রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার একুশের স্মৃতিচারণ by @robinsiddiqui...10% for shy fox
আজ তারিখঃ০২-০৩-২০২২
বারঃ বুধবার
দেখতে দেখতে আরেকটি ভাষার মাস শেষ।তাই একুশে ফেব্রুয়ারির স্মৃতিচারণে আমার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি আমার বন্ধুদের সাথে কিভাবে সময় টা কাটালাম সে সম্পর্কেই আজকের পোস্টটি করতে যাচ্ছি ।
আশা করি এই মাতৃভাষা নিয়ে স্মৃতিচারণ করা পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
চিত্রঃ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
একুশে ফেব্রুয়ারির রাতের সাজে আমার ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যেন লাল-সবুজে ঝলমল করছিল। এরকম একটা দৃশ্য দেখে যে কারো মনে দেশের প্রতি মায়া মহব্বত,প্রেম-ভালোবাসা একাই জেগে উঠবে।
চিত্রঃআলপনা অংকন
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ডিপার্টমেন্টের ভাই ও আপুরা 20 ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ২১-শে ফেব্রুয়ারির আগের দিন আলপনা অংকনে ব্যস্ত ছিল।এই আলপনা গুলো অঙ্কন করা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ঠিক সামনে। অনেক মানুষের ভিড় জমে গিয়েছিল ভাই ও আপুদের এসব অঙ্কনের কাজ দেখার জন্য। আমিও সেখানে দাঁড়িয়ে এই ছবিটি তুলে নিলাম স্টিমিটে পোস্ট করার জন্য যাতে আপনারা সবাই এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে পারেন।
চিত্রঃ ফুলের তোড়া তৈরীর উপকরণ
যেহেতু আমরা ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টে পড়ি তাই আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে শহীদ মিনারে শহীদদের সম্মান সুচক ভাবে কোনো ফুল দেওয়া হবে হবে না তা তো হয় না।বাজারে গিয়ে দেখি একদম নরমাল ফুলের তোড়া গুলো ১২০০-১৩০০ টাকা করে চাচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ফুলের তোড়া বানানোর সব উপকরণ গুলো কিনে আমরা নিজেই এটা বানাবো।নিজের হাতে বানিয়ে শহীদদের সম্মান করার আনন্দই আলাদা।
চিত্রঃ নিজের হাতে বানানো ফুলের তোড়া
অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ফুলের তোড়া বানানোর পর ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ডিপার্টমেন্টের সামনে থেকে কয়েকজন বন্ধু মিলে শহিদ মিনারের দিকে রওনা হই। পরে সবাই সম্মিলিতভাবে শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলাম।
রাতের শহিদ মিনারে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতে গেছিলাম। দেখলাম একটা কুকুর ছানা বসে আছে। তারও যেন শহিদদের স্মরণে সেদিন মন খারাপ ছিলো।একটু কাছে টেনে নেওয়ার প্রয়াশ করেছি মাত্র। যাই হোক সবকিছু মিলে ২১ ফেব্রুয়ারির দিনটি অনেক ভালো ছিলো।
আজ এই পর্যন্তই। ভাষা শহিদের সম্মানে আর স্মৃতিচারণে আজ এই লেখাগুলো লেখলাম। যাতে শহিদদের প্রতি ভালোবাসা আমাদের সবসময় এভাবেই থাকে এবং তাদের ভূমিকা আমাদের মাঝে সবসময় জাগ্রত থাকে।
২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা দিবস। মায়ের ভাষায় কথা বলতে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার জন্য সালাম, বরকত সহ অনেকে ঘাতকের গুলিতে শহীদ হন। ভাষা শহীদদের স্মরনে তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে আপনারা ফুল দিয়ে সম্মাননা দিয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের জন্য ভালোবাসা রইলো 🤍
ধন্যবাদ ভাই❤️
আপনার অনুভূতি শুনে অনেক ভালো লাগলো। আলপনা খুব সুন্দর ছিলো ভাই। আর নিজেরা সব কিছু কিনে নিজেদের হাতে বানিয়ে ফুলের মাধ্যমে শ্রদ্ধ্যা জানিয়েছেন শুনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। অসাধারন ভাই। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই🌺
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কখনো ভ্রমণ করা হয়নি । তবে আপনার চিত্রগুলো দেখে অনেকটাই ভালো লাগলো । আপনার চিত্রের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুটা হলেও দেখতে পেলাম ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ঘুরতে আসবেন একদিন