নিরামিষ মুলা ঘন্ট রেসিপি ❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো নিরামিষ মূলা ঘন্ট রেসিপি।
অনেক দিন থেকেই রেসিপিটি করার শখ কারন একটাই আমাদের শ্রদ্ধেয় ভাইয়া @hafizullah এডমিন ওনি দেখি মাঝে মাঝে মূলা নিয়ে মজা করেন এবং সবাই ওনাকে মূলার কথা বলে মজা করে।তাই ভাবছি এই মূলার সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করবো যাতে করে ভাইয়া রেসিপিটি রান্না করে মজা করে খতে পারে🙂।এটা কিন্তুু শুধুই মজা করে বল্লাম।মূলায় কিন্তুু অনেক পুষ্টি গুণ রয়েছে।তো চলুন দেখি কি কি পুষ্টি রয়েছে মূলাতে।
হজম শক্তি বাড়ায় মুলায় থাকা আঁশ বা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে এটি এমন একটি খাবার, যা প্রায় ক্যালরি ছাড়াই পেট ভরাতে সাহায্য করে।
প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে।হার্ট ভালো রাখে।
ডায়াবেটিস রোধ করে। রোগ প্রতিরোধ করে তবে এই সবজিটি কিন্তু অবহেলিত একটি সবজি।অনেকেই এই মূলা পছন্দ করে না এবং খায় না।আসলে এই পুষ্টিকর মূলা যদি আমরা সুন্দর করে রান্না করি তাহলে কিন্তুু দারুণ লাগে খেতে।আমি যে মূলার রেসিপি শেয়ার করবো এই রেসিপিটি আমার দিদুর কাছে মা শিখেছে এবং মা শীতকালে খুব সুন্দর করে রান্না করতো এবং আমরা মজা করে খেতাম।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন
১.মুলা |
---|
২.আদা বাটা |
৩.জিরা বাটা |
৪.গরম মসলা |
৫.লবব |
৬.হলুদ |
৭.তেজপাত |
৮.ঘি |
প্রথম ধাপ
প্রথমে বড়ো সাদা মুলা গুলো ছিলে নিতে হবে এবং সালাদ কটারের সাহায্যে মূলা গুলো কুচি কুচি করে নিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে এবং পরিমান মতো তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে তাতে তেজ পাতা ও গোটা জিরে ফোঁড়ন দিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
এখন কুচানো মুলা গুলো কড়াইয়ে দিয়ে দিতে হবে এবং লবন হলুদ দিয়ে দিতে হবেও নারাচারা করে ভাজতে হবে একটু সময়।
চতুর্থ ধাপ
এখন একটু ভেজে নেয়া মুলা গুলোতে বাটা সব গুলো মসলার উপকরণ দিয়ে দিতে হবেও কাচা মরিচ দিয়ে আবার খুব ভালো করে নারাচারা করে কষিয়ে নিতে হবে।মরিচ ফোঁড়নে দিলে ভালো হতো কিন্তুু আমি ভুলে গিয়েছিলাম তাই মসলার সাথে দিয়ে কষিয়ে নিতে হয়েছে।
পঞ্চম ধাপ
এখন মসলা দিয়ে কষানো মুলা গুলোতে অল্প পরিমাণ জল দিয়ে ঢাকা দিতে হবে সিদ্ধ করে নেয়ার জন্য।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার ঢাকা খুলে আবারও নারাচারা করে গরম মসলা দিতে হবে এবং নারাচারা করে মিশিয়ে নিতে হবে ও নামানোর আগে ঘি দিয়ে নারাচারা করে নামিয়ে নিতে হবে।
পরিবেশন
এই তো রেডি হয়ে গেলো আমর মজাদার মুলার নিরামিষ ঘন্ট রেসিপি।এভাবে রেসিপি করে খেয়ে দেখবেন অন্য কিছু আর লাগবে না শুধু এই মুলার ঘন্ট দিয়েই পুরা ভাত চেটেপুটে খেয়ে উঠবেন। তো আজ এ পর্যন্তই আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্ট নতুন পোস্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নিরামিষ মুলা ঘন্ট রেসিপি । আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে আপু। কিন্তু বাড়িতে কখনো এভাবে রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি ইউনিক রেসিপি দেখতে পেয়ে সত্যি আমার কাছে খেতে বেশ ইচ্ছে করছে। তবে চেষ্টা করব অতি দ্রুত বাড়িতে রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমাদের হাফিজ ভাইয়ের মুলো জিনিসটা অনেক পছন্দের খাবার। হা হা হা... তবে আমি কিন্তু মুলো কোন প্রকারেই খাই না। মাঝেমধ্যে মা মাছ দিয়ে রান্না করে তখন খেতে ভালো লাগে। তবে নিরামিষ ঘণ্ট কখনো খাওয়া হয়নি মনে হয়। তবে আপনার তৈরি করা মুলোর ঘন্ট দেখতে কিন্তু অনেক আকর্ষণীয় লাগছে। তাছাড়া আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো ছিল দিদি।
