নাটক রিভিউ: ধনী গরীবের লড়াই [পর্ব - ৩০তম]❤️
আমি তানহা তানজিল তরসা । আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি.........
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আমার নতুন ব্লগে সকল ভাই ও বোনদেরকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি নাটক রিভিউ নিয়ে এসেছি। আজ আমি ধনী গরিবের লড়াই নাটকের ৩০ তম পর্ব নিয়ে আলোচনা করবো।এই নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যার কারনে আমি এই নাটকটি প্রতিনিয়ত রিভিউ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়েছি।ঈগল টিমের নাটক গুলা খুবই সামাজিক ও শিক্ষানীয়। আশা করি আমার নাটক রিভিউটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। ব্যাক্তিগত ভাবে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে যার কারনে আপনাদের মাঝে রিভিউ টা নিয়ে এসেছি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
নাটকের প্রথমে দেখা যায় মোড়লের ছোট ভাই বাড়ির সামনে এসে চিল্লাচ্ছে সুরুজের মা বলে তখন তার বউ বাইরে আসে এবং বলে আপনি চিল্লাচ্ছেন কি জন্য, খুব মোড়ল গিরি দেখাচ্ছেন দেখি। তখন সুরুজের বাবা বলে সাবধানে কথা বল,আমি এখন মোড়ল, আমি যখন তখন ডিসিশন নিয়ে ফেলতে পারি। তখন রিমার ছোটমা বলে এসব বাদ দিয়ে ঘর সংসারের দিকে মন দেন। তখন সুরুজের বাবা বলে রিমা তোমার রায় পেয়ে এমন হয়েছে আর মামলা করার সাহস পাইছে। তখন যেমন ছোট মা বলে রিমা তো ভুল করেছে মামলাটা করার দরকার ছিল দুই মোড়লের নামে। এ কথা শুনে ছোট মোড়ল বলে মানে ও আচ্ছা বুঝতে পেরেছি তুমি আমার কথা বলতেছ। এরপর সেখানে মাস্টার এসে হাজির হয় এবং রিমার ছোট মায়ের নামে ১০০০ টাকা জরিমানা করতে বলে। এরপর সেখান থেকে রিমার ছোটমা চলে যায়। এরপর দেখা যায় নায়কের দুই বন্ধু এক জায়গায় বসে কথা বলছে ঠিক সেই মুহূর্তে মোড়লের বড় মেয়ে সুলতানা যাচ্ছিল। এরপর লতিফ সুলতানা কে বলে কাল বাড়ির পাশে গিয়েছিলাম বলে খুব চিল্লানি দিয়েছিলেন আজ আপনি আমার বাড়ির পাশে এসেছেন কেন। তখন সুলতানা বলে কি বলতে চাস তুই, আমরা গরিব হলেও মানুষের সম্মান করি। তখন সুলতানা বলে বেশি কথা বলে গলা চেপে ধরে নিয়ে যাব,তখন লতিফের বন্ধু বলে আপনার আব্বাকে আর ভাইকে জেলে দিয়েছি তাও আপনাদের দেমাগ কমেনি।তখন লতিফ বলে মোড়লদের ভাবের চেয়ে ভঙ্গিনে বেশি। তখন সুলতানা বলে তোদের দুইজনকে জেলের ভাত খাওয়াবো। তখন লতিফ বলে মোড়লের পাওয়ার সব জায়গায় চলে না জান কি পারেন করে দেখান। তখন সুলতানা বলে দেখ কি করি এবার তোদেরকে এ কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর দেখা যায় রিমা ও সোহানা দাড়িয়ে কথা বলছে। রিমা তার ননদ সোহাকে জিজ্ঞাসা করে আমার ভাই তোমাকে কি বলল। তখন সোহানা বলে ভাবি আপনার ভাই আমাকে বিয়ে করার জন্য জড়াজড়ি করছিলো ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে ভাই গিয়ে হাজির হয়েছিল। এরপর দেখা যায় নায়ক এসে সোহানাকে বলে আর কোনদিন মোড়ল বাড়ির ছেলের সাথে কথা বলবি। এরপর রিমা বলে তুমি এমন করছো কেন ওরা তো দুজন দুজনকে ভালোবাসে। এই সম্পর্ক হবে না আমাদের সম্পর্কই এখনো মেনে নেয়নি আর আমার বোনকে কিভাবে ওই বাড়িতে ওরা মেনে নেবে। এই কথা বলতে বলতে সেখানে রিমার শ্বশুর এসে হাজির হয়। এরপর নায়কের বাবা জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে তখন নায়ক বলে তোমার মেয়ে মোড়ল বাড়ির ছোট ও পোলার সাথে প্রেম করছে।এ কথা শুনে নায়কের বাবা বলে এ প্রস্তাব আমি মানি না।নায়কের বাবা বলে মোড়লরা যেন জামিন না পায় সেই ব্যবস্থা কর সোহাগ। তখন নায়ক বলে ঠিক আছে। এরপর যার যার মত সে সে ওখান থেকে চলে যায়।
এরপর দেখা যায় জেলে বসে সুরুজ ও তার বড় আব্বা কথা বলছে। বড় মোড়ল বলে সুরুজ এত বেলা হয়ে গেল আমাদের কেউ একটু খোঁজ নিল না। তখন সুরুজ বলে একবার ছাড়া পাই বাড়িতে গিয়ে মোড়ল বাড়ির সবগুলোকে আমি এই টাইট দিব। তখন মোড়ল বলে আমি তোকে বলি না তুই আর আমি ছাড়া ওই বাড়িতে কেউ পরবে না। এরপর সুরুজ ডিউটিতে থাকা পুলিশের ফোনটি চাই মোড়ল বাড়িতে কথা বলবে সেজন্য। কিন্তু পুলিশ কোন ভাবেই ফোন দেয় না। তখন মোড়ল সাহেব বলে থাক দেখি কেউ আসে কিনা আমাদের সাথে দেখা করার জন্য।
