নড়াইল এক্সপ্লোর ।
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি গতকালকে নড়াইল থেকে নিজ বাড়িতে এসেছি। এবার অনেকদিন পরেই গ্রামে আসলাম। দু-তিনদিন পরে আবার ঢাকা ফিরে যাবো। আমি নড়াইলে স্টে করেছি ২ দিন। গত পরশুদিন বেশ ভালোই কেটেছিল। সারাদিন ঘোরাঘুরি করেই কেটেছে।
দুপুরের দিকে গিয়েছিলাম নড়াইলের একটি ছোট পার্কে। ওখানে গিয়ে কোন ফটোগ্রাফি করা হয়নি। পার্কটি চিত্রা নদীর তীরে অবস্থিত। এই পার্কের নাম হলো নড়াইল হাটবারিয়া পার্ক। ওই জায়গাটায় গিয়ে যা বুঝলাম এখানে বিকেল বেলা আসলে বেশি ভালো লাগবে। নদীর পাড়ে বসার অনেকগুলো জায়গা ছিল, ওই জায়গাগুলো খুবই সুন্দর লাগছিল।
ওই পার্কের পাশে একটা জমিদার বাড়ি ছিল অনেক পুরনো। কোন এক কালে বাড়িগুলো সব ধ্বসে মাটির নিচে মিশে গেছে। আশেপাশের লক্ষ্য করলে কিছু অবকাঠামো এখনো দেখা যায় কিন্তু বোঝা দায় যে এটি কিসের কি। একটি মন্দির আছে এখনো অক্ষত। ২০১৭ সালে সংস্কার করা হয়েছিল বলে এটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে। এই মন্দিরের পাশে একটা পুকুর আছে। প্রচলিত আছে এই পুকুরের পানি নাকি কখনো শুকায় না, আর এখানে অনেক মানুষ মারা গেছে। পৃথিবীতে কিন্তু প্যারানরমাল অনেক ঘটনা ঘটে। যদিও এগুলো আমার তেমন বিশ্বাস হয়নি। আবার যেহেতু বিস্তারিত আমি জানিও না, সো নির্দিষ্ট করে কিছু বলতেও পারছি না।
এখান থেকে এবার আমরা গিয়েছিলাম চিত্রা রিসোর্টে। অনেকদিন আগে এখানে আমার ওয়াইফ আর ভাগ্নেদের নিয়ে গিয়েছিলাম। আপনাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করেছিলাম। এই জায়গাটাতে রাতে যাওয়াই বেশি মজা। কারণ অনেক সুন্দর সুন্দর লাইটিং করা থাকে বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে। এমনভাবে আলো সেট করা যেন দেখতে ভৌতিক লাগে। যাইহোক এখানে দিনের বেলাতে এমন একটা ভালো লাগে না। আমরা তবুও চারিপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। নিরিবিলি ছিল জায়গাটা অনেক ।
আমরা আরো গিয়েছিলাম নড়াইলের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের বাড়িতে। দুর্ভাগ্যবশত রবিবারে এই জায়গাটা বন্ধ থাকে এটা আমরা জানতাম না। গেটের ওপাশ থেকেই দেখে চলে আসতে হয়েছে। ভেতরে সুলতানের একটি জাদুঘর আছে ওখানে দেখার মতো অনেক কিছু ছিল। আমি অবশ্য অনেকবার গিয়েছি আগে কিন্তু আমার সাথে যারা ছিল ওদেরকে দেখাতে পারিনি। জায়গাটা আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লাগে। তবে সুলতানের বাড়ির পাশে সেকেলে সুলতানের ব্যবহৃত বিশাল একটা নৌকা ছিল সেই নৌকাটা আমরা দেখেছি।
ঘোরাঘুরি শেষ করে দুপুরের পরে আমরা বাসায় এসেছিলাম। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে একটু রেস্ট নিলাম সবাই। সূর্যটা একটু পশ্চিম দিকে হেলে পড়লো তখন আমরা দুলাভাইয়ের ঘের দেখতে গিয়েছিলাম সবাই। এই জায়গাটা খুবই সুন্দর। বিশাল এক ফাঁকা মাঠের মধ্যে দিয়ে রাস্তা, সে রাস্তা দিয়ে যেতে হয় এই ঘেরে। দুলাভাইয়ের ঘেরের চারপাশে অনেক আমগাছ। এই টাইমে আম গাছে মকুল আসছে, দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। ঘরগুলোতে এখন পানি না থাকায় কেমন নিষ্প্রাণ লাগছিল।
