দিন আমরা সে জায়গাটাতে যাব। প্ল্যান মত পরের দিন সেই জায়গায় গিয়ে যা দেখলাম, দেখে তো আমরা পুরাই অবাক। যে জায়গায় ও খালি পায়ে হেঁটেছে গতকালকেই সেই জায়গায় আজকে নৌকা চলাচল করছে। হাসবো নাকি কাঁদবো। হাহাহা।
সেদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করছিলাম যে নদীতে নতুন পানি আসছে। ভেবেছিলাম এতদূর এখনো সে পানি এসে পৌঁছয়নি কিন্তু পানি যে এত পরিমাণ এসেছে সেটা ধারণাও ছিল না। যাইহোক সেদিন আর খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটা হলো না। এরপর আমরা আবার প্ল্যান করলাম আমরা সবাই মিলে একসাথে গিয়ে এবার নৌকায় ঘুরবো। পরের দিন গেছিলাম ও সবাই একসাথে। আমরা ৮ জন গেছিলাম নৌকায় ঘুরবো বলে।
নদীর পারে যখন সবাই পৌছালাম তখন নদীর নতুন পানির দিকে মনটা ভরে গেলো। তবে আবার একটা সমস্যার দেখা পেলাম। এক ভাগ্নের নৌকা ছিল সে ভাগ্নে নৌকার বৈঠা না নিয়েই চলে আসছে। নদীতে এক্কেবারেই নতুন পানি আসার কারণে এখনো বাকি নৌকাগুলো সেভাবে প্রস্তুত করে রাখা হয়নি। না হলে অন্যান্য নৌকা থেকে বৈঠা নিয়ে কাজ চালানো যেত। যাইহোক শেষমেষ নৌকায় আর চড়া হলো না। সাথে করে অনেকগুলো গরম মুচমুচে সিঙ্গারা নিয়ে গিয়েছিলাম। সবাই একসাথে ঘাসের উপর বসে সিঙ্গারা খেলাম। এ অনুভূতিটাও দারুন ছিল।
আষাঢ় মাস বলে কথা কখন কিভাবে মেঘ চলে আসে বোঝাই যায় না। একটু আগেও ছিল রৌদ্রজ্জ্বল পরিবেশ। কিছুক্ষণের মধ্যে কালো মেঘে আধার ঘনিয়ে আসলো। তবে আমরা বৃষ্টিতে ভিজবো বলে প্রস্তুত হয়ে গেলাম। যদিও পরে তেমন একটা বেশি বৃষ্টি হয়নি। সব মিলিয়ে পুরো বিকেলটাই আমরা একসাথে বেশ মজা করে কাটিয়েছি। এ দিনগুলোই পরে স্মৃতি হয়ে থাকে।
কিছু মুহূর্তের জন্য আমরা ছেলেবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম। নদীর পাড়ে খেয়াল করবেন ছোট গোল কাটাযুক্ত ফলের গাছ পাওয়া যায় প্রচুর। নামটা সঠিক জানা নেই বলে বলতে পারলাম না। এই ফলগুলো মাথায় মারলে চুলে আটকে যায়। ওগুলো ছিড়ে আমরা ছোটদের মতো মাথায় মারামারি করলাম কিছুক্ষণ। একেবারেই ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়া।
নদীতে দেখলাম দুজন ছোট বাচ্চা বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি মাছ পরছে? ওরা বলল ছোট ছোট মাছ পাওয়া যাচ্ছে, বড় মাছ ধরছে না। ১০-১২টা পুঁটি পেয়েছে ওরা। এবার বড়শি নিয়ে নদীতে আসার ইচ্ছা আছে একদিন। দেখা যাক সময় সুযোগ হয়ে ওঠে কিনা। গল্পগল্পে অনেকগুলো ছবি ও শেয়ার করে ফেললাম আপনাদের সাথে। কেমন লাগলো জানাবেন। আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ্ হাফেজ।
লোকেশন: পদ্মা নদীর কোল।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই নদীর পাড়ে এরকম সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। যেটা কিছুদিন যাবত উপভোগ করে চলেছি। তার পাশাপাশি আজকে গিয়েছিলাম নদীতে গোসল করতে অনেক মজা করেছি।
বাহ দারুন তো।
ঠিক আছে সুমনদা তাহলে একদিন বরশি নিয়ে যেতে পারেন মাছ ধরার জন্য। তবে বৈঠা নিয়ে যায়নি তাতে কি হয়েছে, আপনাদের হাত তো ছিল, ওটা আরো অনেক বেশি কার্যকরী হত বৈঠার থেকেও। হা হা হা...তবে ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর ছিল।
নৌকার উপর একটা ছোট বাঁশ ছিল ওটা নিয়েই চলে যাওয়া যেত কিন্তু সমস্যা হল প্রচুর বাতাস ছিল নদীতে।
ভাইয়া নদীর পাড়ে এভাবে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। সত্যি নদীতে নতুন পানি আসার কারণে দেখতে অনেক ভালো লাগে। আসলে বর্ষাকাল বলে কথা একদিন আগে হেঁটে গিয়েছেন আজ নৌকা দিয়ে যেতে হয়েছে।আর এমন ঘুরাঘুরি করলে ছোটবেলায় ফিরে যেতেই হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
নদীর পাড়ে বন্ধুদের নিয়ে ঘুড়তে গিয়ে মজা করলেন। কিন্তু নৌকায় ঘুরা হলো না। কোন কিছু প্ল্যান করে গেলে না হলে বেশ মন খারাপ হয় । ফটোগ্রাফিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে।বন্ধুদের সাথে বেশ মজা করার অনুভুতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তবে আমরা শেষমেষ যথেষ্ট আনন্দ করেই ফিরেছি। 🥳
নদীর পাড়ে বিকেলর সুন্দর মূহুর্ত ও কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে খুবি ভালো লেগেছে আমার।
জেনে ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ
নদীর পাড়ে এত সুন্দর একটি জায়গা দেখলে সবার মনটা ভরে যাওয়ারি কথা। নদীতে যখন নতুন পানি আসে সেই পানিগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে এবং পানিগুলো থাকে অনেক পরিষ্কার ও স্বচ্ছ। নদীর পাড়ের সুন্দর মুহূর্ত এবং সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমি কিন্তু ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে বেশ কিছুক্ষন খিল খিল করে হাসলাম।ভাবছি আবার বরশি নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে দেখবেন নদীতে মাছ নেই। হি হি হি। নদীর মাঝে খানে জেগে উঠা ঘাস দেখতে গেলেন পেলেন না, নৌকায় চড়তে গেলেন বৈঠা নেই, বৃষ্টিতে ভিজতে গেলেন বৃষ্টিও তেমন হয়নি। সব মিলিয়ে হাসলাম কিছুক্ষন। তবে একটা জিনিস কিন্তু ঠিকই হয়েছে। তা হলো শৈশবে কিছুটা সময় হারিয়ে যাওয়া। অসাধারন ছিল সব মিলিয়ে।
সত্যিই যেটা চেয়েছি সেটা পাইনি কিন্তু আবার অনেক বেশিই পেয়েছি। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
নদীর পাড়ের অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যের মাঝে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। যদিও নৌকায় চড়তে পারেননি তারপরও এরকম মনোরম পরিবেশের মাঝে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। সত্যি ভাইয়া নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আর এরকম সুন্দর মনোরম পরিবেশে বসে বড়শি দিয়ে যারা মাছ ধরছে তারাও নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছে। যাহোক আপনার কাটানো চমৎকার একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।