নৈশ প্রহরী||

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

||আজ-২০ই, বৈশাখ||১৪৩০বঙ্গাব্দ,গ্ৰীষ্মকাল||


❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হলাম বন্ধুরা।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।

blue-light-1675686_1920.jpg

সোর্স

আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে যাচ্ছি,সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।আমার আজকের ব্লগটির বিষয় একজন নৈশ প্রহরী নিয়ে। রাতের নিরাপত্তার জন্য নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয় থাকে।যেকোনো বাসা-বাড়ি,অফিস,কলকারখানা,বাজার ইত্যাদি স্থানে তারা দায়িত্ব পালন করেন। শীত, গ্রীষ্ম,বর্ষা সবসময় তারা তাদের কাজে নিয়োজিত থাকেন।সারা রাত জেগে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেন।আমার তাদের প্রতি মন থেকে একটু বেশি শ্রদ্ধা আসে।কেননা সারা রাত জেগে কতো কষ্ট করেন তারা।যদিও তারা পারিশ্রমিক পান কাজের জন্য,কিন্তু আমার মনে হয় তাদের এই কাজের জন্য কিছু পারিশ্রমিক যথেষ্ট নয়।

বিশেষ করে শীতের দিনে তাদের বেশি কষ্ট হয়ে থাকে।এই জিনিসটা আমি উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম গত শীতে।আমার বাসা যেহেতু বাজারের নিকটেই,তাই এখানে নৈশ প্রহরী বাজার পাহারা দেন।এবার আপনারা যারা বাংলাদেশে ছিলেন,শীতের তীব্রতার ভয়াবহতা কারোই অজানা নয়।এই শীতের পুরো সিজন আমি দেখেছি পুরো রাত্রি জুড়ে পাহারা দিতে।যিনি বাজারের এই অংশের দায়িত্বে ছিলেন,তার বয়স ৬৫-৭০ এর মধ্যে ছিল।এই বয়স টা হয়তো কাজের বয়স না তার জন্য,বিশ্রামের বয়স বলা যায়।তারপরেও প্রয়োজনের তাগিদে তিনি কাজ করেছেন।এই বিষয় গুলো দেখতে অনেক খারাপ লাগে।জীবন কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে তাদেরকে দেখলে উপলব্ধি করা যায়।তখন নিজের জায়গায় দাড়িয়ে একটা কথা মনে হয়, সৃষ্টিকর্তা তো অনেক ভালো রেখেছেন।

design-3112867_1920.jpg

সোর্স
জীবন সবার জন্য সহজ নয়,সৃষ্টিকর্তা আমাদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।তাই যে যেই অবস্থাতেই থাকিনা কেন আমাসের সর্বদায় সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত।যাইহোক হঠাৎ করে আমার এই নৈশ প্রহরীকে নিয়ে লেখার কারণ টা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি এখন।গত মাসে আমাদের এখানে একটু ছোটখাট চুরি হয়।আমাদের বাসার পাশের বিল্ডিং এ ওয়াল্টনের শোরুম।এই এরিয়ার মোটামুটি অনেকটা জায়গা আমরা যেই বাসায় থাকি,বাসার মালিকের।তো বাড়িওলার ওয়াল্টনের শোরুম থেকে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়।দুইটি এলইডি টিভি এবং কিছু বৈদ্যুতিক তার।যদিও আমাদের বাসা এবং দোকানের সামনের এরিয়া সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত ছিল চুরির পূর্বে।কিন্তু তারপরেও চোর সিসি ক্যামেরার বাইরের এরিয়া দিয়ে এসে চুরি করেছিল,অর্থাৎ পিছন দিক থেকে দোকানের।ধারণা করা হয়,জানাশোনা লোকই চুরি করেছে।কিছুদিন হলো আমাদের বাসা পর্যন্ত পাহারা বন্ধ থাকায় মূলত এই চুরির ঘটনা ঘটে।তাই বাড়িওয়ালা বাসা এবং দোকানের পিছনের অংশেও এখন সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছেন।বর্তমান তিনি বাসা এবং দোকান পাহারা দেওয়ার জন্য নৈশ প্রহরীও রেখেছেন একজন।আর এই নৈশ প্রহরীর বয়স ও প্রায় ৬৫-৭০ এর মধ্যে।শীতকাল পর্যন্ত বাজার পাহারা দিতেন যিনি,তিনি অন্য একজন ছিল একই বয়সী দুজন।সেদিন কাল বৈশাখী ঝড় ছিল,তারপরেও তিনি পাহারা দিয়েছিলেন।সেটা দেখে অনেকটাই খারাপ লেগেছিল।এতো বয়সে এসে প্রয়োজনের তাগিদে এতোটা কষ্ট করতে হচ্ছে মানুষটিকে।এই বিষয় গুলো বেশ উপলব্ধি করায় আমাকে মাঝে মাঝে।তাই আপনাদের মাঝে একটু শেয়ার করা নিজের ভাবনাগুলো আরকি।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।


Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

❤️আল্লাহ হাফেজ❤️

Sort:  
 2 years ago 

আপু আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে নৈশ প্রহরী নিয়ে একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন।নৈশ প্রহরী হচ্ছে রাতের পাহারাদার। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু এত বয়সে লোকটির কাজ করা ঠিক হচ্ছিল না। এই বয়সটা ছিল তার বিশ্রাম নেওয়ার বয়স। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আপনার এই পোস্ট কিছু সময় পড়ার পরে আমারও তাই মনে হল যে নৈশ প্রহরীরা শীতের দিনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে কারণ শীতের প্রকোপে রাতের বেলায় আমরা সাধারণত লেপের নিচে গিয়ে ঠাঁই নিই। কিন্তু তারা হাড় কাঁপানো শীত আর কুয়াশার মধ্যে নিজের দায়িত্ব পালন করে।

 2 years ago 

জি ঠিক বলেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপু, আপনি নৈশ প্রহরীদের নিয়ে খুবই চমৎকার লিখনী লিখেছেন। আপনার লেখা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি ঠিকই বলেছেন, শীত কিংবা বর্ষাকালেই হোক নৈশ প্রহরিরা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন। আর তারা এ বয়সে এসে অন্যের সম্পদকে নিজের সম্পদ মনে করে রক্ষণাবেক্ষণ করেন। কিন্তু সেই অনুযায়ী তারা কিন্তু কখনো তাদের পারিশ্রমিকটা পায় না। কেননা আমার বাড়ির পাশে একজন নৈশো প্রহরী আছে তার গল্পটিও ঠিক আপনার গল্পের মত। যাই হোক আপু, নৈশ প্রহরী নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে সাবলীল মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

যদিও আপু আমরা নৈশ প্রহরীর চাকরিটা বেশ ছোট চোখে দেখি কিন্তু বিশাল একটা দায়িত্ব নিয়ে ওনারা রাত দিন পরিশ্রম করে কাটুনি করেন। কিন্তু মালিক পক্ষরা যথা সময়ে যথাযথ পারিশ্রমিক দিয়ে মূল্যায়ন করে না। তাদের কাছে বৃষ্টি কিংবা শীতকাল কোন ভেদাভেদ নেই একনাগারে পাহারা দিয়ে থাকেন। অনেক সুন্দর অনুভূতি লিখেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি টপিকস নিয়ে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকেও সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

বেশ সুন্দর একটি টপিক্স নিয়ে আজ ব্লগ করেছেন আপু। আসলে আমরা কেউ নৈশ প্রহরীদের নিয়ে ভাবী না। শীত গ্রীস্ম কি বর্ষা সব সময়ে তারা আমাদের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের কে নিবেদিত করে থাকে। কিন্তু তারা কি ভাবে চলে, তাদের জীবন কিভাবে কাটে। লোকটির জন্য আমার বেশ কষ্ট হচ্ছে। কেন যে এই বয়সে সে চাকুরী করতে গেলেন।

 2 years ago 

বেশ সুন্দর একটি টপিক্স নিয়ে আজ ব্লগ করেছেন আপু। আসলে আমরা কেউ নৈশ প্রহরীদের নিয়ে ভাবী না। শীত গ্রীস্ম কি বর্ষা সব সময়ে তারা আমাদের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের কে নিবেদিত করে থাকে। কিন্তু তারা কি ভাবে চলে, তাদের জীবন কিভাবে কাটে। লোকটির জন্য আমার বেশ কষ্ট হচ্ছে। কেন যে এই বয়সে সে চাকুরী করতে গেলেন।

 2 years ago 

জি আপু ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আসলে এখন মানুষ দরিদ্রতার জন্য নিজেদের শরীরের খেয়াল রাখে না। ওই লোকটির এরকম বয়সে এই কাজটি করা একেবারেই উচিত হচ্ছিল না। রাতের বেলায় শীতের প্রকোপে তারা অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে এই কাজগুলো করে। এরকম শীতের মধ্যেও তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে। নৈশ প্রহর নিয়ে আপনি আজকে খুব সুন্দর লেখা লিখেছেন যা পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।

 2 years ago 

আমার লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু।ধন্যবাদ সবসময় সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে নৈশ প্রহরীগুলো সব সময় চেষ্টা করে তাদের সর্বত্র দিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করার। শীতের সময় কুয়াশার মধ্যেও তারা তাদের সেই দায়িত্ব গুলো পালন করে। খুবই সুন্দর টপিক ছিল আপনার আজকের লেখা। নৈশ প্রহরী নিয়ে খুবই সুন্দর পোস্ট লিখেছেন আপনি। ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটি আমার কাছে।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সবসময় পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

এই মানুষগুলোর কষ্ট দেখলে সত্যি খুব খারাপ লাগে আপু। নিজের চোখের সামনে অনেকবার দেখেছি রাত্রেবেলা ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কিভাবে কর্তব্য পালন করে থাকেন। আর তার তুলনায় পারিশ্রমিক একদম নগণ্য। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা এই মানুষদের যোগ্য সম্মানটুকুও দিতে পারি না। আমাদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে এই মানুষগুলো দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের উচিত তাদের প্রাপ্য সম্মান এবং ন্যায্য অধিকার টুকু অন্তত দেওয়া।

 2 years ago 

জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.25
JST 0.034
BTC 95840.97
ETH 2689.81
SBD 0.68