টিভি সিরিজ রিভিউ ঃ মানি হাইস্ট (সিজন ১ ঃ পর্ব ১২-শেষ পর্ব) ।। 10% beneficiary to @shy-fox
টিভি সিরিজ | মানি হাইস্ট |
---|---|
নির্মাতা | আলেক্স পিনা |
অভিনয়ে | উরসুলা কর্বাতু,আল্ভারো মর্তে,পেদ্রো অ্যালোনসো,প্যাকো টাউস,আলবা ফ্লোরস,মিগুয়েল হেরেন,জাইমে লোরেতে,এস্থার এসোবো,এনরিক অ্যারেস,মারিয়া পেদ্রাজা,ডার্কো পেরি,কিতি মানভার,হোভিক কেচকারিয়ান,রদ্রিগো দে লা সারনা,নাজওয়া নিমরি,লুকা পেরো,বেলন কুয়েস্তা,ফার্নান্দো কায়ো |
মূল দেশ | স্পেন |
চিত্রগ্রাহক | মিগু আমোয়েডো |
সময় | ৪২-৫৯ মিনিট (নেটফ্লিক্স) |
মুক্তির তারিখ | ২ মে ২০১৭ |
মূল ভাষা | স্প্যানিশ |
সিজন ১ | পর্ব ঃ ১৩ টি |
আজকের পর্ব | এপিসোড ১২-১৩ |
রিভিউ
পর্ব ১২-১৩
এঞ্জেল নেশাগ্রস্ত হয়ে রাকুয়েলকে ফোন দেয় এবং ফোন না ধরায় ভয়েস মেসেজে খারাপ কথা বলে। এদিকে রাকুয়েল সালভার তল্লাশি নেয়ার জন্য তার সাইডার ফ্যাক্টরিতে যায়। কিন্তু প্রফেসর আগে থেকেই জানত তার তল্লাশি হবে। প্রফেসর রাকুয়েল কে তার ক্যাম্পে না নিয়ে অন্য একটি স্থানে নিয়ে যায় যেখানে সে আগে থেকেই নরমাল পরিবেশ তৈরী করে রেখেছিল। রাকুয়েল সেই পরিবেশ দেখে প্রফেসরের প্রতি আরও আকর্ষিত হয়।
এদিকে এঞ্জেল ফরেন্সিক থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে প্রফেসরই সালভা এবং রাকুয়েলকে ফোনে না পেয়ে তার বাসার ল্যান্ড লাইনে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে দেয়। এদিকে আরতুরু হেলসিংকিকে কনভেন্স করে মনিকাকে উদ্ধার করতে যায়। নিচে মিন্টের সিকিউরিটি গার্ডরা নিজেদেরকে আনলক করে নেয়। অন্যদিকে এঞ্জেল গাড়ি এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়। মিন্টের সিকিউরিটি গার্ডরা অসলোকে মাথায় আঘাত করে সেন্সলেস করে হস্টেজ দের উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যায়। এই খবর ডেনভার আরতুরু থেকে পেয়ে দৌড়ে যায়।
এরই মধ্যে সিকিউরিটি গার্ডরা বম্ব ব্লাস্ট করে দড়জা ভেঙ্গে মিন্টের বাহিরে পুলিশের তত্ত্বাবধানে চলে আসে। তারপর পুলিশ সেই ভাঙ্গা দরজা দিয়ে আগানোর চেষ্টা করে কিন্তু প্রফেসরের লোকজন সেই দরজা আটকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ফায়ার করে। তা দেখে প্রফেসরের লোকজন বেকফায়ার করে এবং এতে হেলসিংকি গুলিবিদ্ধ হয়। তারপর টোকিও হেভি মেশিনগান দিয়ে ফায়ার করলে পুলিশ পিছু হটতে শুরু করে।
