মা সমাবেশ। shy-fox 10% | abb-charity 5%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।
মা সমাবেশের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদেরকে শিশু সম্পর্কে সচেতন করে তোলা,শিশুর ঘাটতি গুলো শনাক্ত করে নিরাময়মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শিশুর জন্য পরিবারে এবং বিদ্যালয়ে আস্থাশীল পরিবেশ বজায় রাখা,শিশুর পাঠের তদারকি করা এবং পাঠের
ক্ষেত্রে শিশুকে আরো আগ্রহী করে তোলা হয়।
আমার ছোট মেয়ে অর্থী চাকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির একজন ছাত্রী গতকাল স্কুলে ওদের বলে দেওয়া হয়েছিল আজকের মা সমাবেশ এর কথা, সকাল ১০টার মধ্যে সকল ছাত্রছাত্রীদের মায়েদের স্কুলে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সকল কাজকর্ম শেষ করে ১০টার দশমিনিট আগেই উপস্থিত হয়েছি আমি এবং আমার মেয়ে।এসে দেখলাম অনেকেই এসেছেন তারপর সবাই মিলে একটা রুমে বসলাম।
আজকের মা সমাবেশ আয়োজন করেছিলেন, ব্লু-স্টার সেবা কেন্দ্র, ও চাঁদের আলো ক্লিনিক। ১০টার মধ্যে smc এর সকল প্রতিনিধিরা উপস্থিত হন আমরা যে রুমে বসে ছিলাম সেখানে একটা টেবিল দেওয়া ছিল পাশে চেয়ার পাতা ছিল ওনারা এসে একটা ব্যানার টানিয়ে দেন তারপর স্কুলের প্রধান শিক্ষকা আরিফুন্নাহার জাকিয়া ম্যাম অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য শুরু করেন উনি শিক্ষার্থীদের বিষয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে জাকিয়া ম্যাম কে উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাকে পুরস্কৃত করেন, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা হিসবে নির্বাচিত হন ফারহানা ম্যাম তাকেও পুরস্কার প্রদান করেন।
পুরস্কার প্রদান শেষে ডাক্তার সাহেব ও অন্যান্য কর্মীরা মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বক্তব্য প্রদান করেন যেগুলো একজন মায়ের জানা খুবই দরকার, যেমন মায়ের গর্ভে শিশুর কতখানি ব্রেইন তৈরি হয় জন্মের পর কতটুকু তৈরি হয়, একটি শিশু মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় কি কি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে জন্মের পর কিভাবে শিশুকে দুধ খাওয়াতে হবে, দিনে কতবার খাওয়াতে হবে তার নিয়মকানুন ও ছয় মাস বয়সের পর থেকে কি কি বাড়তি খাবার খাওয়ানো উচিত কি উচিত নয় সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শেষ করে মা শিশুদের হেল্থ চেক-আপ করানো হয়।
একটি করে হেল্থ চেক-আপ এর জন্য একটি করে কার্ড প্রদান করেন।
সবশেষে স্কুলের একটি শারীরিক প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে একটি হুইলচেয়ার দেওয়া হয় যাতে করে তার স্কুলে আসা-যাওয়া করতে কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয় সেই কথা বিবেচনা করেই ওনারা এটি প্রদান করেন, হুইলচেয়ার পেয়ে বাচ্চাটি এবং ওর মা খুবই খুশি হয়েছে কিন্তু আমি দুঃখিত তাদের খুশি ভরা মুখটা আপনাদের দেখাতে পারলাম না,আমি ইচ্ছে করেই তাদের কে সামনে আনলাম না। কেন জানি নিজের বিবেকের কাছে হেরে গেলাম ছোট্ট শিশুটির মুখের দিকে তাকিয়ে কতটা অসহায় লাগছিল ওর মুখটা যখন ওর মায়ের কোলে করে স্কুলে আসছিল আমার কাছে মনে হচ্ছিলো যে আমি যদি ওর ছবি তুলি তাহলে হয়তো ওর মা মনে মনে কষ্ট পাবে সে হয়তো ভাববে আমার সন্তানের ছবি তুলে আমি তামাশা করছি, একটা মাই বোঝে আরেম মায়ের যন্ত্রণা গুলো কি আমিও একজন মা আমার ক্ষেত্রে হলেও হয়তো এমনটাই ভাবতাম ভাবাটা স্বাভাবিক নয় কি?
আজকে এই ছিল মা সমাবেশ এর দিনটি মোটামুটি সবমিলিয়ে বেশ ভালো কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি তার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন বিষয় নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
মা সমাবেশ আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সবাই মিলে খুব সুন্দর উপভোগ করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো শুনেছেন। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে হুইলচেয়ার গিফট করার ব্যাপারটি।
চমৎকার লিখেছেন আপু। আমাদের এলাকাতে ও স্কুলে সমাবেশ হয়। বিশেষ করে গার্জিয়ান কে ডেকে তাদের সন্তানদের কি কি কমতি রয়েছে, কোন কোন বিষয়ে আরও কেয়ার দরকার সেসব বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়। আপনার অনুভূতির পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
মা সমাবেশে আজ আমিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জানতে পারলাম যেগুলো বিষয় আগে অনেক কিছুই জানতাম না জেনে খুবই ভালো লাগলো,তার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে ভাইয়া।
আপু মা সমাবেশ আমি এই প্রথম দেখলাম।আমাদের এখানে গার্ডিয়ান মিটিং হয় কিন্তু এত আয়োজন করে হয় না। যার যার ক্লাস রুমে খাতা দেখানো হয়, সমস্যার কথা শোনানো হয়। অনেক ভাল লাগলো। প্রতিবন্ধী বাচ্চাটিকে হুইল চেয়ার গিফট ও বেশ ভাল লাগলো। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
আমিও এর আগে কখনো মা সমাবেশ এ যাইনি এই প্রথম গেলাম এবং অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর পদক্ষেপ দিদি। ছোট ছোট অঞ্চলে এই ভাবে যদি পদক্ষেপ নেওয়া হয় তবে আমরা সুস্থ্য সবল সমাজ গড়ে তুলতে পারব। আর হুইলচেয়ার যেদের দেওয়া হল তাদের ডিটেইলস সামনে না আনাই ভালো। একদম ঠিক কাজ করেছো।