টিভি সিরিজ রিভিউ ঃ মানি হাইস্ট (সিজন ১ ঃ পর্ব ১০-১১) ।। 10% beneficiary to @shy-fox
টিভি সিরিজ | মানি হাইস্ট |
---|---|
নির্মাতা | আলেক্স পিনা |
অভিনয়ে | উরসুলা কর্বাতু,আল্ভারো মর্তে,পেদ্রো অ্যালোনসো,প্যাকো টাউস,আলবা ফ্লোরস,মিগুয়েল হেরেন,জাইমে লোরেতে,এস্থার এসোবো,এনরিক অ্যারেস,মারিয়া পেদ্রাজা,ডার্কো পেরি,কিতি মানভার,হোভিক কেচকারিয়ান,রদ্রিগো দে লা সারনা,নাজওয়া নিমরি,লুকা পেরো,বেলন কুয়েস্তা,ফার্নান্দো কায়ো |
মূল দেশ | স্পেন |
চিত্রগ্রাহক | মিগু আমোয়েডো |
সময় | ৪২-৫৯ মিনিট (নেটফ্লিক্স) |
মুক্তির তারিখ | ২ মে ২০১৭ |
মূল ভাষা | স্প্যানিশ |
সিজন ১ | পর্ব ঃ ১৩ টি |
আজকের পর্ব | এপিসোড ১০-১১ |
রিভিউ
পর্ব ১০-১১
এলিসন পার্কার এর উপর কয়েকজন হস্টেজ ক্ষেপে যায় যেহেতু আটজন হস্টেজের বদলে একজন এলিসন মুক্তি পাবে। নাইরোবি তা দেখে একজনকে শাসিয়ে দেয় যেন এরকম আর কেউ না করে। রাকুয়েল সালভার (প্রফেসর) সাথে তার বন্ধুত্ব আরও গভীর করার জন্য ডিনার করতে চায় এবং সালভাকে একটি টাইম ফিক্স করতে বলে। প্রফেসরের লোকজন আরতুরু এবং মনিকা কে আবার দেখা করার সুযোগ করে দেয় এবং সেখানে আরতুরু অনেক আপ্লুত হয়ে যায়।
প্রফেসরের সাথে সমঝোতা না হওয়ায় পুলিশ এবং সি আই এ এর লোকজন রয়েল মিন্টের ভিতরে ঢুকার ডিসিশন নিয়ে নেয়। সেক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার রাকুয়েল একাই মিন্টের ভিতরে যায় হোস্টেজদের লাউফ প্রুফ নেয়ার জন্য। প্রফেসরের লোকজন তাকে প্রপারলি চেক করে ঢুকায়। চেক করার সময় একটি মাইক্রোফোন পায় যার মধ্যে রিওর বাবা-মার মেসেজ আছে এবং তা রিও খেয়াল করে। প্রফেসর মিন্টে ঢুকা এক পুলিশ অফিসারের সাথে রেস্টুরেন্টে কথা বলে এবং তাকে বলে তার একটি সাইডারের কারখানা আছে। এদিকে বার্লিন রাকুয়েলকে হোস্টেজ দের জীবিত থাকার প্রুফ এক এক করে দেখায়। প্রফেসরের লোকেরা তখনও চিন্তা করছে কিভাবে আরো সময় নেয়া যায়। রাকুয়েল, রিও এবং টোকিওর সামনে বার্লিনের রোগের কথা বলে যেটা তাদের আগে জানা ছিল না।
বার্লিনের ছোট্ট একটি ভুলের কারণে এলিসন লুকিয়ে যেতে সুযোগ পায় এবং অন্যদিকে একই সময়ে পুলিশ অফিসার প্রফেসরের সাইডার প্রস্তুতির কারখানায় যায়। এখানে সেই পুলিশ অফিসার প্রফেসরের গোপন আস্তানার গোপন মেশিনারিজ প্রায় খোজে পেয়েছিল কিন্তু ওই সময়ে একটা ইমার্জেন্সি ফোন আসাতে অফিসার বের হয়ে যায়। অন্যদিকে এলিসন কে প্রফেসরের সাহায্যে নাইরোবি এবং রিও খুঁজে পায়।
অফিসার যে ইমারজেন্সি ফোন পেয়েছিল সেটি হচ্ছে একজন ল্যাব টেকনোলজিস্টের যে কিনা হায়েস্টে থাকা প্রফেসরের লোকজনের মধ্যে একজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পেয়েছে বলে জানায়। এদিকে পুলিশ অফিসার ফার্মেসিতে গিয়ে দেখে সে যে প্রমাণের জন্য এসেছে তা কেউ একজন চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তখন সে উপলব্ধি করল তাদের মধ্যে কেউ একজন আছে যে ইনফরমেশন পাস করে।
