পৃথিবী এখন দোযখপুরী||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
মানুষ কে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়ে থাকে।অথচ মানুষ জাতির কর্মকান্ড বর্তমান সবচেয়ে নিকৃষ্টতম। মানুষের শরীর থেকে উঠে যাচ্ছে দয়া,মায়া ,আত্মমর্যাদাবোধ।কেউ কাউকে মারতে একবারও হাত কাপছে না।অহেতুক পার্থিব জগতের নিদ্দিষ্ট স্বার্থ কেন্দ্রিক কিছু শত্রুতা কে কেন্দ্র করে মানুষকে অমানুষিক নির্যাতন করে পরপারে পাঠাতে দুই দ্বন্ড দেরি করছেনা। একে অন্যের উপর উঠতে গিয়ে যত ধরনের দুর্নীতি,খুন রাহাজানি অনৈতিক কর্মকান্ড করার তারা করে নিচ্ছে চোখের পলকে।আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে মানুষ নিজের সত্তাকে হারিয়ে ফেলছে প্রতিনিয়ত।একজন মানুষের জন্য টাকা অনিবার্য একটি বস্তু। বেঁচে থাকতে হলে টাকার অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে।কিন্তু এই টাকা কখনো কখনো মানুষকে লোভী করে তুলছে।আর সেটার ফল লোভে পাপ ,পাপে মৃত্যুতে পরিণত হচ্ছে।
আজকে আমি খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি ।যদিও ঘটনাটি আমার কোনো রিলেটিভ বা পরিবারের কারও সাথে ঘটেনি।এটি আমার জেলার এক এমপির সাথে ঘটেছে।গত ১৩ তারিখ তাকে বিভৎস ভাবে মার্ডার করা হয়েছে।আর এটি করতে সাহায্য করেছে তার নিজের কিছু বন্ধুরা।যেটা আরো বেশি দুঃখজনক একটি ঘটনা।কয়েকদিনের আগে চিকিৎসার জন্য তিনি ইন্ডিয়া গিয়েছিলেন সেখানে তারা আগে থেকেই লোকজন ঠিক করে রেখেছিলেন।অর্থাৎ তাকে মার্ডার করার পূর্ব পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন ওখানে।
ভিকটিম কে শুধুমাত্র মেরে ফেলে তারা থেমে থাকেনি কয়েক টুকরা করেছে তার লাশ।তারপর লাশের অস্তিত্ব যাতে না পাওয়া যায় সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় অংশ গুলো ফেলে দিয়েছে।যখন থেকে ঘটনাটি শুনেছি প্রচণ্ড খারাপ লাগছে।একটা মানুষকে মানুষ কিভাবে মেরে ফেলতে পারে আবার তারপর কেটে টুকরো করা।যেখানে রক্ত দেখলেই অনেকেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ রয়েছে যারা কিনা মৃত দেহ দেখতে যেতেই ভয় পেয়ে থাকে।আর সেখানে নির্দয় কিছু মানুষ সহজেই একটি দুইটি করে খুন করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।যারা প্রাণ দিতে পারেনা তারা প্রাণ কিভাবে নেওয়ার চিন্তা করে।আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে যারা সামান্য পোকামাকড় মারতেই ভয় পায়। কারণ একটা প্রাণ নিয়ে নেওয়া খুবই সহজ কিন্তু প্রাণ দেওয়াটা খুবই কঠিন এবং অসম্ভব একটি কাজ।
পৃথিবীটা দোযখ পুরীতে রূপান্তরিত হচ্ছে দিনদিন।এগুলো চলতে চলতে একটি পর্যায়ে মানুষ আর মানুষকে বিশ্বাস করতে পারবেনা।কাছের মানুষ দূরের মানুষ সবাইকেই দূরত্বে রাখবে।একপর্যায় গিয়ে একতা বিনষ্ট হবে সমাজ নিষ্প্রাণ হয়ে পড়বে সহজেই।তবে যিনি মার্ডার হয়েছেন ভিকটিম,তিনি নাকি স্বর্ণ চোরাচালান কারবার এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।তাছাড়া আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত ব্যাপার সমূহ জড়িত ছিল তার জেরেই এই হত্যাকান্ড ।বাংলাদেশ এবং ভারতীয় ইনভেস্টিকেশন টিম এমনটিই জানিয়েছেন।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 25th May,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