এরপর দেখা যায় মাস্টার দাঁড়িয়ে আছে আর সেই পথ ধরে সুলতানা আসছে।এরপর তারা ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করা করে। তারপর মাস্টার সুলতানা কে বলে তোমাকে একটা কথা বলার ছিল। তখন সুলতানা বলে কি বলবেন বলেন মাথা এমনিতে গরম আছে। এরপর মাস্টার বলে রাগলে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে। এ কথা শুনে সুলতানা বলে আব্বা কে আমি এখনই বলবো আপনাকে যেন মোটা অংকের জরিমানা করে। তখন মাস্টার হেসে বলে মোড়ল চাচাতো বাড়িতেই নাই জেলে আছে। তখন সুলতানা বলে আব্বা বাড়ি নাই এর জন্য আপনি মজা নিতেছেন। আমি এখনই ছোট আব্বাকে গিয়ে বলবো। তারপর এই কথা বলে সে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যাই।
এরপর দেখা যায় মোড়লের বউ ও তার বড় বৌমা গাছে পানি দিচ্ছে বাগানে।তাদের বাগানের কাজ শেষ হলে যখন বাগান থেকে বাইরে বের হয়ে আসে ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে হাজির হয়। এরপর রতন তার মাকে বলে আমি বিয়ে করবো।বিয়ের কথা শুনে তার ভাবি ও মা বলে ওঠে এখন আব্বা বাড়িতে নেই আর তুমি কিভাবে বিয়ে করবে। এরপর রতনের মা বলে তোর কি মনের ভিতরে রং লেগেছে তখন তার ভাবি আবার বলে ওঠে ওই ফকিন্নির মেয়েকে কি তুমি বিয়ে করবে । তখন রতন বলে ওঠে ভাবি মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বল। তখন তার মা বলে ওঠে কাদের সম্বন্ধে কথা বলব যারা মোড়ল বাড়ির মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারছে তাদেরকে কি সম্মান দিব। এরপর রতন আরও বেশ কিছু কথা বলা মাত্রই রতনকে একটা চড় মারতে যায় তার মা। এরপর রতন সেখান থেকে রাগ করে চলে যায়। আবার এদিকে দেখা যায় রিমা ও সোহাগ উকিলের কাছে গিয়েছে মামলা নিয়ে কথা বলার জন্য। তারা উকিলের সাথে খোলামেলা সব বিষয়ে আলোচনা করে এবং উকিল তাদের সব কথা শুনে। এরপর তারা কথা শেষ করে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
এদিকে দেখা যায় সুলতানা ও তার বড় ভাই থানাতে গেছে তার বাপ ও ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য। তাদের সাথে দেখা করতে গিয়ে সুলতানা বলে আব্বা আমি দুই দিনের মধ্যে তোমাকে এ ছাড়িয়ে নিয়ে যাব তুমি চিন্তা করোনা। তখন সুলতানের বড় ভাই আবার বলে ওঠে ছোট আব্বার কথা ছাড়া একটাও চলতে পারছিনা আমরা। তখন মোড়ল সাহেব বলে আমি থানা থেকে একবার বের হয়ে নিয় ওর দুই গালে শুধু থাপ্পড় দিব।পথ তারা আর থানা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই কথা শেষ করে। থানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রিমা ও সোহাগের সাথে তাদের দেখা হয়ে যায়। সুলতানা তো ও খুব রেগে আছে রিমার ওপর। সুলতানা রিমা কে বলে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য কিন্তু রিমা কোনমতেই রাজি নয়। তখন সুলতানা বলে উকিলের সাথে তো কথা বলে আসলি তাও পারবেনা আটকে রাখতে। তখন সোহাগ বলে দেখাই যাক কিভাবে জামিন পাই। এরপর সুলতানার বড় ভাই বলে এসব কিছুর জবাব তোদের দিতে হবে। এরপর সুলতানা বলে তুই এই ফকিন্নির পোলাকে কেন বিয়ে করলি। তখন সোহাগ বলে রিমা যাদের পারিবারিক শিক্ষা নেই তাদের আজ থেকে সম্মান আশা করা ঠিক না এরপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় কোর্টে মামলা শুরু হয়েছে। এরপর নাটকটি আগামী পর্ব দেখিয়ে দেই। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন। খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টের ধরন | নাটক রিভিউ |
---|---|
নাটকের নাম | ধনী গরিবের লড়াই পর্ব-৩০ তম |
পরিচালক | সুলাইমান। |
অভিনয়ে | ইফতি,জান্নাতুল মাওয়া, রাফি ইসলাম সৌরভ, মায়া মিম, জাহাঙ্গীর কবির ও আরও অনেকেই। |
দৈর্ঘ | ২৩ মিনিট ১০ সেকেন্ড |
মুক্তির সময় | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ |
এরপর নাটকটি শেষ হয়ে যায়.............
পোস্টের বিষয় | নাটক রিভিউ |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | কালীগঞ্জ |

https://coinmarketcap.com/community/post/357103596
https://x.com/TanhaT8250/status/1909970349032366139?t=_gujaW1ATshMxOV-1lNL6g&s=19
https://x.com/TanhaT8250/status/1909969713821782285?t=hybX5lf1VYN5f-4mUGm9Uw&s=19