ফিচার | নুডলস | আমার জীবনে নুডলস নিয়ে নানা অভিজ্ঞতা | ১০% @btm-school
নুডলস খেতে কে না পছন্দ করে! ছোট থেকে বড় সবারই পছন্দের তালিকায় নুডলস থাকবেই। একদিকে যেমন এর প্রচুর পুষ্টিগুণ ও ঝটপট তৈরি হয়ে যায়, সেই সাথে অল্পতেই পেট ভরে যায় এবং খেতেও দারুন মজাদার ও সুস্বাদু। আমাদের বাসায়ও নুডলস সবার পছন্দ। আমারও নুডলস অনেক পছন্দ, বিকালের নাস্তায় অথবা সন্ধ্যায় এক বাটি নুডলস খেতে খুবই মজা লাগে। আমার ছেলে তাহমিদ তো পারলে তিনবেলাই নুডলস খায়, এমনকি ভাতের চেয়ে তার নুডলসের প্রতি বেশি আকর্ষণ।
আমাদের বাসায় বিভিন্ন ধরণের নুডলসের মজুদ থাকে এবং সেগুলো নিয়মিত খাওয়া হয়। কিছু আছে স্টিক নুডলস, সেগুলো সাধারণত ডিম অথবা মাংসের টুকরো দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়। আর আছে বিভিন্ন কোম্পানীর প্যাকেট নুডলস, সেগুলোতেও ডিম-মাংস দিয়ে খাওয়া যায়। তবে আমরা তার সাথে নানা রকম সবজি যেমন আলু, টমেটো, গাজর, ফুলকপি, মটরশুটি ইত্যাদি মিশিয়ে খাই, তাতে নুডলসের পুষ্টিগুণ বহুগুনে বেড়ে যায়। আবার বর্তমানে কিছু কোম্পানীর 'রেডি টু কুক' নুডলস পাওয়া যায়, যেগুলো কাপে থাকে। তারমধ্যে সিদ্ধ নুডলস, মশলা, সবজির গুড়া, সস ইত্যাদি দেয়াই থাকে। সেগুলো রান্না করা খুবই সহজ, জাস্ট কাপের ঢাকনাটা খুলে সবগুলো ইনগ্রিডিয়েন্টস প্যাকেট থেকে খুলে তাতে পরিমাণমত গরম পানি দিয়ে ঢাকনাটা ৫ মিনিট বন্ধ করে রাখলেই নুডলস তৈরি। এটা খেতেও বেশ মজাদার, বাচ্চারা খুবই পছন্দ করে।
অনেক সময় আমি বাসায় যখন একা থাকি, তখন মাঝেমধ্যে রাতের বেলা অন্যান্য রান্নার ঝামেলায় না গিয়ে খুব সহজে ও অল্প সময়ে নুডলস বানিয়ে খেয়ে ফেলি। তাতে ডিম, মাংস, আলু ও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান থাকে। ফলে পেটও ভরে আবার মজা করে খাওয়াও হয়ে যায়। অনেক সময় বাসায় অতিথি এলে ঝটপট নুডলসের এমন নানা পদ রান্না করেও পরিবেশন করা হয়। ধারণা করা হয়, নবম শতক থেকেই চীনে নুডলস খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়। এরপর সেটা জনপ্রিয় হতে হতে জাপান, কোরিয়া ও পারস্যতেও পৌঁছে যায়। এভাবেই আস্তে আস্তে নুডলস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। আর বর্তমানে এমন কোন দেশ নাই যেখানে নুডলস পৌঁছেনি বা পাওয়া যায়না।
এটা কিন্তু কোন রেসিপি পোস্ট নয়, জাস্ট নুডলস নিয়ে আমার ভাবনা, এটাচমেন্ট ও অভিজ্ঞতা। ছবিতে দেখানো প্রত্যেকটি নুডলস আমার নিজের হাতে তৈরি। আশাকরি আপনাদেরও সবারই নুডলস অনেক পছন্দ এবং সবাই কম-বেশি নুডলস রান্না করতে পারেন। আপনারাও আপনাদের যার যার এমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবার জন্য শুভ কামনা।
অনেক ধন্যবাদ।
খুব লোভনীয় হয়েছে, আমিও ভালো করতে পারি। নিজের প্রশংসা নিজেই করলাম
ভেরি গুড! সবারই কম-বেশি রান্না শিখে রাখা উচিত, তাতে প্রয়োজনের সময় কাজে লাগে, তা নাহলে অনেক সময় বেশ বিপদেও পড়া লাগতে পারে।
হ্যাঁ, একদম ঠিক কথা বলেছেন।
👍
ভাইয়া রান্না পারেন তাহলে
হুম, অবশ্যই পারি।
মাছ, মাংস, সবজি, ভাজি, ভর্তা সবই পারি।
নিজে রান্না জানার উপকারীতা অনেক। 😁