এই মুলার রেসিপি দেখেই প্রথমে হাফিজ ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল দিদি। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি মুলার রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য।
হাফিজ ভাই এর জন্যই এই সুন্দর রেসিপিটি করা🙂
বাহ,আপনার মুলার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো।আসলে প্রথমে বোঝাই যাচ্ছিল না যে এটা মুলার রেসিপি।তাছাড়া হাফিজ ভাইয়া মুলা খেতে অনেক ভালোবাসেন।মুলা অনেক উপকারী তবে অনেকেই এর উগ্র গন্ধের জন্য পছন্দ করেন না।সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি,ধন্যবাদ আপু।
এভাবে রেসিপি করলে একদমই গন্ধ থাকে না। আমার মেয়ে মুলা দেখলেই গন্ধ বলে কিন্তুু এই ঘন্ট চেটেপুটে খেয়ে নিয়েছে।
নিরামিষ মুলা ঘন্ট রেসিপি এটা কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। আপনি দারুন দক্ষতায় সম্পন্ন করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি সঠিক ভাবে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল দারুন ছিল।
হ্যাঁ খুব ভালো লাগে এই মুলা ঘন্ট।
চমৎকার একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে শীতের মৌসুমে অনেকেই এ ধরনের মুলার ঘন্ট তৈরি করে। নিরামিষ মুলার ঘণ্ট তৈরিতে মূলাগুলো প্রথমে কুচি কুচি করে কেটে নেওয়াটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
মুলার তৈরি করার রেসিপিগুলো হয়তো বা অনেকেই পছন্দ করে না কিন্তু আমার কাছে এই বছরে যেন মুলা খেতে খুবই ভালো লাগছে। আপনি নিরামিষি পদ্ধতিতে যেভাবে মোলা রান্না করেছেন তা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
মুলা কিন্তুু সত্যি ভালো সবজি এবং এই শীতে বেশ মজা লাগে খেতে মুলা।
মূলা নিরামিষ ঘন্ট রেসিপিটি আমার কাছে একদমই ইউনিক লাগলো আপু। মূলা খেতে আমি খুব পছন্দ করি। মূলার যেকোনো রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার তৈরী মূলার নিরামিষ ঘন্ট রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খুবই টেস্টি হয়েছে খেতে। আপনার রেসিপি ফলো করে বাসায় একদিন অবশ্যই ট্রাই করার চেষ্টা করব।
বাসায় বানানোর চেষ্টা করবেন জেনে ভালো লাগলো।সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটি।
অনেক সুন্দর মুলার একটি রেসিপি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই রেসিপি তৈরি করা দেখে। যেখানে আপনি চমৎকারভাবে রান্নার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক আমাদের হাফিজুল্লাহ ভাইয়ার মুলা অনেক পছন্দ। আজকে সেই মুলা দিয়ে বেশ সুন্দর করে মুলা ঘন্ট তৈরি করলেন। মুলা দিয়ে এরকম ভাবে সুন্দর রেসিপি তৈরি করা যায় আমি এর আগে সত্যি জানতাম না। বেশ ব্যতিক্রম লাগলো আপনার পুরো রেসিপিটা। আর আমাদের সবার প্রিয় হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের ও হয়তো আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ ভালই লাগবে। ভাবতেছি একদিন আমিও তৈরি করব। আমার কাছে অনেকেই অনেক ইউনিক লাগলো আপনার রেসিপি।
হাফিজুল্লাহ ভাইয়া পছন্দ করে মুলা এটা জানার পরেই এই মজাদার রেসিপিটি করার ইচ্ছে ছিলো। রেসিপিটি তৈরি করবেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।