জুম করে চাঁদ এর ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আমি মাঝেমধ্যে আপনাদের কাছে রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করে থাকি। তবে আজকে রেনডম ফটোগ্রাফি নয়, চাঁদের বিভিন্ন সময়ের ধারণ করা ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আশা করব জুম করে ধারণ করা এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং জোৎস্না রাতের কিছু সুন্দর অনুভূতি খুঁজে পাবেন আমার এই পোস্টে।
চাঁদের ফটোগ্রাফি
চাঁদের সৌন্দর্য পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। আমরা সকলেই কমবেশি চাঁদনী রাত পছন্দ করে থাকি। প্রচন্ড গরমের রাতে যদি আকাশে চাঁদের দেখা মেলে এবং চাঁদনী রাত হয় তাহলে আমরা ঘর ছেড়ে বাইরের চেয়ার পেতে বসে থাকতে এবং ভাবতে ভালবাসি। এই মুহূর্তে যদি লোডশেডিং হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। মন চায় ঘন্টার পর ঘন্টা উঠানে বসে থাকিস চাঁদের আলোয় আলোকিত করি মনের অন্ধকার। জানিনা আপনাদের কেমন অনুভূতি জাগে জোৎস্না রাতের আলোয়। আমার তো অনেক অনেক ভালো লাগে। মন চায় নিজের কোন বান্ধবী যদি পাশে থাকতো দুজনে একসাথে বসে অনেকক্ষণ গল্প করতাম। ঠিক এমনই অনেক অনুভূতি মনের মধ্যে সারা জাগে চাঁদনী রাতকে কেন্দ্র করে। কিন্তু এই মুহূর্তে তো আর সেই সমস্ত প্রিয় বান্ধবী গুলোকে কাছে পাওয়া যায় না যে যার মত সেটেল হয়ে গেছে নিজ নিজ জীবনে। হাই স্কুল লাইফে অনেকে একত্রে কত গল্প কত কথা হতো এই চাঁদের আলোকে কেন্দ্র করে। এখন যেন সে আগের মত চাঁদের আলো রয়েছে নেই সেই দিনগুলো নেই সেই একসাথে প্রিয়জনদের চলাচল।
বেশ কিছুদিন ধরে দীর্ঘ বৃষ্টিপাত হলো আমাদের এলাকায়। আর এমন বৃষ্টিপাত সারাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে হয়েছে। বৃষ্টিতে আমার অতিষ্ট হয়ে পড়েছিলাম। ঘন কৃষ্ট অন্ধকার রাত বাইরে বের হতেই যেন ভয় লাগতো। রুম ছেড়ে বাইরের দিকে যেতে গেলেই হাতে লাইট আর পরিবারের সদস্যদের একটু দাঁড়াতে বলতে হত যেন টিউবওয়েল বা বাথরুম থেকে আসতে পারি। বেশ ৩-৪ দিন পর বৃষ্টি থেমে যায়। রাতের লক্ষ্য করে দেখি আকাশে চাঁদ উঠেছে। তখন থেকে বেশ ভালোলাগা মনের মধ্যে। তবে প্রথম দুই রাত উঠানে বসতে পারে নাই। চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়েছে, ঘরের দরজা জানালা খুলে রেখেছি কিছুটা হলেও আলো এসেছে ঘরে। তবু যেন মনের মধ্যে স্বস্তি আসেনি। মন চায় এই আলোয় কিছুটা পথ হাটাহাটি করি কিন্তু সেটাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে উঠানে চেয়ার পেতে বসে চাঁদের দিকে লক্ষ্য রেখে অনেক কিছু ভাবতে মন চায় এমনকি ভাবনাও হয়ে যায়। তাই ঠিক এভাবেই এই দুই তিন রাত আকাশের চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করছি। আর তারিফাকে একটু সুন্দর করে ফটো ধারণ করার চেষ্টা। দূরের চাঁদ মোবাইলে জুম করে একটু কাছে দেখার অনুভূতিটা যেন অন্যরকম।
আমরা জানি চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। এই যে চাঁদের আলো আমরা লক্ষ্য করছি এটা একটা আয়নার মতো। সূর্যের আলো সেখানে লেগে তার প্রতিফলন রূপ আমাদের এখানে পড়ছে। অর্থাৎ আয়নায় আলো লাগলে সে আলো ছটা হয়ে অন্যস্থানে যে আলোকিত করে। ঠিক তেমনি সূর্যের আলো চাঁদে লেগে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আলোকিত করে। কিন্তু আমরা চাঁদের আলো বলে তাকে সম্বোধন করি। কারণ চাঁদ ছিল বলেই তো সেখানে লেগে আলোটা এভাবে আমাদের মাঝে