রবিবারের বিকেল //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন। আজ আপনাদের সাথে আজ বিকেলে কাটানো কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
বেশ কয়েকদিন ধরে কলেজে প্রজেক্টের চাপে ভীষণ রকম ব্যস্ত আছি।ঠিক মতো কোনো কাজই করা হয়ে উঠছে না। কিন্তু সারা সপ্তাহ খুব ব্যস্ততার মধ্যে থাকলেও সপ্তাহে একটা দিন মনে হয় যে কোথাও থেকে ঘুরে আসি।এতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। আর কিছুটা চাপ মুক্ত লাগে। তার মধ্যে রবিবার এলেই আরো বেশি মনটা ঘুরু ঘুরু করে।তাই আজ কিছুটা সময়ের জন্য বেরিয়ে এলাম। আমার মনে হয় যখন মানুষের কাজের খুব চাপ থাকে তখন সবকিছুই একঘেয়ে লাগে হয়তো তখন কিছু কিছু সময় ইচ্ছে থাকলেও কাজে মন বসানো যায় না, তখন মনে হয় খোলামেলা পরিবেশে অর্থাৎ প্রকৃতির মাঝে একটু ঘুরে আসলে মনকে কিছুটা শান্ত করানো যায়।তার জন্যই আজকে আমার বেড়ানো।
যাই হোক আমাদের কলকাতায় একটু খোলামেলা প্রকৃতি খোঁজা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। মাঝে মাঝে আমি নিউ টাউন ইকো পার্কে ঘুরতে যাই,কিন্তু আজকে ইকোপার্ক না গিয়ে নিউ টাউনের কাছাকাছি একটি জায়গায় ঘুরতে গেলাম। আরেকটা জিনিস যেটা না বললেই নয় আমাদের বাড়ি থেকে অনেক ভাবেই নিউটাউনে যাওয়ার রাস্তা রয়েছে।তাই আজকে একটু অন্য রাস্তা ধরেই নিউটাউন পৌছালাম সেটি সল্টলেকের একটি রাস্তা। এর আগে কখনো এই রাস্তা ধরে যাওয়া হয়নি আমার।অনেকেই হয়তো এই সল্টলেকের নাম শুনে থাকবেন। আজ যখন সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম সত্যিই একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম।আমি এতদিন ভাবতাম হয়তো আমাদের কলকাতায় গাড়ি ঘোড়া ছাড়া জায়গার রাস্তা খুঁজে পাওয়াই যায় না কিন্তু আজ যখন ওই রাস্তা দিয়ে গেলাম মনটা ভাল হয়ে গেল।চারিদিকে শুধু গাছ আর গাছ।প্রত্যেকটা বাড়িতে লাগোয়া ছোটো বাগান মতো রয়েছে। চারিপাশে অনেকগুলো আম আর কাঁঠাল গাছ দেখেছি।তারই কিছু ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
বিশ্ব বাংলা গেট।
আজকের নিউ টাউনে ফুড প্লাজার কাছে ঘুরতে গেলাম। চারিদিকে অনেক বড় বড় অফিস রয়েছে।তাই জন্যেই এখানে ধাবা স্টাইলে অনেক গুলো খাবার জায়গা রয়েছে। বিকেলের স্ন্যাকস এর জন্য খুবই ভালো একটি জায়গা। এর আগেও আমি দু-তিন বার এ জায়গায় এসেছি। আমার এখানে সবথেকে বেশি ভালো লাগে চা খেতে। আর আমি ভীষণ চা প্রেমী। তাই জন্যেই এখানে এসে সবার আগে চা অর্ডার করলাম। এখানে প্রচুর মানুষ বিকেলে ঘুরতে আসে, কিছুটা সময় কাটিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে।
যেহেতু হাতেও সময় খুবই কম ছিল তাই জন্য বেশিক্ষণ আর এখানে থাকতে পারেনি, সন্ধ্যে হওয়ার আগে আগেই এখান থেকে বেরিয়ে গেছিলাম। এই নিউটাউন থেকে বেরিয়ে হঠাৎ করে ইচ্ছে করলো ফুচকা খাওয়ার। ফুচকা আমি খুব একটা ভালোবাসি না কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে ফুচকার প্রতি আলাদা ভালোবাসা কাজ করছে। জানি না কতদিন থাকবে🤭। যাইহোক ফুচকা খাওয়ার পড়ে মনে হল আরও কিছু একটু খাই তাই জন্য বাইপাসের ধারে একটি ক্যাফেতে বসে স্যান্ডউইচ খেলাম। তার সাথে একটা কোল্ড ড্রিঙ্কস নিয়েছিলাম কিন্তু ছবি তুলতে ভুলে গেছি।তারপর কিছুক্ষন গল্প করে বাড়ি চলে এলাম।
খুব কম সময় হলেও খুব সুন্দর একটা বিকেল আজকে কাটিয়েছি।
ছবিগুলো দেখেই মনে হচ্ছে, রবিবারের দিন ভালোই কেটেছে।আসলে সপ্তাহ জুরে ব্যস্ত থাকার পরে ভালো লাগে ছুটির দিনগুলো।আপু কি সুন্দর আম গাছে কতশত আম ধরে আছে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি রবিবার দিন খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। সবারই মাঝে মাঝে এরকম একটু বাইরে বেরোনো দরকার বাইরে ঘোরাঘুরি করলে মানুষের মন মানসিকতা ভালো হয়। আপনার চায়ের কাপ গরু দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছিল আপু। সবশেষে আপনার ছবিটাও দারুণ ছিল 😍😍😍
আপনি বিকেল বেলা অনেক সুন্দর একটি সময় পার করেছেন যেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম। সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আসলেই ব্যস্ততার মধ্যে হলেও একটু রিফ্রেশমেন্ট দরকার নিজের জন্য। আসলে সব সময় কাজ করতে করতে আমরা একঘেয়েমি হয়ে যাই। আজকে আপনার ঘুরাঘুরির মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দর ছিল,আর দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করছেন আপনি।
আপনার মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে কলকাতার কিছু শহরের ছবি দেখতে পেলাম। সেই সাথে আপনার রবিবারের কাটানো সময় সম্পরকেও অবগত হলাম । খুব ভালো লিখেছেন গুছিয়ে । ভালো লাগলো।