কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা ২০২৩ || পর্ব -০১||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা যারা আমার পোস্ট রেগুলার পড়েন তারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন আমি ময়মনসিংহে গিয়েছিলাম কৃষি ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। ঢাকা টু ময়মনসিংহ ট্রেন জার্নি, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা রাজবাড়ি ঘুরতে যাওয়া এবং শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান ময়মনসিংহ ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। কিন্তু আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি যেই উদ্দেশ্যে আমি ময়মনসিংহ এসেছিলাম অর্থাৎ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার আমার সিট পড়েছিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে। পরীক্ষার সময় ছিল সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট। আমি ছিলাম আমার একটা ছোট ভাইয়ের বাসায় তাদের বাসা ছিল ময়মনসিংহ জয়নুল উদ্যানের পাশে। সেখান থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় একটু দূরে। আর যেহেতু পরীক্ষার দিন তাই রাস্তায় জ্যাম থাকবেই। তাই ১১:৩০ এ পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও আমরা সকাল ৯ টা ৩০ এ হালকা নাস্তা করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আমি ও আমার এক বন্ধু সাথে আমার এক ছোট ভাই মিলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। রাস্তায় ভালোই জ্যাম ছিল। কোন ভর্তি পরীক্ষার সময় রাস্তায় এমন জ্যাম হয়। প্রায় ৪০-৫০ মিনিট পরে আমরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছাই।
যেহেতু পরীক্ষার আরও অনেকটা সময় বাকি ছিল তাই আমরা একটু ক্যাম্পাসটি ঘুরে দেখতে থাকি।বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের ক্যাম্পাস বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের থেকে অনেক বড়। আমি ভিডিওতে অনেক দেখেছিলাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সেদিন চোখের সামনে সরাসরি দেখছিলাম, আমার দেখা বেস্ট ক্যাম্পাস হলো এটি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্যাম্পাস অনেক সুন্দর।
যেহেতু পরীক্ষা ছিল তাই ক্যাম্পাসের অল্প একটু ঘুরে যেই বিল্ডিংয়ে আমার সিট পড়েছিল সেখানে যাই। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৪০ মিনিট আগে রুমের দরজা খুলে দেওয়া হয়। প্রবেশপত্রে বিল্ডিং ও রুম নাম্বার উল্লেখ করা ছিল তাই কারো সিট খুজে পেতে কোন সমস্যা হয়নি। আমার সিট পড়েছিল কি অনুসদের ৩০১ নাম্বার রুমে। তাই আমি কৃষি অনুষদে গিয়ে ৩০১ নাম্বার রুমে আমার সিটে অবস্থান করি।
এরপর রুমে শিক্ষকরা অবস্থান করে। আমাদের মোবাইল ফোন গুলো সামনে জমা নেওয়া হয়। সবাই নিজেদের মোবাইল ফোন গুলো সামনে জমা দিয়ে আসে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধাঘন্টা আগে আমাদেরকে ওএমআর দেওয়া হয় এখানে সবাই খুবই সাবধানে নিজের রোল, পিন কোড, নাম ইত্যাদি পূরণ করে। এরপর ঠিক ১১ঃ৩০ মিনিটে আমাদেরকে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। ১০০ টা এমসিকিউ সময় মাত্র ৬০ মিনিট অর্থাৎ এক ঘন্টা।
পরীক্ষা শেষ হয় ১২:৩০ মিনিটে। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীনই অনেক জোরে বৃষ্টি শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয়ে সবাই সবার মোবাইল ফোন বুঝে নেয় এবং শিক্ষকরা ঠিকমতো খাতা গুনে নিয়ে চলে যায়। বাইরে খুবই বৃষ্টি হচ্ছিল তাই আমরা পরীক্ষার্থীরা বিল্ডিং এর মধ্যেই ছিলাম। আমি তখন জানালা দিয়ে বাইরের দিকে দেখছিলাম উনি আমার চোখে পড়ে জানালার বাইরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ। বাইরে থেকে মসজিদটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। বৃষ্টির মাঝে এই মসজিদটি দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। তাই আমি ফোন বের করে বিল্ডিং থেকে মসজিদটির একটি ছবি তুলে নেই।
বৃষ্টি একটু কমলে আমরা পরীক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে নিচে নামি। প্রচুর ভিড় ছিল তখন আসলে যে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাতেই এরকম ভিড় হয়ে থাকে। আমি নিচে নেমে আমার বন্ধুদের সাথে দেখা করে ক্যাম্পাসের একদিকে গল্প করতে থাকি কারণ তখনো বৃষ্টি পড়ছিল।
আজকের মত এখানেই। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে চমৎকার একটি অনুভূতি শেয়ার করেছ। আশা করছি তোমার সামনের পথ গুলো অনেক ভালো হবে।।
এভাবেই সবসময় দোয়া রেখো।
অনেক ছেলে মেয়ে সেখানে পরীক্ষা দিতে এসেছে, পরীক্ষা দিতে গিয়ে আপনি আশপাশের পরিবেশটা তুলে ধরেছেন। আর আপনার শেয়ার করা বৃষ্টি ভেজা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বিশাল বড় তো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আবার অপরূপ সৌন্দর্যের প্রকৃতিতে ঘেরা। দেখেই তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক ছেলেমেয়েই তো দেখছি পরীক্ষা দিচ্ছে। যাইহোক পরীক্ষার ফাঁকে এত সুন্দর সুন্দর প্রকৃতিকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ শিপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। আপনি সেখানে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন এবং চারপাশের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর বেশ কয়েকটা জায়গা দেখতে পারলাম। বৃষ্টির জন্য যদিও বের হতে পারেনি কিন্তু বন্ধুদের সাথে বেশ ভালোই আড্ডা দিয়েছিলেন নিশ্চয়ই। আশা করছি আপনার এই পরীক্ষাটা অনেক ভালো হয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন নিশ্চয়ই পরীক্ষাটা ভালো হয়েছিল। আর আজকে পরীক্ষা দেওয়ার প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আসলে এখন জ্যাম অনেক বেশি থাকে সব জায়গায় আপনি তাড়াতাড়ি বের হয়ে ভালোই করেছেন। তাড়াতাড়ি যাওয়ার কারণে আপনারা তিনজন চারপাশটা ভালোভাবে ঘোরাঘুরিও করেছিলেন। আর পরীক্ষা দেওয়ার পরেও আড্ডা দিয়েছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তো আসলেই খুব সুন্দর এবং অনেক বড় মনে হচ্ছে। পরীক্ষার সময় এমনিতেই আগে রওনা দেওয়া ভালো। কারণ ট্রাফিক জ্যামে আটকে গেলে পরীক্ষার বারোটা বেজে যায়। যাইহোক ঠিকমতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো। পরীক্ষার আগে এবং পরে বন্ধু ও ছোট ভাইয়ের সাথে ভালোই আড্ডা দিয়েছেন। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ছোট ভাইজান। সুন্দর পরীক্ষা দেওয়ার একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যেখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অনেক তথ্য বহন করেছেন এই পোস্টের মধ্যে। পাশাপাশি বৃষ্টি আবহাওয়া অনেক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ সবকিছুই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এখানে
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দেখে আমি মুগ্ধ। এত বড় ক্যাম্পাস। আর কত সুন্দর সাজানো গোছোনো পরিবেশ। তবে ৬০ মিনিটে ১০০ এমসিকিউ র পরিক্ষা আমিও দিয়েছি ভাইয়া। প্রশ্ন দেখো আর ভরাট করো। চিন্তা ভাবনা করার সুযোগ নেই। ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।