মায়ের ভালোবাসা...
মানুষ বরাবরই সামাজিক জীব। মানুষের প্রয়োজনেই বহুকাল আগে থেকেই মানুষ দলবদ্ধ ভাবে জীবন যাপন করে আসছে। জীবনে চলার পথে, অনেকের সাথেই অনেক রকমের সম্পর্ক তৈরি হয়।বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া -প্রতিবেশি, প্রেমিক-প্রেমিকা, বেস্ট ফ্রেন্ডস, কলিগ, ভার্চুয়াল ফ্রেন্ডস আরো কত ধরনের সম্পর্কে জেনে না জেনে, ইচ্ছে করে অথবা ইচ্ছের বিরুদ্ধে জড়িয়ে থাকি আমরা। সাথে জড়িয়ে থাকে লেনা দেনা, চাওয়া পাওয়া, এক্সপেক্সটেশন্স, আবেগ অনুভূতির বিনিময়।
তবে যত মানুষের সাথেই সম্পর্ক তৈরি হোক না কেন, কোন কিছুর সাথেই মায়ের ভালোবাসার তুলনা হয় না।
মা তার সন্তানদের যে কোন ছোট খাটো বিষয়ও যেভাবে খেয়াল রাখেন আর কারো পক্ষে সেভাবে খেয়াল রাখা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি না।
আমার ছোট ভাই একটি কাজে দুদিনের জন্য ঢাকায় আমাদের বাসায় এসেছে। মা আমার জন্য কিছু জিনিস পাঠিয়ে দিয়েছে। তারমধ্যে ৩ টি জিনিস দেখে আমি প্রথমে খুব হেসেছি। তা হচ্ছে-
- কাঠালের বিচি
- কাঠালের রস
- বাসার গাছের তিনটা আম, আর অন্যজাতের ২ টা আম।
প্রথমে ব্যাগ থেকে নামানোর সময় হাসি পেলেও পরেই মনে হলো, মা ছাড়া এমন ছোট খাটো জিনিসে খেয়াল রেখে ভালোবাসার প্রকাশ আর কেই বা করে!!
কাঁঠালের বিচির যে কোন তরকারি, ভাজি বা ভর্তা আমার খুব পছন্দের। মা জানে আমরা আসলে ঢাকায় কাঁঠাল কিনি না। কারণ, কাঠাল বাইরে থেকে দেখে তো চিনি না যে ভেতরের রোয়া গুলো নরম হবে নাকি শক্ত। আমি আবার শক্ত রোয়ার কাঠাল একদমই খেতে পারি না। এতগুলো টাকা দিয়ে কিনে কাঠাল ফেলে দিতে হয়েছে দুইবার। তারপর থেকে আর কিনি না। বাড়িতে গিয়ে খাই।
তাই মা আমার জন্য কাঠালের বিচি পাঠিয়ে দিয়েছে।
ওদিকে, ঈদে যখন শ্বশুড়বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরেছি, আমি ফ্রিজিং করে কাঠালের রস এনেছিলাম। ইচ্ছে ছিলো বড়া করবো। কিন্তু রাস্তায় এমন জ্যাম ছিল, যে ওই রস ফ্রিজিং গলে নরমাল হয়ে গিয়েছিলো। পরে বাধ্য হয়ে রাস্তায় ই খেয়ে ফেলতে হয়েছে। নয়তো বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে তা নষ্ট হয়ে যেত। সেবারের মতো আর বড়া খাওয়া হয় নি। আমি ভুলে গেছি, কিন্তু মা ভোলে নি। মা ঠিক মনে করে পাঠিয়ে দিয়েছে এবার।
আর আমের কথা মা কে জিজ্ঞেস করলাম যে আম পাঠাইলা কেন। মা বলে "আমাদের নিজেদের গাছের আম, তোদেরকে না দিয়ে খাইতে ইচ্ছা করে? ৩ টা আম একরকমের সে ৩ টা গাছে। একটা তোর, একটা জামাইয়ের আরেকটা রাহুলের ( ছোট ভাই)। আর তোর বাবা বাজার থেকে আম এনেছিলো, সেটাও ভালো, মজা- তাই দুইটা পাঠিয়ে দিয়েছি"।
এই হচ্ছে মা! সন্তানদের ছাড়া ভালো-মন্দ কিছু মজা করে খেতেও পারে না!! মনে মনে ভাবলাম, যাদের মা এই পৃথিবীতে বেঁচে রয়েছে, তারা অন্যরকম ভাগ্যবান। হে ঈশ্বর, আমি প্রর্থনা করি, " আমার মা যেন থাকে দুধে-ভাতে "।
সবাই আমার মায়ের জন্য প্রার্থনা করবেন প্লিজ। ঈশ্বর যেন উনাকে দীর্ঘ, সুস্থ ও সুখী জীবন দান করেন।
ঠিক বলেছেন আপু ঢাকায় কাঁঠাল কিনে খাওয়া খুবই কষ্টকর। আমার হাজব্যান্ড বেশ কয়েকবার কিনেছে কিন্তু একবারও ভালো কাঁঠাল পাইনি। তাছাড়া আপনার মত আমার আম্মা আমের সিজনে এমন করতো। গাছের অল্প আম ধরলেও রেখে দিবে অথবা পাঠিয়ে দিবে। মায়েরা তো এমনই হয়। সন্তানের ছোট ছোট জিনিস গুলো ঠিকই খেয়াল রাখে। ভালো লাগলো আপনার মায়ের ভালোবাসা দেখে।
মানুষ আদি যুগ থেকেই একত্রে বসবাস করতে ভালোবাসে। কারণ মানুষের সামাজিক জীব আর সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করা হলে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। পৃথিবীতে সকল ভালবাসাকে হার মানায় মায়ের ভালোবাসা। আপনার জীবনের ছোটখাটো থেকে শুরু করে বড় কাজের প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনে প্রত্যেকটা জিনিসে খেয়াল রাখে শুধু একমাত্র মা। পৃথিবীর বুকে মায়ের কোন তুলনা হয় না। মা সবসময় সন্তানের পছন্দের জিনিসটাই তাদের সামনে দিয়ে থাকে। এবং পছন্দের জিনিসগুলো আগলে রাখে। যেমনটি আপনার মা আপনার জন্য সেভাবেই করে রেখেছেন এবং আপনার ভাইয়ের হাত দিয়ে আপনার বাসায় পাঠিয়েছেন।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই আপনি।
আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন...
দিদি একেবারে সত্য যাদের মা পৃথিবীতে বেঁচে আছে তারা অন্যরকমের ভাগ্যবান। যেটা আমার চেয়ে কেউ মনে হয় ভালো করে অনুভব করতে পারে না। আমার তো মা বেঁচে নেই তাই মায়ের অভাবটা আমি বেশ অনুভব করতে পারি। যতদিন মা ছিল এই পৃথিবীর বুকে ততদিন মা আমাকে কোন কিছু না দিয়ে খেত না। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা এপারে আর ওপারে।
ভালো থাকুক সকল মা এই প্রার্থনাই আমরা করতে পারি। আপনার আম্মুর আত্নার শান্তি কামনা করি আপু। সন্তানের দোয়া ওপারেও বাবা-মাকে সাহায্য করে আপু। উনার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবেন...
আপু আপনার কথায় আমি একদম একমত মায়ের ভালোবাসা কখনোই কারো কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব না। একজন সন্তানকে তার মা যেভাবে আগলে রাখে আর কেউ পারেনা এই মায়া এবং ভালোবাসা দিয়ে তার সন্তানকে আগলে রাখার অপূর্ণতা পূরণ করতে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/TithyRani/status/1683081335966171136?t=r4YjKx5y6SUnUW3H9iIUQQ&s=19
পৃথিবীতে মায়ের সাথে কারো তুলনা হয় না।মা কি জিনিস এখন তা প্রতিটি মুহূর্তে অনুভব করি।

তবে কাকিমার কারনে কিছুটা হলেও মায়ের অভাব কম অনুভব করি সেই ছোট্ট বেলা থেকেই কাকিমা আমাদের নিজের সন্তানের মতোই আদর যত্ন ভালোবাসা দিয়ে আসছেন এটা আমাদের জন্য পরম পাওয়া।বাসার ছাদে বেশ ভালোই আম ধরেছিলো। আমি এবার রংপুর এ গিয়ে দেখেছি পরে কাকিমা আসার সময় দুটো বড় বড় আম ছিঁড়ে দিলো খুবই মজার আম।এটা শুধু দুটো আম নয় এটা হলো ভালোবাসা যা কেজি কেজি আমের মধ্যে এর স্বাদ পাওয়া যাবে না।ভগবানের কাছে সবসময়ই প্রার্থনা করি কাকিমা যেনো সবসময়ই সুস্থ থাকে।🙏🙏♥️
আসলেই এমন ভালোবাসার সাথে আর কিছুরই তুলনা হয় না। কিছু শুন্যস্থান কখনোই পূরণ হয় না। পৃথিবীতে বাবা-মা য়ের বিষয়টাও ঠিক তেমন। অনেকে অনেক বেশি ভালোবাসা দিতেই পারে। তবে বাবা মার মতন বোধ হয় অন্যকেউ সেটা পারে না...