স্বরচিত কবিতা প্রিয় শিক্ষক ||
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। গত কয়েকদিন যাবত ইন্টারনেট না থাকায় পোস্ট করতে পারিনি। আজকেও নেট অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে তবুও পোস্ট করার চেষ্টা করলাম। আজ আমি আমার স্বরচিত কবিতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি। আমি মাঝে মাঝেই লেখালেখি করি। কবিতা লিখতে বেশ ভালোই লাগে। অবসর সময়ে প্রায়ই আমি কবিতা লেখি। তাই আজ আমি নিজের লেখা একটি কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি সবাইকে ভালো লাগবে। আজকে আমি একটি কবিতা লিখলাম কবিতার শিরোনাম দিলাম "প্রিয় শিক্ষক"।
"প্রিয় শিক্ষক" গদ্য কবিতাটির মূলভাব হলো শিক্ষকদের অমূল্য অবদান এবং তাদের প্রভাব। কবিতায় শিক্ষকের স্নেহ, মমতা, ও শিক্ষাদানের পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবনে কিভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে, তা তুলে ধরা হয়েছে।
শিক্ষকেরা শুধুমাত্র বইয়ের জ্ঞান দেন না, বরং জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা শিক্ষার্থীদের চিন্তা করার, প্রশ্ন করার এবং নতুন কিছু শিখতে উদ্বুদ্ধ করেন। শিক্ষকেরা থাকেন পথপ্রদর্শক, যাদের সহানুভূতি ও ধৈর্য শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস জাগায়।
এই কবিতায় শিক্ষকের প্রতিটি কথায় যে প্রভাব বিদ্যমান, সেটিও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক ক্ষেত্রে নয়, বরং জীবনের নানা ক্ষেত্রে সাফল্যের পথ দেখান।
শিক্ষকেরা যেন জীবনের পাথেয়, যারা শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে চলতে সাহায্য করেন। তাই কবিতাটি শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং তাদের অবদানের গুরুত্বকে প্রশংসা করে।
প্রিয় শিক্ষক,
আপনার স্নেহে পরিপূর্ণ হয়েছে আমার শৈশব,
আপনার শিক্ষায় আলোকিত হয়েছে আমার ভবিষ্যৎ।
কখনও আপনি ছিলেন পথপ্রদর্শক,
কখনও বন্ধু, কখনও অভিভাবক।
শিক্ষা শুধু বইয়ের পাতা নয়,
আপনার বলা গল্পে লুকিয়ে আছে জীবনের পাঠ।
আপনি যখন বোর্ডে লেখেন,
প্রতিটি অক্ষরে যেন জীবনের পাঠ ফুটে ওঠে।
আপনার কণ্ঠে থাকে আশার সুর,
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শেখান।
মাথায় ঢুকিয়ে দেন না,
বরং ভাবার ক্ষমতা জাগিয়ে দেন।
প্রিয় শিক্ষক,
আপনার অনুপ্রেরণায় বদলেছে আমার দিগন্ত,
আপনার ধৈর্য, আপনার সহানুভূতি,
আমার জীবনের অমূল্য রত্ন।
শিক্ষকের দায়িত্ব শেষ হয় না ক্লাসরুমে,
আপনার ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ে,
জীবনের প্রতিটি কোণে।
আপনার জন্য রইল আমার এই শ্রদ্ধা,
শিক্ষক দিবসে জানাই কৃতজ্ঞতা,
প্রিয় শিক্ষক, আপনিই আমার জীবন গঠনের
অনন্য এক কারিগর।
আমার মায়ের অনুপ্রেরণায় আমার লেখালেখির জগতে আসা। যদিও মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে পারিনা তবে মাঝে মাঝে সময় পেলে কবিতা লেখার ট্রাই করি। আম্মুর পদ্য কবিতাগুলো আমার কাছে দারুণ লাগে। কি চমৎকার করে স্বরবৃও ছন্দে লিখেন। ৮ ৬ মাত্রার এই কবিতাগুলো আমি নিয়মিত ফলো করি এবং সেভাবে লেখার চেষ্টা করি,তবে দু একটি মাত্রা এদিক সেদিক হলে আম্মুর কাছে ঠিক করে নিই। আমার মায়ের লেখা কবিতার অনেক ভক্ত পাঠক আমি দেখেছি দেশ এবং দেশের বাইরেও, যা আমাকে ভীষণভাবে উৎসাহিত করে। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারেও অনেকেই আম্মুর লেখা কবিতাগুলো ভীষণ পছন্দ করে, এটি আমার কাছে অনেক গর্বের। আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে আগামীতে আরো মজার মজার কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।
এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শিক্ষক নিয়ে খুবই সুন্দর কবিতা লিখেছেন। আসলে শিক্ষকরা মহান, আর এই শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে তাদের ভালবাসতে হবে। সেই আলোকে খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখে শেয়ার করলেন।
শিক্ষক শুধু আমাদের শিক্ষা দেন না উনি আমাদের জীবনের চলার পথ দেখিয়ে দেন। উনি আমাদের কাছে একটা আদর্শ। উনি ভালো খারাপ ন্যায় অন্যায় এর পার্থক্য করতে শেখান আমাদের। চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা ভাই। দারুণ লিখেছেন কবিতা টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
শিক্ষক দিবসে তুমি শিক্ষকদের নিয়ে দারুণ একটি কবিতা লিখেছো। প্রিয় শিক্ষক শিরোনামে। আমি পড়ে মুগ্ধ হলাম। দারুণ কাব্যশৈলী। অনেক অনেক শুভকামনা তোমার জন্য।