অসলোর অবস্থা আগের থেকে আরও খারাপ হয়েছে। তার মাথা দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হচ্ছে না। এদিকে অসলোর ভাই হেলসিংকি খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছে এবং ভেঙে পড়ে। এসব নিয়ে ডেনভার প্রফেসরকে ফোন দিয়ে অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করে, কেননা প্রফেসরের ভুলের কারণে এত দূর পর্যন্ত গিয়েছে। অন্যদিকে বাকি হস্টেজরা যখন শুনেছে তাদের মধ্যে কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে তাদেরও সাহস বেড়ে গিয়েছে এবং তারা চিয়ার আপ করা শুরু করেছে। টোকিও কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়।
হস্টেজদের সাহস দেখে তারা প্রফেসরের শিক্ষা অনুযায়ী হস্টেজদেরকে দুই ভাগে ভাগ করে যা প্রফেসর আগেই বলে রেখেছিল। একটি ভাগ হবে যারা যেকোন মূল্যে এখান থেকে বের হতে চায় এবং সেই দলটাই প্রফেসরদের সাথে সমানভাবে পার্টনার হিসেবে কাজ করে যাবে। পরবর্তীতে এখান থেকে বের হতে পারলে তাদের প্রত্যেকের একাউন্টে তাদের টাকা দিয়ে দেয়া হযবে। হস্টেজদের মধ্যে যারা এই হাইস্টের বিরুদ্ধে ছিল তারাই পার্টনার হিসেবে যোগ দিচ্ছে যেটা প্রফেসরের লোকজন মনে মনে চাচ্ছিল না। হেলসিংকি চাচ্ছিল অসলোর গুরুতর আহতের কারণ আরতুরু যেন তিলে তিলে কষ্ট পেয়ে মারা যায়। এ নিয়ে বিবাদে প্রফেসর লোকজনের মধ্যে আবার ঝামেলা শুরু হয়।
অন্যদিকে তথ্য নেয়ার জন্য পালিয়ে যাওয়া হস্টেজদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। এঞ্জেলের আহত হওয়ার কারণে রাকুয়েল ভেঙ্গে পড়ে এবং আরো ভেঙ্গে পড়ে যখন জানতে পারে এঞ্জেলের চশমাতে ভয়েস ট্র্যাকার লাগানো ছিল। এক পর্যায়ে রাকুয়েল এঞ্জেলের পাঠানো ভয়েস মেসেজগুলো শুনে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে এবং মিন্টের দিকে এগোতে থাকে যেন তাকে মেরে ফেলা হয়। পরে পুলিশ অফিসার এবং সিআইএ অফিসার রাকুয়েলকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে।
রাকুয়েল এর মা এঞ্জেলের পাঠানো ভয়েস মেসেজ শুনে তাড়াতাড়ি করে রাকুয়েলকে ফোনে না পেয়ে রাকুয়েলের বন্ধু সালভাকে ফোন দিয়ে সব বলে দেয়। সালভা এই কথা শুনে রাকুয়েলের বাসায় আসে এ জীবনে যেটা না করার পণ করেছিল সেটাই করার জন্য। প্রফেসর রাকুয়েলের মাকে খুন করতে এসেছে। সে রাকুয়েলের মার কফিতে বিষ দিয়ে মারতে চেয়েছে কিন্তু ততক্ষণে প্রফেসর বুঝে রাকুয়েলের মা কিছুই মনে রাখতে পারে না, সে শুধু নোটে লিখে রাখা জিনিসই বলতে পারে। তখন প্রফেসর রাকুয়েলের মার নোটগুলো থেকে তার ব্যাপারে যেই মেসেজটি আছে তা পকেটে নিয়ে নেয় এবং ফোন থেকে ভয়েস মেসেজ ডিলিট করে দেয়। এর মধ্যে রাকুয়েল বাসায় চলে আসে এবং সে প্রফেসরকে দেখে খুবই খুশি হয়ে যায়।
