আমার বাংলা ব্লগের জন্মদিন পালন||পর্ব-১
আমার বাংলা ব্লগ কে যদি আমরা টেকনিক্যালি দেখি তবে এটি স্টিমিট এর অনেক গুলো কমিউনিটর মাঝে একটি কমিউনিটি।যা শুধু একটা সার্ভার এর সম্মুখ ভাগ মাত্র।যেটা কোন সার্ভার স্টোরেজ এ জমা হয়ে আছে। কিন্তু সব কিছু তো টেকনিক্যালি আর হয়না।অনেক সময় অনেক জিনিস এর সাথে আমাদের আবেগ,ভালবাসা স্মৃতি এমনভাবে জড়িয়ে যায় যে সেটি আমাদের কাছে বিশেষ হয়ে ওঠে।যেমন:বাচ্চাদের পুতুল।বাচ্চাটি জানে পুতুল তার সাথে কথা বলে না,তার দেওয়া খাবার খায়না।
কিন্তু এরপরেও পুতুলটি কিন্তু বাচ্চাটির প্রিয় বন্ধু,সব সময়ের সাথি।তেমনি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি জ্যান্ত মানুষ না হলেও আমাদের বাস্তব জীবনের প্রতিটি মুহুর্তের সাথে মিশে গেছে।আমাদের মাঝে উপস্থিত না থেকেও হয়ে গেছে আমাদের পরিবারের সদস্য আর শুধু সদস্য নয় হয়ে উঠেছে পরিবারের সব থেকে প্রিয় সদস্য। আর সেই প্রিয় সদস্যর জন্মদিন, মানে পরিবারের সবার জন্যই অনেক খুশির দিন,আর খুশির দিনকে ভালভাবে সেলিব্রেট না করলে কি হয়?
তাই আমি বৃষ্টিচাকি কাকিমা,হিরা ভাবি ও রিতু আমিন আন্টি মিলে কয়েকদিন থেকেই পরিকল্পনা করছিলাম কিভাবে এই বিশেষ দিনটিকে সেলিব্রেট করে আরো বিশেষ করে তোলা যায়। তখন অনেক পরিকল্পনার পর ঠিক করা হয় সবাই মিলে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাব৷ সেখানে সাথে নিয়ে যাব কেক আর খাবার।তারপর সেখানে ঘোরাঘুরি কেক কাটা ও খাওয়া দাওয়া শেষে বাড়ি ফিরে এসে হ্যাং আউটে জয়েন করব।
কিন্তু বাগড়া দিল পরীক্ষা।হঠাৎ করে আমার প্র্যাকক্টিক্যাল পরীক্ষা উপলক্ষ্যে ট্রায়াল ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।সেজন্য আমার পক্ষে বাইরে যাওয়া সম্ভব ছিল না। আমি যেতে পারব না দেখে বাকি সবাই এই পরিকল্পনা বাদ দেয়। তখন নতুন ভাবে পরিকল্পনা করা হয় যে কেক কাটা খাওয়াদাওয়া আগের মতই থাকব শুধু বাইরে যাবার পরিবর্তে বাড়িতেই সব করা হবে।আর সব কিছু ম্যানেজ করা আর কেনাকাটার দায়িত্ব দেওয়া হয় আমার উপর। যেহেতু পরের দিন থেকে আমার পরীক্ষা তাই সেদিন ই বের হয়ে পড়লাম।
বিশেষ দিনের খাবারদাবার বিশেষ না হলে চলে? তাই চলে গেলাম এলাকার বেস্ট বিরিয়ানির দোকানে।এটা আমার পরিচিত এক বড় ভাইয়ের দোকান।এদের বিরিয়ানি এলাকা বিখ্যাত।তাই বিক্রিও হয় প্রচুর, তাই যাতে সমস্যা না হয় তাই আগে আগেই অর্ডার দিয়ে আসলাম।এখন যে জিনিসটা প্রয়োজন সেটা হল কেক।কেক নিয়ে ভাবনা অতটা ছিল না। কারন বেস্ট কেক কই পাওয়া যাবে তা জানতাম।আর ডিজাইন ও করে নেওয়া যাবে নিজের ইচ্ছামত৷ তাই দ্বতীয়বার না ভেবেই চলে গেলাম কেক এন্ড বেক এ।আমি সব সময় কেক এখানে থেকেই নিয়ে থাকি৷
আমার ইচ্ছা ছিল কেকের উপর আমার বাংলা ব্লগের লোগো টা বসিয়ে নেওয়ার। গিয়ে ভাইয়া কে বলতেই ভাইয়া আশ্বাস দিলেন আমার পছন্দ মতই সব হয়ে যাবে। এটা শুনে নিশ্চিন্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসলাম।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
দেখেছি, প্রিয় কমিউনিটির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আপনার অনেক মজাই করেছেন। তাও আবার আমাদেরকে বাদ দিয়ে। কি আর করব! আমিও প্রিয় কমিউনিটি কে নিয়ে একটি ভিডিও কাভার তৈরি করে নিয়েছি। বেশ সুন্দরভাবে আপনারা কমিউনিটির বর্ষপতি উদযাপন করলেন।
আপনিও চলে আসতেন। পরিবার এর সদস্যদের কি আলাদা করে দাওয়াত করতে হয় নাকি? ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কেক এন্ড বেক এর কেক সবসময়ই সেরা। তারপর আবার আমার বাংলার ব্লগের লোগো তৈরি করে দিতে পেরেছে দেখে খুবই ভাল লেগেছে।এই লোগোটির কারণে কেকের সৌন্দর্য আরো দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছে।বেস্ট দোকানের বেস্ট বিরিয়ানিটাও আসলেই বেস্ট ছিলো।পরবর্তী গল্পে অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
হ্যা কাকিমা লোগোটিই কেক এর আসল সৌন্দর্য। ধন্যবাদ কাকিমা।
আপনারা সবাই খুব আনন্দ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও এক্সামের কারনে তা বাতিল করে সেরা দোকানের সেরা কেক ও বিরিয়ানি নিয়ে বাসায় এলেন। আর সবাই মিলে আনব্দ উপভোগ করলেন।আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আপনার ব্লগটি পড়ে অনেক ভাল লাগলো । বৃষ্টিচাকি কাকিমা,হিরা ভাবি ও রিতু আমিন আন্টি সবাই তাহলে আপনার এলাকার। সবাই মিলে মজা করেই কেক কাটলেন। ভাইয়া কেকটি খুবই খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।