আসছে। ছোটবেলায় আমরা শুনতাম চাঁদ সূর্যের কাছ থেকে আলো ধার নেয়। হাই স্কুল লাইফের জেনেছিলাম সূর্যের আলো চাঁদে লেগে চার্জের মত গ্রহণ করে তারপরে আলো ছড়ায়। এরপর হাই স্কুল লাইফে আস্তে আস্তে জানতে পারি সত্যটা। যখন জানতে পেরেছিলাম চাঁদের এই বাস্তবতা তখন থেকেই যেন চাঁদনী রাতের প্রতি ভালোলাগা জাগ্রত হয় পাশাপাশি জীবনে উঠতি বয়সের একটা অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতিতে স্থান করে নাই চাঁদনী রাতের আলো। সেই কবে কখন যেন এই চাঁদনী রাতকে ভালোবেসে ফেলেছি তা ঠিক জানিনা। তবে ভালোলাগা শুরু হয়েছিল হাই স্কুল লাইফে অর্থাৎ আজ থেকে ১৪-১৫ বছর আগে। আর এরই মধ্যে জীবনের অনেক পরিবর্তন এসেছে। তবে পরিবর্তন আসেনি চাঁদনী রাতের আলোর প্রতি আসক্ততা ও ভালোলাগার। এখনো যেন মাঝেমধ্যে বসে বসে ভাবতে ভাবতে রঙিন স্বপ্ন মনে রাঙিয়ে তোলে। তবে আগের ভাবনা ভালোলাগাগুলো ছিল বেশ অসীম ও গভীর। এখন যেন সেই ভালোলাগাটা হালকা হয়ে গেছে। হয়তো যৌবনের টান মনের একটা অন্যরকম ভালোলাগা সৃষ্টি করে। তবে সেভাবে বলতে পারব না। এটা সত্য এখনো চাঁদের প্রতি আমার অন্যরকম ভালোলাগা রয়েছে। আর সে ভালোলাগা থেকেই বসে বসে ভাবছিলাম আর জুম করে ফটো ধারণ করছিলাম। যখনই জুম করে ফটো ধারণ করি তখনই যেন চাঁদের আসল রূপ ধরা পড়ে মোবাইলে। তাদের যে নিজের আলো নেই সেটাই বোঝা যায় জুম করা ফটোতে। চাঁদের প্রতি, চাঁদনী রাতের প্রতি, জোৎস্না রাতের প্রতি থাক ভালোলাগা ও ভালোবাসা সারা জীবন। এমন প্রত্যাশা রেখেই আজকের অনুভূতি সমাপ্ত করলাম।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | মেলা থেকে ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আমাদের জীবনের পরিবর্তন হলেও চাঁদের কোনো পরিবর্তন ঘটে নি।সেই একই রকম রয়ে গেছে।বরঞ্চ এর সৌন্দর্য্য আমাদের দিনে দিনে মুগ্ধ করে তুলছে।চাঁদের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভালো লেগেছে যেনে খুশি হয়েছি
আসলে ইদানিং আমি যখন কাজ করে বাড়ির দিকে যাই তখন আকাশের চাঁদ দেখে আমারও খুব ছবি তুলতে ইচ্ছে করে। আসলে সেই ইচ্ছাটা আজ আপনার পোস্ট দেখে পূরণ হয়ে গেল। এত সুন্দর সুন্দর চাঁদের ফটোগ্রাফি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা সত্যিই অবাক করার মত বিষয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কতগুলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করবেন ভালো লাগবে ফটো ধারণ করতে
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে প্রফেশনাল কোন ফটোগ্রাফার এগুলো ক্যাপচার করেছে। চাঁদের ফটোগ্রাফি করাটা অনেক দক্ষতার ব্যাপার। আপনি জ্যোৎস্না রাতের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। চাঁদের সৌন্দর্য আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আমিও পছন্দ করি
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। আপনি জুম করে খুব সুন্দরভাবে চাঁদ এর চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি এ ধরনের ফটোগ্রাফি দেখলে মন ভরে যায়। চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারও ভালো লাগে
চাঁদের প্রতি একটা অন্যরকম আকর্ষণ সবারই কাজ করে। চমৎকার লাগছে আপনার চাঁদের ফটোগ্রাফি টা। খুবই সুন্দর করেছেন আপু। তবে জুম করে যেগুলো তুলেছেন সেগুলো একটু বেশিই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে চাঁদের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
একদম ঠিক বলেছেন