ছোট বোনদের নিয়ে ঘোরাফেরা

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছোট বোনদের নিয়ে কাটানো কিছু মুহুর্ত।

এই মুহুর্ত গুলো কয়েকদিন আগে। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ষষ্ঠির দিনের। পুজার ছুটি দিয়ে দিয়েছি, মনে পুজার আমেজ। আরাম করে শুয়ে আছি।কিন্তু কথায় আছে না,যেখানেই যাও গোপাল সঙ্গে যাবে কপাল।আমার সুখ পছন্দ হল না প্রকৃতির।বিন্দু মাকে বার বার বলতেছিল ওকে নিয়ে বাইরে যাওয়ার কথা। এদিকে মা পুজা উপলক্ষ্যে খাবার বানানো নিয়ে ব্যস্ত। তাই মা যেতে পারবে না। তাইলে দায়িত্ব কার? যে বেকার বসে আছে তার।

ফলে দায়িত্ব পরল আমার উপর। বিন্দুর সাথে আমার মামাতো বোন ও যোগ দিলো।ওর ও নাকি কিছু কেনাকাটা বাকি। ফলে অনিচ্ছা সত্বেও ওদের নিয়ে বাইরে যেতে হলো।প্রথমেই ওদের নিয়ে যেতে হলো ওড়নার দোকানে। সেখানে ওরা কেনাকাটা করতে লাগল,আমি পাশেই বসে আছি।তখন একটা মজার ঘটনা ঘটল। আমি বসে আছি,হঠাৎ দুইজন মহিলা এসে বলতেছে, "দাদা ঐ শাড়ি টা দেখান তো"। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম আমার পাশে থাকা দোকানের কর্মচারীদের বলছে।

তাই আমি চুপচাপ বসে ছিলাম।কিন্তু উনারা আবারো বলল," কি দাদা শুনতে পান না নাকি? ঐ শাড়ি টা দেখান। এভাবে দোকানে এসে ঘুমাইলে হয়?"।তখন বুঝতে পারলাম উনারা আমাকে সেলস বয় ভেবে ভুল করেছে। তখন তাদের ভুল ভাঙিয়ে দিলে তারা বেশ লজ্জিত হলো।এদিকে বিন্দুরা হাসছিল। এরপর ওদের কেনাকাটা শেষ হলে ওদের নিয়ে বের হলাম।আমি জানি বিন্দু নুডলস খেতে পছন্দ করে। তাই ওকে জিজ্ঞেস করলাম খেতে ইচ্ছুক কিনা।ও তো একবাক্যে রাজি,মামাতো বোন একটু আপত্তি করলেও বিন্দুর মুখে সেই নুডলস এর প্রশংসা শুনে সেও যেতে রাজি হল।

প্রথমে আমার খাবার ইচ্ছা ছিল না।কারন পেট ভরা ভরা ঠেকছিল।কিন্তু অনেকদিন খাওয়া হয়নি,তাই আমার জন্যও অর্ডার করলাম হাফপ্লেট। অর্ডার করার পর রেডি হতে সময় লাগে, এই সময়টা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম।চলে আসার সাথে সাথে আমি ছবি তুলতে নিলাম।কিন্তু বিন্দুর তর সইছিল না। কিন্তু বেচারা যে মুহুর্তে মুখে দিয়েছে,সেই মুহুর্তে ওর সব উৎসাহ যেন মিলিয়ে গেল। ওর অবস্থা দেখে আমিও মুখে দিলাম।দেখলাম স্বাদ প্রচুর খারাপ হয়ে গেছে।

এটা কোন কোয়ালিটির মাঝেই পড়ে না। আমরা অনেক পুরানো কাস্টমার তাই সরাসরি দাদাকে বললাম, "দাদা দিনদিন তো আপনার নুডলস এর কোয়ালিটি ফল করতেছে। মনে হচ্ছে ডিম আর নুডলস আলাদা ভেজে মিশিয়ে দিয়েছেন।মশলা গুলোও নুডলস এর গায়ে লাগেই নি ঠিকমত।" দাদার উত্তর "সব কিছুরই দাম বেশি"। আমি বুঝলাম না দাম বেশির সাথে স্বাদের কম বেশি হবার সম্পর্ক কি? এরপর বিল দেবার সময়ে দেখলাম দাম আগের থেকে ২০টাকা বেড়ে গেছে। তাইলে এখানে স্বাদ কমে যাবার কারন টা কি? যাই হোক। মনে মনে ভেবে নিলাম আর না এত টাকা খরচ করে এই বিস্বাদ জিনিস খাবার কোন মানেই হয়না। এরপরে সবাই মিলে বাড়ি চলে আসলাম।

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

banner-NEW.png
break2.jpg
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
break2.jpg

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

ভাই বোনের ঘোরাঘুরি দেখে বেশ ভালো লাগল। আসলে ভাইয়া অনেক সময় অনেকে না জেনে এভাবে সেলসম্যান মনে করে থাকে। সব কিছুই ভালো ভালো ছিল তবে নুডুলস এর কথা শোনে সত্যি অনেক খারাপ লাগল। আসলে দাম বাড়ার সাথে সাথে দোকানদাররা খাবারের মানে বাজে করে দিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 95505.15
ETH 2783.12
SBD 0.67