ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার রাজবাড়িতে ঘুরতে যাওয়া ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমি কালকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম ঢাকা টু ময়মনসিংহ ট্রেন জার্নি। আজ আমি ময়মনসিংয়ের একটি ঐতিহ্যবাহী জায়গা অর্থাৎ মুক্তাগাছার রাজবাড়ি যাওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি কালকে ঢাকা টু ময়মনসিংহ ট্রেন জার্নি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম । আমরা ময়মনসিংহের বিকেল ৩'৩০ মিনিটে নেমেছিলাম। ময়মনসিংহে আমার এক ছোট ভাই থাকে আমরা দুজন অর্থাৎ আমি আর সৌরভ তাদের বাসায় উঠি। সেখানে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে আমি সৌরভ আমার ছোট ভাইটি এবং তার এক বন্ধু মিলে রওনা দেই মুক্তাগাছা রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে। ময়মনসিংহ মেন শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে মুক্তাগাছার রাজবাড়ীটি অবস্থিত। আমরা বাসে করে ময়মনসিংহ শহর থেকে মুক্তাগাছার উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
প্রায় কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা মুক্তাগাছা রাজবাড়ি পৌঁছে যাই। আমরা ছিলাম চারজন। সবাই মুক্তাগাছা রাজবাড়িতে প্রবেশ করি। রাজবাড়ীটি দেখে মনে হচ্ছিল বেশ পুরনো। আমাদের মত আরো অনেকেই এই রাজবাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। রাবাড়িটি দেখেই মনে হচ্ছিল যে অনেক পুরনো আবার অনেক জায়গা নতুন করে সংস্করণ করা হয়েছে সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে। আমরা ভেতরে ঢুকে আশেপাশে ঘুরতে থাকি এবং রাজবাড়ীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি।
রাজবাড়ীটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগছিল।এরকম পুরাতন রাজাদের বাড়ি দেখতে বেশ ভালই লাগে। আমরা চারজন রাজবাড়ীটির চারিদিকে ঘুরে দেখতে থাকি। রাজবাড়ীতে বেশ বড় ছিল। আমরা একদিক থেকে কভার করে রাজবাড়ীটি দেখতে থাকি। আমাদের মত আরো অনেকেই এই রাজবাড়িটি দেখতে এসেছিল। রাজবাড়ীর বাইরের দিকে অর্থাৎ প্রবেশপথে বেশ কিছু সংস্করণ করা হয়েছিল এতে রাজবাড়ীটি সৌন্দর্য বেড়ে উঠেছে। আর রাজবাড়িটির ভেতরের দিকে গেলে বুঝা যায় যে রাজবাড়ীটি অনেক পুরনো। আমরা সবাই রাজবাড়ীটি ঘুরে দেখতে থাকি।
ভেতরে ঘুরতে ঘুরতেই একটি জিনিস চোখে পড়ে। জিনিসটি দেখে বুঝলাম না এটি কি। রাজবাড়ির ভেতরে এরকম জায়গা বেশ ইউনিক একটি জায়গা। জায়গাটির ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি আপনারা যদি কেউ জেনে থাকেন এটি কিসের জন্য বা এটির কাজ কি তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।
এরপর রাজবাড়ীতে ঘুরা শেষে আমরা সবাই মুক্তাগাছার ঐতিহ্যবাহী গোপাল পালের প্রসিদ্ধ মন্ডার দোকানে যাই মন্ডা খেতে। এখানকার মন্ডাটি হলো বাংলাদেশের নামকরা। অনেকে এই মুক্তাগাছায় আসে শুধু এই মনটা খাওয়ার জন্য। আমরা সবাই মিলে মুক্তাগাছায় মন্ডা খাই। এভাবেই শেষ হয় আমাদের মুক্তাগাছার ঘুরাঘুরি পর্বটি।
আজকের মত এখানেই। আশা করছি আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
আগের যুগের পুরাতন বিল্ডিং এবং রাজারপ্রাসাদ গুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে ঘুরাঘুরি করার মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যেটা স্মৃতি হিসেবে এখনো রয়ে গেছে। আপনার ঘোরাঘুরির মাধ্যমে আমরাও দেখতে পেলাম ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