রাকুয়েল সালভা এবং রাকুয়েলের মা যখন লাঞ্চ করছিল হঠাৎ রাকুয়েলের মাথায় বুদ্ধি আসল যেখানে বার্লিনের ঔষধ পাওয়া গিয়েছে নিশ্চয়ই তার আশেপাশেই কোথাও প্রফেসর তার টিমকে নিয়ে প্র্যাকটিস করছিল এবং রাকুয়েল তার টিমকে বলে যেন আশেপাশে নিরিবিলি নির্জন কোন জায়গা খোঁজ করে যেখানে প্রফেসরের টিমের কার্যকলাপের নমুনা পাওয়া যেতে পারে। রাকুয়েল আর প্রফেসর পাশাপাশি শুয়ে ছিল তখনই রাকুয়েলের টিম থেকে ফোন আসে তারা সেই জায়গা পেয়ে গিয়েছে। পরক্ষণেই রাকুয়েল সালভাকে রিকোয়েস্ট করে তাকে যেন সেই স্পটে ড্রাইভ করে নিয়ে যায় কেননা রাকুয়েল তখন অসুস্থ বোধ করছিল।
সালভা রাকুয়েলকে ড্রাইভ করে সেই স্পটে নিয়ে যায়। রাকুয়েল সেখানে গিয়ে দেখে প্রফেসর এবং তার টিম মেম্বারদের ব্যবহার করা সব জিনিস আগের মতই আছে এবং সে অনেক খুশি হয়ে যায় কারণ সেখানে প্রফেসর এবং তার টিম মেম্বারদের অনেক ডিএনএ পাওয়া যাবে বলে ধারনা করে। প্রফেসর তা দেখে খুব চিন্তায় পড়ে যায়।
এই ২ টি পর্ব দেখে বুঝলাম ১৬ জন হস্টেজ পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ মিন্টের ভিতর থাকা হস্টেজদের এটাক করেছে যেখানে প্রফেসরের লোকজন কোনরকমে মেশিনগান দিয়ে কাউন্টার দেয়। অসলোর গুরুতর আহতের কারনে প্রফেসরের লোকদের মধ্যে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। রাকুয়েল প্রফেসর যেখানে ট্রেইনিং দিয়েছে সেই জায়গা পেয়ে গিয়েছে। এই দুই পর্বে অনেক প্রশ্ন আছে, অসলোর কারনে কি প্রফেসরের লোকদের মধ্যে ঝামেলা হবে? বাকি হস্টেজরা কি পালাতে পারবে? রাকুয়েল কি প্রফেসরের ট্রেইনিং সেন্টারে গিয়ে প্রফেসর কে ধরে ফেলবে? সিজন ২ তে গিয়ে আমরা এর উত্তর পাব।
আজ এই পর্যন্ত। আশা করি আমার রিভিউ টি আপনাদের ভাল লেগেছে। সিজন ১ এর শেষ দুই পর্ব শেষ করেছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
মানি হেইস্ট এই সিরিজটার নাম অনেক শুনেছি। তবে সত্যি বলতে এখনো দেখা হয়নি। আমি গেম অফ থ্রনস আর witcher দেখেছি ইংরেজি সিরিজ গুলোর মধ্যে। এখন দেখতেছি আর্তগ্রুল আর ওসমান। ভালো লাগে। শিগ্রই আপনার রিভিউ করা এই সিরিজটিও দেখা শুরু করবো।
গেম অফ থ্রোনস আমি দেখেছি ৭ টি সিজন। অসাধারন করেছে। মানি হাইস্ট সিরিজটিও অসাধারন। সময় পেলে দেখে নিবেন। একমুহূর্তের জন্য খারাপ লাগবে না দেখতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
মানি হাইস্ট টিভি সিরিজ দেখা হয় নি আপনার পোস্ট পড়ে মনে হয় খুবই ভালো লাগলো। দৃশ্য পট অনেক সুন্দর মনে হলো। এত সুন্দর টিভি সিরিজ মানি হাইস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সিরিজ টি সময় পেলে দেখবেন, খুব ভাল করেছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।