এই জায়গাটা সবচেয়ে ভালো লাগে বর্ষার সময়। প্রত্যেকটা ঘেরের মধ্যে প্রচুর পানি থাকে। আর পাহারার জন্য ছোট ছোট যে ঘরগুলো বানানো ওই ঘরে গুলোর মধ্যে বসে আশেপাশের প্রকৃতি দেখার মজাই আলাদা। আমার ওই সময়টাতেই বেশি ভালো লাগে এখানে আসতে। তবে এই টাইমে এসেও আমরা ভালই মজা করেছি। ঘেরের পুরো এরিয়া দিয়ে আমরা হেঁটে বেরিয়েছি সবাই। অনেকগুলো গরু ও ছিল ওখানে। দু তিনটে কুকুর আর বিড়াল ছিল ওখানে। আমার মজা করলাম ওদের সাথে একটু।
ঘেরের মধ্যে ঘোরাঘুরি শেষ করে আমার রাস্তায় এসে সবাই চা খেয়েছিলাম। চা টা দারুণ ছিলো। যাইহোক, এরপর বাসায় আসার পালা। সাবাই বাসায় এসে রেডি হয়ে আবার বেড়িয়ে পড়ল। ওরা সবাই বাইক নিয়ে গিয়েছিল, তাই যাওয়া নিয়ে তেমন টেনশন ছিল না। ওরা সন্ধ্যার সময় বেরিয়ে রাত দশটার দিকেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। আমি অবশ্য কাল সকালে এসেছি। যাইহোক, সব মিলিয়ে দিনটা।
অনেকদিন পর আজকে চরে যাব। ছোটখাটো একটা পিকনিক আছে। আপনাদের সাথে মোমেন্টা শেয়ার করব পরে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
লোকেশন:- Narail
ডিভাইস :- Xiaomi Redmi note 9 pro max
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
জী ভাইয়া চিত্রা রিসোর্টের আগের পোষ্টি পড়েছিলাম। সবাই বেভেছিল ভূতের কাহিনী হবে কিন্তুু ভিতরে ছিল রিসোর্ট। এখানের ছবি গুলোর মাঝে একটা ভূতের ভাব বুঝা যায়। তবে জায়গাটা অনেক সুন্দর। এক পোষ্টে অনেক কিছুই শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ্,, এতদিন আগের কথা এখনো মনে রেখেছেন। ধন্যবাদ ভাই।
চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের বাড়িতে যেতে পারেননি তাতে কি হয়েছে অন্যান্য জায়গাগুলোতে ঘুরেছেন জেনে ভালো লাগলো। জায়গাগুলো দেখেই মনে হচ্ছে ঘুরতে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে কিছু কিছু জায়গা আছে যেগুলো দেখতে অনেকটা ভৌতিক। আর সেই জায়গাগুলোতে গেলে অনেক ভালো লাগে। যাইহোক ঘুরাঘুরি শেষ করে এবার যেহেতু নতুন প্ল্যান করেছেন আশা করছি সেই প্ল্যানের গল্প আমরা জানতে পারবো। পিকনিক কেমন কাটলো সেটাও আমাদেরকে জানাবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
পিকনিক শেষ করে বাসায় আসলাম। কাল শেয়ার করবো ইনশা আল্লাহ্।
আমাদের এখনে এখন রিসোর্ট ব্যবসা ভালই চলছে। এ কারনে রিসোর্টগুলো নতুন নতুন আইডিয়া দিয়ে তাদের রিসোর্ট সাজাচ্ছে কাস্টমার আকর্ষনের জন্য।চিত্রা রিসোর্ট এর ছবি দেখে এবং আপনার পোস্টটি পড়ে বোঝা যাচ্ছে রাতে রিসোর্টটি বেশ ভৌতিক মনে হয়। সবার সাথে কাটানো সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি আপু। ভৌতিক একটা ভাব আছে।