মুভি রিভিউ : আগলি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আবার একটি সিনেমার রিভিউ নিয়ে উপস্থিত হলাম। সিনেমাটির নাম আগলি। অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত এই সিনেমাটি ২০১৩ সালে কান ফেস্টিভ্যালে প্রথম দেখানো হলেও প্রায় দেড় বছর বাদে ২০১৪ সালে ভারতীয় থিয়েটারে মুক্তি পায়। সিনেমাটি একজন স্ট্রাগলিং অভিনেতা রাহুল ও অভিনেতার মেয়ে কলিকে ঘিরে। বাবার সাথে কলি ঘুরতে বেরিয়ে অপহরণ হয়ে যায়। কলির অপহরণের পরের নানান ঘটনা ঘিরেই পুরো সিনেমাটা।
শালিনী একজন মদ্যপানে আসক্ত অবসাদগ্রস্ত গৃহবধূ। অবসাদের তাড়নায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে যখন স্বামীর বন্দুক মুখে ঢুকিয়ে ট্রিগার চালাবে ঠিক তখনই দরজায় ধাক্কা, দরজার বাইরে শালিনীর প্রথম পক্ষের মেয়ে কলি। কলি মাকে জোরাজুরি করতে থেকে বাবাকে ফোন করার জন্য।
অন্যদিকে শালিনীর ভাই সিদ্ধান্ত আইফোন পাচার করার জন্য তার জামাইবাবু পুলিশ প্রধান সৌমিক বোসকে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
শালিনীর প্রথম স্বামী ও কলির বাবা, রাহুল, একজন স্ট্রাগলিং অভিনেতা, বিবাহ বিচ্ছেদের পর আদালত নির্ধারিত শুধুমাত্র শনিবারেই কলির সাথে সময় কাটাতে পারে। রাহুল তাই মেয়ে কলিকে শালিনীর বাড়ি থেকে নিয়ে যায়, কিছুটা সময় কাটাবে বলে। তবে রাহুল আগে একটা কাজে কলিকে সাথে নিয়ে যায়। কলি বাবার কাজে অনীহা দেখিয়ে গাড়িতেই থেকে যায়। গাড়িতে একা কলিকে দেখে এক খেলনা বিক্রেতা মুখোশ মুখে লাগিয়ে কলির সাথে খেলে। অপরদিকে কাস্টিং ডিরেক্টর বন্ধু চৈতন্য আসে, রাহুলকে একটি সিনেমার স্ক্রিপ্ট হাতে দিয়ে জানায়, আসবার সময় গাড়িতে সে কলিকে দেখতে পায়নি। রাহুল একথা শোনা মাত্র গাড়ির কাছে ছুটে যায়, পিছু নেয় চৈতন্য। গাড়ির কাছে এসে দেখে কলি নিখোঁজ। খোঁজাখুঁজি করতে করতে চৈতন্য স্থানীয় এক খেলনা বিক্রেতাকে কলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কলির ফোন খেলনা বিক্রেতার কাছে দেখতে পায়। লোকটি পালিয়ে যায়, পেছনে রাহুল আর চৈতন্য ধাওয়া করে। তাড়া করার সময় খেলনা বিক্রেতা একটি গাড়ির ধাক্কায় মারা যায়। রাহুল, চৈতন্যকে সাথে নিয়ে পুলিশের কাছে যায়, কিন্তু স্থানীয় পুলিশ ইন্সপেক্টর রাহুলকে গুরুত্বের সাথে নেয় না। নানান ভাবে তাচ্ছিল্য করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁরা বুঝতে পারে যে কলি আসলে পুলিশ-প্রধান সৌমিক বসুর মেয়ে।
সৌমিক বোস, নিজের ইগোতে, রাহুলকে কলির অপহরণ করার জন্য অভিযুক্ত করে। রাহুল ও চৈতন্য উভয়কে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক ভাবে নির্যাতনের নির্দেশ দেয়। অপহরণকারীর কাছ থেকে মুক্তিপণের দাবিতে রাহুলের কাছ ফোন আসে। সৌমিক কলগুলোকে ট্রেস করে, কিন্তু কোনো লাভই হয় না। সবাই একে অপরকে দোষারোপ করে কিন্তু কলির কোনো খোঁজ মেলে না।
চৈতন্য অপহরণকারী সেজে অন্য একটি মেয়ের গলার রেকর্ড ব্যবহার করে রাহুলের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে। রাহুলের অজান্তে চৈতন্যকে সেই কলের কথা বলে, চৈতন্য রাহুকে পরামর্শ দেয় কলির সৎ বাবা সৌমিকের সাথে কথা বলতে, টাকার ব্যবস্থা সেই করতে পারবে। পুলিশ রাহুল চৈতন্যর সব কথা ফোন ট্যাপ করে জানতে পেরে যায়। রাহুল শেষে উপায় না দেখে গয়নার দোকানে ডাকাতি করতে যায়, শেষে ধরা পরে গ্রেপ্তার হয়। অপরদিকে সিদ্ধান্ত অপহরণকারী সেজে শালিনীর কাছে ৫০ লাখ মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে। শালিনী তখন বাবার কাছে ৬৫ লাখ চায়, নিজে ১৫ লাখ লুকিয়ে বাকিটা অপহরণকারী দিয়ে দেয়। সিদ্ধান্তকে টাকা সহ পুলিশের ধরে ফেলে, কিন্তু কলির খোঁজ পাওয়া যায় না।
কলির খোঁজ না পেয়ে পুলিশ আবার মার্কেটপ্লেসে ফিরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের পরে একজন মহিলার সাথে কাছে জানতে পারে খেলনা বিক্রেতার আগেও শিশুদের অপহরণ করার ইতিহাস রয়েছে। পুলিশ সেই মহিলার পিছু নিয়ে এক পরিত্যক্ত গাড়ির পার্কিংয়ে অবশেষে কলির খোঁজ পায়...
