সেদিনের সেই পড়ন্ত বেলার ঘটনা
আজকাল বৃষ্টি পড়ার কোন ঠিক ঠিকানা নেই , দেখা যাচ্ছে এইতো পড়ছে আবার এইতো আকাশ ভালো আছে আবার মুহূর্তেই পুরো আকাশ যেন কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে। প্রকৃতির পরিবর্তন বড়ই আশ্চর্য আর এই ব্যাপারটা বেশি পরিলক্ষিত হয় এই বর্ষাকালে এসে। তবে এতসবের মাঝেও বর্ষাকালে প্রকৃতি যেন তার নিজের মত করে সাজে।
এইতো সেদিন বিকেল বেলার দিকে গিয়েছিলাম নদীর ধারে। যাত্রাপথেই বারবার দেখছিলাম আকাশের অবস্থার পরিবর্তন। কখনো দেখা যাচ্ছে পরিস্কার আকাশ আবার কখনো আলো আঁধারের মিশ্রণ। এমনিতেই সেদিন সারাটা দিন বৃষ্টি হয়েছিল, সকাল থেকে গৃহবন্দী ছিলাম সারাদিন বাসার ভিতরে।
মূলত সেদিন নদীর ধারের এলাকায় যাওয়ার মূল কারণ ছিল গরুর দুধ খোঁজার জন্য বিশেষ করে যারা বাড়ি থেকেই গরুর দুধ সংগ্রহ করে শহরে নিয়ে আসে ঠিক তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। এক কথায় যারা গৃহস্থ মানুষ তাদের বাড়িতে। আজকাল গরুর দুধের প্রয়োজন হয় প্রতিনিয়ত বাসাতে হয়তো কেন প্রয়োজন হয় সেটা বুঝতেই পারছেন। আর শহরের বাজারে যারা দুধ বিক্রি করতে আসে তারা মূলত অনেক উচ্চ দরে বিক্রি করে। বলা যায় এখানেও একটা সিন্ডিকেট কাজ করে।
আমি মূলত গিয়েছিলাম একদম যারা বাড়িতেই দুধ বিক্রি করে তাদের কাছে। তাছাড়া শহরে থেকে যে দুধ কিনি সেটা নিয়েও অনেকটা সন্দেহ থাকে। সন্দেহের ব্যাপারটা আর নাই বলি। আমি মনে করি এমন ব্যাপার সম্পর্কে আপনাদের ধারণা আছে। লিটন ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় আমার অনেক আগে থেকেই হয়তো প্রতিদিন তার রিক্সাতেই এদিক সেদিক যাতায়াত করি বিধায় সেই জন্য।
বিগত দিন লিটন ভাইকে আমার দুধের প্রয়োজন এই ব্যাপারটা বলেছিলাম। আর তাছাড়া লিটন ভাই মূলত গ্রাম থেকে শহরে প্রতিনিয়ত আসে জীবিকার তাগিদে রিক্সা চালানোর জন্য। তখন লিটন ভাই আমাকে আশ্বস্ত করেছিল তাদের এলাকায় গিয়ে যদি দুধ কেনা যায় তাহলে স্বল্প দামে খাঁটি দুধ পাওয়া যাবে।
শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কাইয়াগঞ্জ নামক স্থানে নদীর তীরবর্তী এলাকায় লিটন ভাইয়ের বাড়ি। এখানকার মানুষের জীবন একদম কৃষি নির্ভর ও তারা গৃহপালিত প্রাণী লালন পালন করে থাকে বাড়িতে। আমরা যখন শহর থেকে রওনা দিয়েছিলাম তখনও আকাশের অবস্থা খুব একটা সুবিধার ছিল না, তারপরেও রওনা দিয়েছিলাম। কারণ দুধ আমার প্রয়োজন।
তবে ভাগ্য ভালো যাত্রাপথে আকাশের এই রূপ থাকলেও যখন আমরা নদীর ধারে গিয়ে পৌঁছেছি তখন একদম আকাশ পরিষ্কার ছিল মোটামুটি নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছিল। বোঝার উপায় নেই যে একটু আগেই এই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছিল। প্রকৃতি যে মুহূর্তে মুহূর্তে পরিবর্তন হয় বর্ষার কালের আকাশ সেটা যেন প্রতিনিয়ত সাক্ষী বয়ে বেড়ায়।
যে কাজের জন্য এখানে এসেছি, খুব দেখেশুনে যত্নসহকারে নিজ দায়িত্বে লিটন ভাইয়ের পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকের সঙ্গে পরিচিত হয়ে নিলাম এবং তার মুঠোফোনের নাম্বার সংগ্রহ করলাম। তাকে বললাম, আপনার দুধ যদি ভালো হয়, তাহলে পরবর্তীতে আমি আবারও আসবো এবং দুধ সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে। ভদ্রলোক আমার এই কথাটা শুনে অনেকটাই আশ্বস্ত করলো এবং বললো চিন্তা করতে হবে না, আপনি নিশ্চিন্তে বাসায় যেতে পারেন।
আকাশের ফটোগুলো তুলেছিলাম সেদিনই। তাই আজ যখন লেখাটা লিখছিলাম, সেদিনের পুরো ঘটনাটাই ভাগ করে নিলাম আপনাদের সঙ্গে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1679463937543401472?t=hlDKYMtbKrBYDPy13DLxyQ&s=19
শহরাঞ্চলে গরুর খাঁটি দুধ পাওয়া ভীষণ মুশকিল। আসলে অনেক সময় আমরা বাধ্য হয়ে সেই দুধগুলো কিনে থাকি। আপনি অনেকটা কষ্ট করে এতটা দূর গিয়েছেন আশা করছি অবশ্যই ভালো দুধ পেয়েছেন। তবে বর্তমানে আকাশের অবস্থা বোঝা বড়ই মুশকিল। হঠাৎ করেই রোদ আর হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে ভাইয়া। আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে খুবই ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু আমি আমার চাওয়া পূর্ণ করতে পেরেছি। এটা ঠিক বলেছেন বর্ষাকালের আকাশ বোঝা বড্ড মুশকিল।