রাজবাড়িতে বেশ চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে ঘুরতে যাওয়া মুহূর্ত গুলো খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। মুক্তাগাছার রাজ বাড়ির বিল্ডিং এর ডিজাইন সত্যি খুব অসাধারণ। দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন সবাইকে খুবই মুগ্ধ করে। মুক্তাগাছার রাজবাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টটি এতক্ষণ ধরে পড়ে একটি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রাজবাড়ী দেখতে সবারই ভালো লাগে একটা রাজকীয় ব্যাপার-স্যাপার থাকে, আমার একবার মুক্তাগাছা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু শহরটি ঘুরে দেখা হয়নি।
আবার কখনো মুক্তাগাছা গেলে রাজবাড়ীতে ঘুরে আসবেন ভালো লাগবে।
বাহ্ চমৎকার তো ময়মনসিংহে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দিতে গিয়ে মুক্তাগাছার রাজবাড়ি ও দেখে আসলেন! দেখতে কিন্তু বেশ সুন্দর মুক্তাগাছার রাজবাড়িটি। আসলে আপনার পোস্ট না হলে এ রাজবাড়ী কখনো দেখা সম্ভব ছিল না। আবার দেখছি সবশেষে মন্ডা মিঠাইও খেয়ে নিলেন।
যদি কখনো এদিকে আসা হয় তাহলে অবশ্যই রাজ বাড়িটি দেখে যাবেন, আশা করছি ভালো লাগবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এভাবে যদি এরকম রাজবাড়িগুলোতে ঘুরতে যাওয়া হয় তখন খুব ভালোই হয়। আর আপনি তো দেখছি ময়মনসিংহে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দিতে গিয়ে মুক্তাগাছার রাজবাড়ি ঘুরে এসেছিলেন। নিশ্চয়ই সেখানে গিয়ে খুব ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। আসলে এরকম পুরাতন রাজবাড়িতে গেলে ভালো লাগারই কথা। মুহূর্তটা এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে।
আপনি ঠিক বলেছেন সেখানে গিয়ে খুব ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। যদি কখনো সুযোগ হয় আপনিও ঘুরে আসবেন দেখবেন ভালো লাগবে।
ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা রাজবাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম। আপনি খুব ভালো মুহূর্ত পাঠিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে যা দেখে বুঝতে পারছি। আসলে এরকম জায়গাগুলো সবারই পছন্দের। এরকম রাজবাড়ী গুলো অনেক বেশি পুরনো হওয়ার কারণে, সবাই একসাথে গেলে ভালো সময় কাটানো যায়। এই জায়গাটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে আমি তো ভাবছি হাতে সময় হলে এই জায়গাটিতে যাব।
ভাই সময় পেলে ঘুরে আসেন দেখবেন অনেক ভালো লাগবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
পুরোনো রাজবাড়িগুলো দেখলে মনের মাঝে কেমন একটা যেনো অনুভুতি হয়।মনে হয় এক সময় এখানে অনেক লোক সমাগম হতো। কিন্তু এখন নেই।আপনি খুব সুন্দর ভাবে রাজবাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখলেন।আর ফটোগ্রাফি ও আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করলেন। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই পুরনো রাজাদের বাড়িগুলো দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। রাজবাড়ী তো ভীষণ সুন্দর। এমন জায়গায় ঘুরতে অনেকেই খুব পছন্দ করে। তাইতো এমন জায়গায় মানুষের আনাগোনা সবসময় লেগেই থাকে। ঘুরাঘুরি শেষ করে আপনারা বিখ্যাত মন্ডা খেয়েছেন। সবমিলিয়ে আপনারা দারুণ সময় কাটিয়েছেন সেখানে। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।