||নাটক রিভিউ:-ভালোবাসায় আদরে||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-ভালোবাসায় আদরে আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মাঝে একটি করে নাটক রিভিউ পোস্ট শেয়ার করি।আসলে ফ্রি সময় থাকলে সেই সময় কিন্তু আমি বাংলা রোমান্টিক নাটক গুলো দেখে থাকি।বিশেষ করে মুশফিক,আরশ খান,ইয়াশ রোহান এই অভিনেতা গুলোর নাটক খুবই ভালো লাগে আমার। যাইহোক আমি যেই নাটক রিভিউ শেয়ার করবো এই নাটকটি পুরোটাই হচ্ছে রোমান্টিক।আর বিশেষ করে হচ্ছে ইয়াশ রোহানের সাথে তটিনীর অভিনয় কিন্তু আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।যাই হোক দেরি না করে নাটকটির রিভিউ শেয়ার করা যায়।
নাটকের নাম | ভালোবাসায় আদরে |
---|---|
অভিনয় | ইয়াশ রোহান,তটীনি,আরো অনেকে |
পরিচালক | রাফাত মজুমদার রিঙ্কু |
মুক্তির তারিখ | ২৬ শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ | ৫৫.২৪ |
নাটকের শুরুতেই নায়ক এবং নায়িকাদের দুজনের কিন্তু রিলেশনশিপ ছিলো।তবে এখানে নায়ক গ্রামের বাসা ছেড়ে ঢাকায় একটি নতুন চাকরিতে জয়েন দিয়েছে।তো প্রায় দিনেই কিন্তু নায়ক যে রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করতো, সেই রাস্তার পাশেই কিন্তু নায়িকার বাসা ছিলো।তারা কিন্তু সবসময় রাস্তার পাশে দেখা করতো।মানে মেয়েটি বিল্ডিংয়ে থাকে এবং ছেলেটি নিচে থাকে, তারা এভাবেই তাদের ভালবাসা চালিয়ে যায়।আসলে নাটকটি কিন্তু খুবই রোমান্টিক ছিল, কারণ ভালোবাসা,অভিমান এই নাটক গুলো খুব ভালো লাগে আমার।যাই হোক এই ভাবেই কিন্তু তাদের ভালোবাসা গভীর হয়ে গেলো।
তো নায়ক কিন্তু অফিসে যাওয়ার সময় কোন কিছু খাওয়া করতো না।এইভাবে প্রতিদিন কিন্তু নায়িকা তার জন্য খাবার নিয়ে বাইরে দেখা করতো।আসলে তাদের ভালোবাসা দেখে কিন্তু আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।যাই হোক এইদিকে কিন্তু হুট করে ইয়াশ রোহানের মা একদিন ফোন দিয়ে বলে যে বাবা এত টাকা লাগবে।তার পর সেই কিছু টাকা পাঠিয়ে দিলো।তো তার মা টাকা পাওয়ার পরে তাকে ফোন দিলো।তো ওই সময় কথা বলতে বলতে কিন্তু কান্না চলে আসলো তার।এখন এইদিকে কিন্তু তার মা বুঝতে পারছে, সে কিন্তু অনেক পরিশ্রম করতেছে।আসলে ঢাকা শহরে ছোট খাটো চাকরি করে পুরো ফ্যামিলি চলা অসম্ভব।
যাইহোক নায়িকার কিন্তু বাবা-মা ছিল না,সে কিন্তু তার মামা মামির কাছেই বড় হয়েছে।কিন্তু এইদিকে তার মামি তার বাসার কাজের লোক হিসেবে রেখে দিয়েছে।তো একদিন তার মামী কোন যেন একটা ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসলো।এবং বাসায় নিয়ে এসেই কিন্তু নায়িকাকে দেখালো, যে এর সঙ্গে তোমার বিয়ে হবে।তো পরপর একটু পরেই কিন্তু নায়িকাকে বলা হলো যে, তোমার সামনে বিয়ে।এবং এর সঙ্গে তোমার বিয়ে হবে।এটা জানার পরপরই নায়িকা ছুটে নায়কের কাছে গিয়ে সবকিছু খুলে বলবো।তখন তার মাথা খারাপ হয়ে গেলো।সেও কিন্তু তাকে ছারা থাকতে পারবে না। আসলে এদের মধ্যে দুজনেরই কিন্তু ভালবাসা সত্যি ছিলো।যার কারণে কিন্তু তারা দুইজনে রাজি হয়েছে পালায় বিয়ে করার জন্য।
তো যখন তারা সিদ্ধান্ত নিলো যে পালায় বিয়ে করবে। পরপরই কিন্তু নায়ক আর চাকরিটি ছেড়ে দিলো।এবং এই দিকে নায়ক পালিয়ে যাওয়ার জন্য তার অপেক্ষা করতে থাকলো।তো অনেক সময় হয়ে গেলো তার কোন খবর নাই। নায়ক ভেবে নিয়েছে যে,সে মনে হয় আসবে না। তো নায়ক মন খারাপ করে রওনা দিতে লাগলো। একটু পরেই নায়িকা এসে তাকে ডাক দিলো।দিয়ে তাদের ভালোবাসা পূর্নতা পেলো।নায়িকা বললো,তুমি মনে করছো আমি আসবো না,আসলে তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। তার পর তারা দুইজন বাসে উঠে রওনা দিলো।নাটক টি এখানেই শেষ হয়।