আপু আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে একদম মনে হচ্ছে কান্নায় ভেসে যায়। আসলে আপু বন্ধুই আমাদের বেশি শত্রু। খুবই খারাপ লাগছে যে আপনাদের এলাকার এমপি তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজকে আমি যখন টিভিতে নিউজ দেখেছিলাম তখন এটা আমি শুনেছিলাম। তবে আবার আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে বিষয়টা আরো একটু ক্লিয়ার বুঝতে পারলাম। তিনি ইন্ডিয়ায় চিকিৎসা করার জন্য গিয়ে ছেড়ে দেবো তার বন্ধুরা ষড়যন্ত্র করে তাকে মার্ডার করেছে বিষয়টা বুঝতে পারলাম। খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার মানুষ মানুষকে কিভাবে যে হত্যা করে বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। এর চেয়ে ভয়াবহ দৃশ্য হয়তো পৃথিবীতে আর নেই। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট পড়তে গেলে কান্নায় ভাসা যায়?যাইহোক কান্না করিয়েন না ঘটনাটি দুঃখজনক আসলেই যেটা আমারও ভালো লাগেনি।
যা শুরু আছে তা শেষ রয়েছে। পৃথিবীটা যখন সৃষ্টি হয়েছে তখন ধ্বংস তো হবেই। আর ধ্বংস করার জন্য কিছু কারণ থাকতে হবে। আপনি যে ভিকটিমের কথা বললেন এটা আমিও শুনেছি শোনার পরে ভীষণ খারাপ লেগেছিল। মানুষ কিভাবে এমন কাজ করতে পারে। তবে বর্তমান সময়ে সবকিছুই পারছেন। মৃত্যুর পরে দোযখ দেখা লাগবে না আগে থেকে দেখে নিচ্ছি আমরা।
হ্যা ভাইয়া কিয়ামত আর বেশি দেরি নেই।
কালকে নিউজে এই বিষয়টা শুনতে পারলাম। টিভিতে সংসদে বলছিল ইন্ডিয়াতে নিয়ে গিয়ে এভাবে মেরে ফেলা হয়েছে এমপি মহোদয় কে তারপর তার লাশগুলো বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে টুকরা টুকরা করে। আসলে দিনদিন মানুষ কতটা নিচে নেমে যাচ্ছে তার প্রকাশ ঘটছে এভাবে।
হ্যা লোকটির জন্য অনেকটাই খারাপ লেগেছে সাংঘাতিক মৃত্যু ছিল তার।
ঘটনাটা শুনে সত্যি ই খারাপ লাগলো। মানুষের প্রতি মানুষের মায়া মমতা উঠে গেছে।এটা ঠিক বলেছেন একটি পোকা দেখলে আমি কি ভয়ে থাকি।আর একজন মানুষ কে মেরে আবার টুকরো টুকরো করে কিভাবে?? ওটা একজন মানুষ নয়।মানুষ হলে এমনটা করা সম্ভব হতো না।সত্যি ই ঘটনাটা হৃদয় বিদারক।
আপু এরপর নাকি টুকরো করা মাংসে হলুদ মরিচ মেখেছিল,অপরাধীরা ধরা পড়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
একটা জেলার এমপিকে এমন মর্মান্তিকভাবে হত্যা করা হলো , এটা তো খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার। আসলে বন্ধুবান্ধবরাই আমাদের সব থেকে গোপন তথ্যগুলো জানে, এজন্য সব থেকে বড় ক্ষতি তাদের দ্বারাই হয়। যাইহোক, হত্যাকারীরা শুধু তাকে হত্যা করে থেমে থাকেনি, তার পরিবর্তে তাকে টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলেও দিয়েছে যা ভেবেও ভয় লাগছে। সে যতই চোরা চালানের সাথে যুক্ত থাকুক না কেন, তাকে তো এইভাবে হত্যা করাটা একেবারেই অন্যায় ও অমানবিক ছিল।