অবশেষে অস্থিরতার অবসান
যে জিনিসগুলোর মাধ্যমে আমার জীবিকার ব্যবস্থা হয় সেগুলোর জন্য যদি চুল পরিমান ত্রুটি হয় তখন মন মেজাজ অনেকটাই অস্থির হয়ে যায়। যেমনটা হয়েছিল আজ বিকেল বেলা। বিগত কয়েক দিন থেকেই ল্যাপটপটা কেন জানি বেশ ধীরে কাজ করছিল, তেমন একটা কাজ করে শান্তি পাচ্ছিলাম না।
ভেবেছিলাম খুব শীঘ্রই নতুন করে উইন্ডোজ দিয়ে নেব। তবে সেই চিন্তাভাবনা যে আজকেই বাস্তবে পরিণত হবে, তা হঠাৎই বুঝে উঠতে পারিনি। বিকালের পরে ল্যাপটপটা ওপেন করে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে চাচ্ছিলাম, ঠিক সেই সময়ই দেখছিলাম ল্যাপটপ ওপেন হতে বেশ সময় নিচ্ছে এবং সবকিছু যেন খুবই ধীরে ধীরে কাজ করছে।
মানে এতটাই ধীরে ধীরে কাজ করছে যে, আমার সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজটা এই ধীর গতিতে করতে গেলে, কমপক্ষে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। যাইহোক আর দেরি না করে, দ্রুত সার্ভিস সেন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কেননা ল্যাপটপ যদি আজ ঠিক না হয়, তাহলে আমার মাথা ঠিক হবে না।
একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, যখন আপনি মানসিকভাবে অস্থিরতায় ভুগবেন তখন আপনার কাছে সবকিছুই যেন এলোমেলো লাগবে। বাসা থেকে বের হয়ে দেখি, রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। যদিও বিকাল বেলার সময় করে এত জ্যাম থাকে না, তবে আজ দেখি জ্যামের অবস্থা ভীষণ বেগতিক। তার মাঝেও কোনরকম কষ্ট করে একটা রিক্সায় চেপে, সার্ভিস সেন্টারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। তবে দ্রুত যাইতে চাইলেও যেন দ্রুত পৌঁছানো যাচ্ছে না, এই বাড়তি জ্যামের কারণে।
তারপরেও বড় বড় গাড়ির ফাঁক-ফোকর দিয়ে কোন রকমে রিক্সা ফাঁকা রাস্তায় গিয়ে উঠে, অবশেষে তার নিজ গতিতে চলতে থাকলো। দশ মিনিটের পথ আসতে আধা ঘন্টার বেশি সময় লেগে গিয়েছে। তবে সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে দেখি, যে লোকের কাছ থেকে আমি ল্যাপটপ সার্ভিস করিয়ে নেই, সেই ভদ্রলোক তার ব্যক্তিগত কাজে দোকানের বাহিরে আছে। মানে আমাকে এখানে আরও দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হবে। যেহেতু উপায় নেই, তাই বাধ্য হয়ে বসে থাকলাম।
তখনও যেন আমার অস্থিরতা কম ছিল না। পরে আমি, নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কেননা বারবার ভাবছিলাম অহেতুক অস্থির হয়ে লাভ নেই, যেহেতু এখানে সময় কিছুটা অপচয় হবেই, তাই চুপচাপ থাকাই শ্রেয়। অতঃপর নিজেকে কোন রকম সামলে নিয়ে, সার্ভিস সেন্টারে খানিকটা সময় বসে থাকতেই, ভদ্রলোকের আগমন। যাক, এবার কিছুটা যেন স্বস্তি ফিরে পেলাম।
দীর্ঘদিন পরে সার্ভিস সেন্টারের ভদ্রলোকটার সঙ্গে দেখা। শুরুতেই কিছুটা কুশল বিনিময় করে, অতঃপর আমার সমস্যার কথা তাকে জানালাম। সে আমাকে আশ্বস্ত করে বলল, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, আপনি আমাকে কিছুটা সময় দিন। মিনিট পঁচিশের ভিতরেই আমার ল্যাপটপের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেল এবং খেয়াল করলাম আগের মত সমস্যাগুলো আর নেই। যাইহোক অবশেষে সার্ভিস সেন্টারের পয়সা মিটিয়ে দ্রুত বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কেননা এখনো কাজ অনেক বাকি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1734848349411635308?t=rYOkfhOdHkOkEk1ZC5XLkg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, মানসিকভাবে ভালো না লাগলে কোনো কাজই ভালো লাগে না! সবকিছু যেন এলোমেলো হয়ে যায়। যাক, ফাইনালি আপনি ল্যাপটপ সার্ভিসিং করাতে পেরেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। তবে ভাইয়া ল্যাপটপে কি নিউ উইন্ডোজ সেটআপ করে দিয়েছে!
যে জিনিসগুলো আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি,সেগুলোতে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে মেজাজ একেবারেই খারাপ হয়ে যায় এবং সবকিছুই এলোমেলো লাগে। মোবাইল এবং ল্যাপটপ স্লো কাজ করলে ভীষণ বিরক্ত লাগে। যাইহোক জ্যামের কারণে সার্ভিস সেন্টারে যেতে দেরি হলেও, শেষপর্যন্ত ল্যাপটপ এর সমস্যার সমাধান হয়েছে, এতেই যেন স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া নিজের ব্যবহৃত জিনিষের প্রবলেম হলে সবারই মাথা খারাপ হয়ে যায়। আর যে জিনিষ আপনি তারাতারি করতে যাবেন সেখানে আরো বেশি দেরি হয়। দেখেন অন্য দিন রাস্তায় জ্যাম না থাকলেও আজকে আপনার রাস্তায় জ্যাম পড়লো। সার্ভিসে সেন্টারের ভদ্রলোকও দোকানের বাহিরে ছিল। কি মানুষিক টেনশনে ছিলেন। যায়হোক অবশেষে আপনার অস্থিরতার অবসান হয়েছে,জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।