স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়া শহর
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- স্মৃতিবিজড়িত শহর
- ০৭,নভেম্বর ,২০২৩
- মঙ্গলবার
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সামনে শেয়ার করব স্মৃতি বিজড়িত একটি শহরের গল্প ।যেখানে কাটিয়েছি জীবনের অনেকটা সময়। এখনো বাড়িতে আসলে ঘুরতে যাওয়া হয় সেই শহরে ।মনে পরে যায় সে সময় কাটানো মুহূর্তগুলোর কথা চোখের সামনে ভেসে ওঠে সকল স্মৃতি। আজকে হঠাৎ যাওয়া হয়েছিল সেই শহরে। যেখানে আমি লেখাপড়া করেছি পুরা চারটা বছর রয়েছে অনেক স্মৃতি। তবে শহরটার আগের মত নেই অনেকটা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাড়িগুলো চাপ অনেক বেশি হয়েছে মাঝেমধ্যে জ্যাম লেগে যায় রাস্তায়। আজকে সকাল সাড়ে দশটার দিকে হঠাৎ করেই ছোট কিছু কাজের জন্য কুষ্টিয়া শহরে যেতে হয়।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
কাজের মধ্যে অন্যতম কাজ ছিল এক ছোট ভাইয়ের সাথে গিয়েছিলাম জমিতে চাষাবাদের জন্য ধানের বীজ এবং গমের বীজ কেনার জন্য সাথে আমার বাইকের কিছু পার্টস ও কিনতে হবে তাই এক কাজে আমার কাজটা হয়ে যাবে। আর সাথে স্মৃতি বিজড়িত শহরটাতেও কিছু সময় ঘোরাঘুরি করা যাবে। কুষ্টিয়া প্রবেশ করে প্রথমে গিয়েছিলাম এক ছোট ভাইয়ের ম্যাচে। কিছু সময় আড্ডা দিয়ে আমরা আমাদের কাজে যাওয়ার আগেই যে ছোট ভাইয়ের মেসে গিয়েছিলাম সে বলতেছে ভাই আমি বাড়ি যাব আমাদের দেখে তার আর কুষ্টিয়াতে থাকতে ইচ্ছে করছিল না। এমনই হয় আসলে যখন এলাকার কেউ যায় তখন তাদের সাথে চলে আসতে ইচ্ছে করে। আমরা বললাম তুমি রেডি হয়ে থাকো আমরা কাজ সেরে তোমাকে ফোন দিব। আমরা প্রথমে চলে যায় বীজ কিনতে যেতে দেখি রাস্তায় প্রচুর গাড়ির চাপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বদলে গিয়েছে এখন আর আগের মতো ফাঁকা থাকে না। অনেক বেশি গাড়ি তাই জ্যাম লেগে যায়।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
তারপর ভাবলাম বীজ নিয়ে তো আর ঘুরাঘুরি করা যাবে না আমার ছোট কাজ আগে শেষ করে আসি। তাই আমি বাইকের পার্টস কেনার জন্য বাইকের সার্ভিস সেন্টার চলে যায়। তারপর ওইখান থেকে দুইটা পার্টস কিনে চলে আসি ধান এবং গমের বীজ কেনার জন্য বীজের দোকানে। আমরা কেনাকাটা শেষ করে বাইকে করেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করি। কুষ্টিয়া থেকে আমাদের বাড়িতে আসতে গড়াই নদীর উপর নির্মিত একটি ব্রিজ পার হতে হয় ।অনেকদিন হলো ব্রিজের নিচে যাওয়া হয় না তাই ভাবলাম নিচে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে তারপর না হয় বাড়ি যাবো। পাশাপাশি দুইটা ব্রিজ একটা দিয়ে ট্রেন চলে আমরা ট্রেন চলাচল করে যে ব্রিজ দিয়ে ওইখানে চলে যায়। তারপর কিছু ছবি উঠায় এবং কিছু সময় কাটিয়ে আমরা আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করি। এই ছিল আজকের গল্প দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
কুষ্টিয়া শহরের সঙ্গে আসলেই আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িত এখনো কুষ্টিয়া গেলে সেই স্মৃতির কথা মনে পড়ে। কিছু কিছু স্মৃতি আছে যে স্মৃতিগুলো যখন মনে পড়ে তখন মুখের কোনে ছোট্ট একটু হাসি ফুটে ওঠে, যাই হোক ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কুষ্টিয়া গিয়ে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন যদিও দুজনেরই অনেক কাজ ছিল। কাজকর্ম ছেড়ে আপনার বাইকের পার্টস কিনে নিয়ে বাসায় চলে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর মুহূর্তের মাঝে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে কুষ্টিয়া শহর একটি মায়ার শহর এখনো গেলে আগের স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে। সুন্দর মতামত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বলতে গেলে এক ঢিলে দুই পাখি শিকার, বাইকের পারস কেনা এবং বীজ কেনা শেষে গড়াই নদীর উপরের ব্রিজের সৌন্দর্যটা উপভোগ করলে বন্ধু। অনেকদিন রেলের ব্রিজের উপরে যাওয়া হয় না, ফোন ক্যামেরার মাধ্যমে দৃশ্যগুলো সুন্দরভাবে ক্যাপচার করেছে শুভকামনা রইল।
একটা কাজের জন্যও তো আর কুষ্টিয়া গিয়া লাভ নাই সেজন্য এক ঢিলে দুই পাখি মেরে দিয়েছি। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