"আগলি" ক্রাইম-মিস্ট্রি ধর্মী একটি সিনেমা। মিস্ট্রি আমার বরাবরই খুবই পছন্দের তবে আগলি আমার দেখা সেরা হিন্দি ক্রাইম-মিস্ট্রি। হিংসা, দুর্নীতি আর নিষ্ঠুরতা ভরপুর সমাজে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে একটা বাচ্চার অপহরণ গৌণ হয়ে যায়। ইগোর ক্ল্যাশে মূল ঘটনাই যে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়।
অনুরাগ কাশ্যপের পরিচালনা ও চিত্রনাট্য দুটোই বেশ ভালো। পুলিশ অফিসার চরিত্রে রনিত রায় দারুন অভিনয় করেছেন। বাবা হিসেবে রাহুল ভাট বেশ ভালো লেগেছে। মা হিসেবে তেজস্বিনী কোলাপুরে বেশ সংযত। বিনীত কুমার সিংয়ের অভিনয় চমৎকার ছিলো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

পড়ে খুব ভালো লাগলো রিভিউটি।
আমার আসলে অনেকদিন হচ্ছে কোনো মুভিই দেখা হচ্ছেনা। তবে ক্রাইম মিস্ট্রি গুলো আমার বরাবরই অনেক বেশি ভালো লাগে। আর আজকের এই আগলির মুভির কাহিনী পড়েও মনে হচ্ছে দেখতে পারলে ভালোই হবে।
"আগলি" দেখে ফেলুন ম্যাডাম। আমার তো দারুন লাগলো। পুরোটাই টান টান।
ভাই এই ধরনের সিনেমা আমার খুব পছন্দের বিশেষ করে ক্রাইম ইনভলব এই গুলো।সিনেমাটির ট্রেলার এবং রিভিউ দেখে মমে হচ্ছে দারুন মুভি দেখতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা দারুন একটি মুভি এবং রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
ভালোই সিনেমা। YouTube এ আছে, দেখতে পারেন।
রিভিউটা বেশ ভালো ভাবেই দিয়েছেন দাদা।
এই মুভিটা যদিও এখনও দেখা হয়ে ওঠে নি, তবে রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে একবার দেখা উচিত।
অনেক ইন্টেরেস্টিং লাগলো। আর ক্রাইম, থ্রিলার এসব মুভিগুলো দেখতে আমারও ভালোই লাগে।
ধন্যবাদ দিদি 🤗।
সিনেমাটা আমার বেশ ভালো লাগলো। আমি নিশ্চিত থ্রিলার প্রেমীদেরই আগলি বেশ লাগবে।
দাদা আমার কাছে এই ধরণের মুভি অনেক বেশি ভালো লাগে , আমি মুভি দেখতে অনেক পছন্দ করি কিন্তু মুভি দেখিনা অনেক দিন হয়ে গেলো , রিভিউ লেখা অনেক সুন্দর হয়েছে , অনেক সময় নিয়ে লিখেছেন সেটা বুঝায় যাচ্ছে।
মাঝে মধ্যে দেখবেন। জীবনে একটু ভিন্নতা দরকার। ধন্যবাদ 🤗
রনিত রায়ের সিনেমা আমার খুবই ভালো লাগে।তবে এই মুভিটা দেখতে হবে।কিছুটা ক্রাইম পেট্রোলের মতো।মুভির রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো।আপনি সুন্দর করে রিভিউ দিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
ঠিক ক্রাইম পেট্রোলের মতো না, তবে বেশ টানটান। দেখতে পারো।
হুম দাদা,আপনি বলেছেন অবশ্যই দেখবো।