আসলে নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।বিশেষ করে যখন তারা পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।কারণ সে যদি বাসায় থাকত তাহলে কিন্তু বুড়ো একটি লোকের সঙ্গে তার বিয়ে হতো।আর এদিকে কিন্তু দুজনের জীবনটি ধ্বংস হয়ে যেতো।যাইহোক শেষ পর্যায়ে তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে এটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। তো যারা যারা এই নাটকটি দেখছেন তারা হয়তো সহজেই নাটক টির রিভিউ বুঝতে পারবেন।আর যারা দেখেন নাই দেখে নিবেন।আশা করছি সবার কাছে ভীষণ ভালো লাগবে।তো আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
বি:দ্র: সমস্যার কারনে পুরো নাটকের লিংক দিতে পারি নাই।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
![]() |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
![]() |
---|
আজকের ডেইলি টেস্ক প্রুফ।।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার রিভিউটি পড়ে মনে হলো, নাটকটি শুধুমাত্র এক গল্পের পরিবর্তন নয়, বরং জীবনের গভীরতা ও সাহসিকতার এক স্পষ্ট পরিচয়। পালিয়ে যাওয়ার সেই সিদ্ধান্ত যেন দুই মানুষের ভালোবাসাকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছে, যেখানে একেবারে অন্যরকম ভবিষ্যৎ ছিল অপেক্ষা করছে। এমন নাটক দেখলে আমরা ভাবতে বাধ্য হই জীবনে কখনো কখনো সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই মুক্তির চাবিকাঠি। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভূতি পুরোপুরি স্পষ্ট, ধন্যবাদ নাটকটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
দারুন লাগলো তো এই নাটকটার রিভিউ। এই নায়ক নায়িকাগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। তাদের নাটকগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে দেখতে। তাদের অভিনয় অনেক দারুন হয়ে থাকে। এই নাটকটা অসম্ভব ভালো লেগেছে কিন্তু আমার কাছে। এই নাটকের কাহিনী একটু বেশি সুন্দর। এই নাটকটা দেখা না হলেও রিভিউ পড়ে কাহিনীটা জেনে নিতে পারলাম। আর আমি নাটকটা দেখার জন্য ও চেষ্টা করবো। খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন পুরোটা।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করলেন আজকে। এ নাটকটার রিভিউ পড়ে আমার কাছে তো খুবই ভালো লেগেছে। এরকম নাটক গুলো দেখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর যখনই সময় পাই তখনই নাটক দেখার জন্য চেষ্টা করি। আজকের এই নাটকটা কিন্তু দারুণ ছিল। আর এই জন্য ভাবছি সময় পেলে নাটকটা দেখব।
ধন্যবাদ আপু সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
ইয়াস রোহান ও তটিনীকে আমি অনেক পছন্দ করি এবং তাদের নাটকগুলো আমি সবসময় দেখার চেষ্টা করি৷ তবে এখন সময় স্বল্পতার কারণে নাটক দেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনা৷ আজকে আপনার কাছ থেকে রিভিউ এর মাধ্যমে নাটক সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ এই নাটকের মধ্যে সবকিছু আপনি খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷ অবশ্যই আমি সময় পেলে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷
আমার কাছেও ইয়াশ রোহান ও তটীনির অভিনয় খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।