বৃষ্টিময় শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান ময়মনসিংহ ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা যারা আমার পোস্ট করেন তারা সবাই জানেন যে আমি কিছুদিন আগে ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। আমি ইতিমধ্যে রাতের শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান নিয়ে আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট করেছি। আজ আমি বৃষ্টিময় দিনে শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান এ যাওয়ার অনুভূতি অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে রাতের শিল্পাচার্জ জয়নুল উদ্যান নিয়ে পোস্ট করেছিলাম। আজ আমি বৃষ্টিময় দিনে এখানকার পরিবেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার পর কয়েকদিন আমরা ময়মনসিংহ শহরে ঘুড়ি। আমরা বিকেলে শিল্পাচার্যের জায়নুল উদ্যানে ঘুরতে যাই। বিকেল থেকে আকাশ অনেক মেঘলা ছিল। এরকম মেঘলা দিনে বন্ধুদের সাথে ঘুরার মজাই আলাদা। আমরা সবাই বিকেল চারটার পরে রওনা দেই শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যানের উদ্দেশ্যে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা সবাই জয়নুল উদ্যান পৌঁছে যাই। ভেতরে ঢুকেই একদিক কভার করে উদ্যানে ঘুরতে থাকি। এর আগের বার যেহেতু রাতের বেলায় এসেছিলাম তাই নদীর তীরে যাওয়া হয়নি, তাই এবার সবার আগেই উদ্যানের পাশের নদীর তীরে যাই। আকাশ মেঘলা ছিল আর নদীর ধারের শীতল বাতাস ছিল মনোমুগ্ধকর। ইচ্ছে করে এরকম পরিবেশে মিশে যাওয়ার। নদীর তীরে রয়েছে নৌকা, এসব নৌকা গুলো দিয়ে মানুষ নদী পার হয়।
কিছুক্ষণ তীরে থাকার পর সবাই উপরে ওঠে আছি। আবার উদ্যানের চারপাশে ঘুরতে থাকি। উপরে উঠে সামনের দিকে হাঁটতে হাঁটতেই শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। আমরা সবাই দৌড়ে একটি দোকানের সামনে অবস্থান করি। দোকান থেকে বৃষ্টির উপভোগ করতে থাকি। আমরা উদ্যানের একটি ফুচকার দোকানে অবস্থান করি সেখান থেকে খুব সুন্দর ভাবে সামনের একটি নাগরদোলা ও নদীটি দেখা যাচ্ছিল। আমরা সবাই সেই দোকান থেকে বৃষ্টি উপভোগ করতে থাকি।
কিছুক্ষণ পরে বৃষ্টি কমলে আমরা আবার হাঁটা শুরু করি। সামনে গিয়েই নদীর তীরে চায়ের দোকানে যাই। আগের পোস্টেও আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম নদীর তীরের চা নিয়ে। এখানকার নদীর তীরে চাকগুলো অসম্ভব সুন্দর ও টেস্টি। এখানকার মালটা চা বেস্ট। আমরা নদীর তীরে চায়ের দোকানে গেলে আবারো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়। এবার আমরাই ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে সবাই মিলে ভিজি। এই ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে সবাই মিলে নদীর তীরে বসে চা খাই, এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। নদীর তীরে শীতল বাতাস এর সাথে চা অনুভূতিটি বলে বোঝানো সম্ভব না। সব মিলিয়ে আমাদের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যানে আমাদের সময়টি অনেক ভালো কেটেছিল।
আজকের মত এখানেই। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যানে তো বেশ সুন্দর ঘোরাফেরা করলেন। বৃষ্টিময় দিনে এমন সুন্দর জায়গায় ঘুরতে বেশ ভালোই লাগবে। তাছাড়া আপনারা নদীর পাড়ে গেলেন। সত্যি বলতে নদীর পাড়ে বসে যদি এমন মজার এক কাপ চা নিয়ে বসা যায় দারুন লাগবে। তাছাড়া সময়টা বৃষ্টির দিন ছিল ভীষণ ভালো লাগবে চা খেতে। তবে শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যানে দারুণ ঘোরাফেরা করলেন ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।