গত পর্বে আমি বলেছিলাম তাঁরপর কুসুম বলে যে আমার ভাইকে তাড়াতাড়ি ছাড়ানোর ব্যবস্থা কর।আখম হাসান বলল যে আমি তোমার ভাইকে দুই ঘণ্টার মধ্যে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতেছি এই বলে সে ফোন কেঁটে দেয়।৫ম পর্বটি শুরু হয় বল্টু লেবু চেয়ারম্যান এর বাসায় যায়। গিয়ে লেবু চেয়ারম্যান এর কাছে গিয়ে বলে যে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে মাডার করেছে হাফ মাডার আমি বেঁচে গেছি না হলে তো আমাক ফুল মাডার করতো। তাঁরপর লেবু চেয়ারম্যান বলতেছে যে তোমাক যে হাফ মাডার করেছে তোমার শরীরে তো কোন মাডার এর চিন্হ নেই। এরপর বল্টু লেবু চেয়ারম্যান কে বলে যে আপনি আমার মাডার এর সাক্ষী হবেন।আমি মামলা করবো শামসুর নামে।

তাঁরপর লেবু চেয়ারম্যান বললো ঠিক আছে আমি সাক্ষী থাকবো তুমি মামলা করো। এরপর বল্টু আরো বললো যে আমার এই মাডার এর আরো একজন সাক্ষী থাকবে সেটা হচ্ছে আপনার মেয়ের প্রেমিক রাজা মেম্বার।এই কথা শুনে তো লেবু চেয়ারম্যান এর মাথা গরম। এই কথা শুনে লেবু চেয়ারম্যান বললো যে আমার মেয়ের প্রেমিক ঐ রাজা মেম্বার হতে পারে না।ওরে পাইলে তো আমি ওর পা ভেঙ্গে গুড়া করিয়ে দিবো।এই কথা শুনে সেখান থেকে বল্টু চলে যায়। এরপর একজন বিউটিশিয়ান একটা সাইকেল নিয়ে গ্ৰামে মাইকিং করেছিল যে কে কে ফেসিয়াল করাবেন চলে আসুন আমার সাইকেল এর নিকট।মাইকিং করতে করতে হঠাৎ বল্টুর সাথে দেখা হয়ে যায়। তখন বল্টু বলে যে বন্ধু আমাক একটু ভেসিয়াল করে দে তো।

তাঁরপর ঐ বিউটিশিয়ান বলে যে,তোর যে চেহারা তোর জন্য এ সব জিনিস না। এগুলো জিনিস হচ্ছে সুন্দর সুন্দর মেয়ে আর মহিলাদের জন্য। যাঁদের ত্বক স্লিম তাঁদের জন্য। এরপর তাঁদের মাঝে অনেক কথা কাটাকাটি হয়।রোমিও বিউটিশিয়ান বল্টুকে হুমকি দেয়,আর বল্টু রোমিও বিউটিশিয়ানকে হুমকি দেয়। এরপর এক পর্যায়ে রোমিও বিউটিশিয়ান সেখান থেকে চলে যায়। তাঁরপর রাজা মেম্বার জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বাসায় আসে। এরপর তাঁর বড় বোন বলে যে তোমাক আমার জামাই জেল থেকে ছাড়াই নিছে। এরপর তাঁর ছোট বোন বলে যে তোমাক কে ছাড়াই নিয়ে আসছে সেটা আমি জানি। তাঁর মেজো বোন বলতেছে যে আমার ভাই তাঁর নিজের যোগ্যতায় জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে।

এরপর রাজা মেম্বার বলে যে দুলাভাই কোথায় তখন হঠাৎ করে তাঁর দুলাভাই ঘর থেকে বের হয়ে আসে। এসে বলে যে তুমি জেল থেকে আসছো,আর গলায় মালা পড়ে আসছো তোমার কোন সরম লজ্জা নেই। তাঁরপর সেখান থেকে রাজা মেম্বার তাঁর দুই বোনের সঙ্গে তাঁদের ঘরে যায়।আর বাকি যে চারজন ছিল তাঁরাও সেখান থেকে চলে যায়।আখম হাসান কে ফোন দেয় একজন ব্যক্তি ফোন দিয়ে ফুল নিয়ে আসতে বলে তখন আখম হাসান বলে যে আমি ফুল নিয়ে আসতেছি ওতো টেনশন করা লাগবে না।এই বলে আখম হাসান ফোন কেটে দেয়। এরপর শিক্ষক আর ছাত্রী এক জায়গায় বসে গল্প করতেছিল। মানে প্রেমের আলাপ করতেছিল।

হঠাৎ করে সেখানে বাবুল এসে হাজির হয়। সেখানে সে এসে শিক্ষককে বলে যে আপনি এটা কি কাজ করতেছেন। আপনি এই দুপুর বেলা বাঁশ ঝারে একটা উড়তি বয়সী মেয়েকে নিয়ে বসে আছেন। তখন শিক্ষক ঝিলিক কে বলে যে তুমি তাঁকে আই লাভ ইউ বলো তাহলে বাবুল আর সন্দেহ করবে না। তখন ঝিলিক চট করেই বলে ফেললো বাবুল ভাই আই লাভ ইউ। তখন বাবুল বলে যে এই ভালোবাসার কথা এভাবে বল্লে আমি বিশ্বাস করবো না।এটা মন থেকে বললে বিশ্বাস করবো।

আমার ব্যক্তিগত মতামত:

আর টিভি কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদেরকে এতো সুন্দর একটা ধারাবাহিক নাটক উপহার দেওয়ার জন্য।নাটকটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। তাই তো আপনাদের মাঝে রিভিউ করতে চলে আসলাম। আপনারা যারা এই নাটকটি দেখেন নি তাদেরকে এই নাটকটি দেখার অনুরোধ রইল। আপনারা সময় করে এই নাটকটি দেখে নিয়েন। যেহেতু এই নাটকে আখম হাসান আছেন , আশা করছি আপনাদের ও এই নাটকটি বেশ ভালো লাগবে। এবার যদি রেটিং এর কথায় আসি তাহলে আমি এটিকে ১০/০৮ দিব।

বি:দ্র: উপরের সব কটি ফটোগ্ৰাফি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে এবং নাটকের লিংক টিও ইউটিউব থেকে কপি লিংক করা হয়েছে।

🔗নাটকের লিংক🔗: