হঠাৎ বিপদ(১০% টু শাই-ফক্স)
আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।
তখন বোধয় সকাল ১১ টার মতো বাজে।কম্বল মুড়ি দিয়ে বায়োলজি ক্লাস করছিলাম ইউটিউবে।হঠাৎ ভিডিও আটকে গিয়ে একটা কল আসলো।বাবা কল দিয়েছিল,যেহেতু প্রতিদিনই কথা হয় তাই চমকাইনি।
সালামের জবাব দেয়ার পরেও স্বাভাবিক কথাই বলছিলো,একটু পর বললো দুপুরের মিল অফ দিয়েন।আমি বললাম,মিল অফ দিলে খাবো কি?
বললো,তোমার আম্মুকে নিয়ে বগুড়া আসছি ডাক্তারের কাছে।এখানে কাজ শেষ হলে আমি ফোন করার পর চলে এসো,একসাথে দুপুরের খাবার খাবো।
আমি ওসব বাদ দিয়ে আগে জানতে চাইলাম,হঠাৎ ডাক্তারের কাছে কেন?কি হয়েছে আম্মুর?আমায় জানায়নি তো কেউ কিছু।
পরে বাবা বললো যে, রাত থেকে নাকি আম্মুর গা-মাথা খুব ঘুরছিলো আর ইউরিনে প্রবলেম হচ্ছিলো।সকালে আমাদের স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি বগুড়া আনার সাজেস্ট করেছিলেন।তাই নিয়ে এসেছে বগুড়ায়।
আমি তখন বললাম যে তোমায় পরে ফোন দিতে হবেনা,আমি যাচ্ছি ক্লিনিকের দিকে।বাবা যদিও নিষেধ করেছিল কিন্তু আমার মনটা ছটফট করছিলো তাই আর বাবার কথা শুনিনি।
রেডি হয়ে মেস থেকে বেরিয়েই একটা রিক্সা পেয়েছিলাম।মেস থেকে বেশ অনেক দূরেই হয় ক্লিনিকটা।অটোতে গেলে দুইবার চেইঞ্জ করতে হতো তাই একটু ভাড়া বাড়িয়ে রিক্সাতেই গিয়েছিলাম।জ্যামের জন্য ১৫ মিনিটের রাস্তা যেতে আমার ৪০ মিনিট লেগে গিয়েছিল।
কোন ফ্লোরে আছে তা জানার জন্য বাবাকে আবার ফোন করলে বললো যে,আমাদের টেস্ট করানো হয়ে গেছে।আপনি নিচেই থাকেন,আমরা নামতেছি।একটু অপেক্ষা করতেই আম্মু আর বাবা নিচে নেমে এসেছিল।
আম্মুকে দেখার পর যেন আমার ভেতরে শান্তি এসেছিল।তারপর একটু কথা বললাম আম্মুর সাথে।হাত থেকে পানির বোতল,চাদর আর ফাইলগুলো আমার হাতে নিয়ে তিনজন খেতে গিয়েছিলাম ক্লিনিকের পাশের একটা হোটেলে।
রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল ৫ টায়।আর আমার একটা প্রাইভেট ছিল ৪ টা থেকে।যদিও আমি থাকতে চেয়েছিলাম সাথে তবে বাবা আমায় থাকতে দেয়নি।বলেছিল যে,রিপোর্ট নিয়ে তারা বাসায় চলে যাবে।অহেতুক তাদের সাথে বসে থাকার মানে হয়না।
তবুও কিছুক্ষন তাদের সাথে সময় কাটিয়ে আমি মেসের দিকে এসেছিলাম।
বাবা-মায়ের কোনো অসুখ হইলে আমি কেনজানি সেটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারিনা।শুধু মনে হয় কেন তাদের অসুখ হবে!সবসময় ভালো থাকবে তারা।
দোয়া রাখবেন আম্মুর অসুখটা যেন ভালো হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি 🙂।
সবার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিচ্ছি,
অবশ্যই ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং সময় মত সব ধরনের ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন তাহলে দেখবেন আল্লাহর রহমতে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।
ভাইয়া আপনার মত আমিও বাবা মায়ের কোন অসুখ হলে সে বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতেই পারি না। আপনার বাবা মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল সৃষ্টিকর্তা যেন আপনার মাকে খুব দ্রুত সুস্থ করে দেন।।
দোয়া রাখবেন ভাইয়া,ধন্যবাদ আপনাকে।
যে কোন অসুস্থতায় সঠিক সময়ে ডাক্তারের কাছে নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। আপনার বাবা আপনার আম্মুকে সঠিক সময় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। আর আপনারা সপরিবারে খাওয়া দাওয়া করতে পেরেছেন এটা আসলে অনেক ভালো লাগলো। আপনার মা-বাবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও সুস্থতা কামনা করি। আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ আপনাকেও ভাইয়া।
প্রথমেই আপনার আম্মুর সুস্থতা কামনা করছি। আসলে বাবা মায়ের অসুখ হলে ছেলে মেয়েরা একটুও শান্তিতে থাকতে পারে না। বাবা মায়ের দিকে তাদের মন থাকে কোন কিছুই তারা করতে পারেনা তখন। বাবা মায়ের অসুস্থতার কথা শুনলে কোন কাজ মন দিয়ে করা যায় না শুধু তাদের কথাই ভাবতে থাকে সবাই। আর তা যদি হয় হঠাৎ। যাই হোক বাবা মায়ের সাথে ভালো সময় কাটিয়েছেন শেষের দিকে। আমাদের সাথে সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু,ভালোবাসা নিয়েন।
সত্যি কথা বলতে আপনার মত আমিও বাবা-মায়ের অসুস্থ হলে সেটা স্বাভাবিকভাবেই নিতে পারি না। আমিও শুধু মনে করি তাদের কেন অসুখ হবে। সব সময় তাদেরকে ভালো থাকতেই হবে। সত্যি বাবা মা অসুস্থ হলে আমি কেন জানি কিছু করতেই পারি না অন্যরকম একটা অসুস্থ লাগে আমার কাছে। আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করি।যদিও আপনি চেয়েছিলেন আপনার বাবা-মায়ের সাথে আরো সময় কাটাতে কিন্তু যেহেতু আপনার কোচিং আছে তাই আপনার বাবা আপনাকে রাখতে চাইনি। খাওয়া-দাওয়া ও করেছেন দেখছি বাবা-মায়ের সাথে খুবই ভালো।
সন্তানরা সবসময় চায় মা-বাবা ছায়া হয়ে থাকুক আর তাই হয়তো তাদের অসুস্থতা আমরা মেনে নিতে পারিনা।
আসলে পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে আর সেটা যদি মা এবং বাবা এই দুজনের যেকোনো একজন হয় তাহলে প্রতিটি সন্তানের কাছে মেনে নেওয়া অনেক বেশি কষ্টসাধ্য। আসলে আমি আপনার মতই মা-বাবার অসুখ আমিও কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না এটা আমার কাছে অনেক বেশি পীড়া দায়ক। যাই হোক দোয়া করি আপনার মা যেন সুস্থ হয়ে যায় শীঘ্রই।
ধন্যবাদ ভাইয়া❤️