মস্কো ভল্টের গর্ত খুজতে খুজতে শেষ সীমানা পেয়ে যায় এবং সে খুব খুশিতে আনন্দ উল্লাস করে। তারপর বারলিনও তাদেরকে নিয়ে আনন্দ উল্লাস করে। এদিকে রাকুয়েল, সি আই এ এজেন্ট এবং পুলিশ অফিসারের মধ্যে সন্দেহের কারনে ঝামেলা শুরু হয়। মিন্টের এক সিকিউরিটি গার্ড টয়লেটে ঢুকে তার আগেই রাখা কিছু টুলস দিয়ে হেলসিনকি কে বধ করার প্ল্যান করে।
রিও বাবা মার মেসেজ দেখে আপ্লুত হয়ে যায় এবং পুলিশ তাবুতে ফোন দিয়ে হায়েস্টের অনেক গোপন তথ্য দেয়। আরতুরু বন্ধী এক ছাত্রকে নিয়ে পালানোর প্ল্যান করে। রাকুয়েল আর তার বন্ধু পুলিশ অফিসারের মধ্যে তর্ক হয়।
রাকুয়েল প্রফেসরের সাথে ডিনারে দেখা করে কিন্তু সে এখানে প্রফেসরকে সন্দেহ করে পিস্তল ঠেকায়। আর রাকুয়েলের পুলিশ অফিসার বন্ধু যে রাকুয়েল কে পছন্দ করে রাকুয়েলের সন্দেহের কথায় আঘাত পেয়ে ড্রিনকস করে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল।
এই ২ টি পর্ব দেখে বুঝলাম পুলিশ এবং সে আই এ যৌথভাবে প্রফেসরের বুদ্ধির কাছে বারবার হেরে যাচ্ছে। এদিকে প্রফেসর আরও বেশি ইউরো প্রিন্ট করার জন্য বিভিন্ন কৌশলে সময় নিচ্ছে। আবার মিন্টের ভিতরে থাকা হোস্টেজরা কিভাবে পালাবে সেই সাহস যোগাচ্ছে। শেষ দুই পর্বে দেখা যাক তারা কিভাবে বের হয় নাকি বের হতে পারবে না।
আজ এই পর্যন্ত। আশা করি আমার রিভিউ টি আপনাদের ভাল লেগেছে। সিজন ১ এর শেষ দুই পর্ব নিয়ে আবার আসব। ধন্যবাদ সবাইকে।
খুবই নিপুন ও চমৎকারভাবে রিভিউ দিয়েছেন ভাই মানি হাইস্ট (সিজন পর্ব-১) ১০ ও ১১ পর্বের। বাকি পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
নেটফিক্সে রিলিজ হওয়া এই সিরিজ আমি অনেক আগেই দেখে রেখে দিয়েছি। সুতরাং ভেতরকার কোনো গল্পই আমার অজানা নয়। তবে একটা কথা, সেটা হলো পুরো সিরিজের ভিতর একটা টানটার উত্তেজনা ছিল। যেটা সিরিজ শেষ হওয়া না পর্যন্ত দর্শককে এর ভেতরে ধরে রাখতে বাধ্য করেছে।
দাদা তাহলে ত আপনি অনেক ভাল একটি সিরিজ দেখেছেন। যে সিরিজ লাভাররা দেখেনি তাদের দেখা উচিত কারন এত এক্সাইটেড একটি সিরিজ মিস করা উচিৎ না। আপনি ঠিকই বলেছেন প্রতিটি পর্বে উত্তেজনা কাজ করে এরপর কি হবে এই ভেবে? সব পর্ব না দেখলে কেউ বুঝতেই পারবে না প্রফেসর কি মারাত্মক প্ল্যান করে রেখেছে। ধন্যবাদ দাদা।
ওভারল আপনার রিভিউ পড়ে সিরিজটি দেখার ইচ্ছে জাগল মনে। আমিও দেখতে চাই। আর বলিউডের কাজ ভালোই নিখুঁত করার চেষ্টা করে। আসলে বলিউড সিরিজ দেখার অভ্যেস নেই কিন্তু রিভিউ আর রেটিং পড়ে দেখার মন চায়।