মুক্ত পরিবেশে কিছু সময়
দীর্ঘদিন পরে গ্রামে গিয়েছিলাম, এটা সম্ভবত আমি আগেই বলেছিলাম । তবে দীর্ঘদিন পরে যখন ভ্যানে চড়ে ঘোরাঘুরি করছিলাম, তখন একটা ভিন্ন রকম অনুভূতি কাজ করছিল । আসলে এটা মূলত গ্রামে আসাতেই সম্ভব হয়েছে । তাছাড়া ঠিক এইভাবে কখনও হয়ে ওঠে না ।
শেষবার যখন এসেছিলাম তখনও মান্নান কাকুকে ফোন করে ডেকে নিয়ে তার ভ্যানে চড়ে ঘুরে ছিলাম । এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি । তবে এবার আমার সঙ্গী ছিল মূলত আমার পরিবারের ছোট সদস্যরা ।
আমার সহধর্মিনীর চাচাতো ভাইদের ছেলেরা , হীরা ,আমার শালী, আমি ও বাবু । মূলত এই কয়জনই আমরা পুরো বিকেলটা ঘুরে বেড়িয়েছিলাম । বিকেলবেলা করে ঘুরে বেড়ানো আমার অনেকটাই নেশা । যেটা আপনারা অনেকেই জানেন । আর যেহেতু গ্রামে এসেছি আর মূলত পুরো সময়টা বাড়ির ভিতরেই ছিলাম, তাই বিকেল বেলার দিকে ইচ্ছা করেই, হীরাকে বললাম , তুমি কি বাহিরে ঘুরতে যেতে চাও । সে আমাকে বেশ ভালোভাবেই জানালো , এই সময়টা যদি বাহিরে একটু হালকা ঘোরাঘুরি করা যায়, তাহলে ভালোই হয় ।
মান্নান কাকুর সঙ্গে পরিচয় আমার অনেক আগে থেকেই । তার নাম্বারটা আমার ফোনে সেভ দিয়ে রাখা ছিল । কারণ এখানে আসলেই, আমার তাকে বেশ ভালোই প্রয়োজন পড়ে । আর তাছাড়াও ভদ্রলোক বেশ আন্তরিক । কারণ গ্রামের এই মেঠো পথ দিয়ে , সে আমাকে এই গ্রামের বাজারে নিয়ে যাওয়া এবং আমার নিজের কাজ শেষে, সে আমাকে আবারও বাড়িতে রেখে যাওয়া, এই দায়িত্বটা সে অনেক আগে থেকেই করেছিল । কারণ এই গ্রামে আমি একটা সময় দীর্ঘ দেড় বছরের মতো ছিলাম ।
চাইলেই কি আর অতীত ভুলে থাকা যায় । আজ যখন টানা কয়েক মাস শহরে থাকার পরে বেশ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি , তারপর ইচ্ছে করেই এই গ্রামে আবারো বেড়াতে এসেছি । যাইহোক এখন যখন আমি গল্প লিখছি তখন কিন্তু আমি শহরে বসেই লিখছি । কারণ আমি বিগত সময়ে বলেছিলাম, এখানে যে কয়দিন থাকব , অবশ্যই এখান থেকে কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে যাব সেই কংক্রিটের শহরে ।
এই মাঝরাতে যখন ছবিগুলো দেখছি আর ভাবছি, স্বল্প সময়ের জন্য হলেও মুহূর্তটা বেশ মনে পড়ছিল। অনেকটা মানসিক ভাবে প্রশান্তি পেয়েছিলাম নিজের ভেতরে । কারণ দীর্ঘদিন পরে সবুজ প্রকৃতির মাঝে , সেই গ্রামীন মেঠো পথ এবং গ্রামের সেই সরু পাকা রাস্তা দিয়ে যখন আমাদের ভ্যান গাড়িটা চলছিল , তখন যেন ভিন্ন রকম একটা অনুভূতি কাজ করছিল।
এটা সত্য যে , আমি শহরেও প্রতিনিয়ত বিকেলবেলা করে বাবুকে নিয়ে রিক্সায় চড়ে ঘুরি । তবে সেটা অনেক কোলাহল যুক্ত পরিবেশে । সেদিক থেকে চিন্তা করলে , মান্নান কাকু বেশ ভালোভাবেই আমাকে এই প্রকৃতির মাঝ দিয়ে এদিক সেদিক ঘন্টাখানেক বেশ ভালোভাবেই ঘুরে নিয়ে বেরিয়েছে । গ্রামের বাজারে তো দাঁড়িয়ে আমরা একসঙ্গে টুকটাক কিছু খাবারও খেয়েছি ।
দীর্ঘ দুই থেকে তিন মাস পর সম্ভবত এবার গ্রামে এসেছিলাম । এই যে দুই-তিন দিন এখানে ছিলাম আমার কাছে সেই শহরে জীবনের যান্ত্রিক কোলাহল যুক্ত শব্দ এখানে কোনোভাবেই পাই নি ।বেশ সহজ সরল একটা প্রাণবন্ত সময় কাটালাম । এক কথায় অনেকটা সবুজের মাঝে ছিলাম । যেদিকেই তাকাই সেদিকেই যেন সবুজের সমারোহ ।
যেহেতু পরিবারের ছোট সদস্যদের কে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে বেড়িয়েছিলাম , তারাও বেশ ভালোই আনন্দিত হয়েছিল । আর সর্বোপরি যদি বলি, এখান থেকে আমি কি পেলাম । তাহলে মনে হয় , এক কথায় আমি বলে দেবো। সেটা মানসিক প্রশান্তি পেয়েছি । যেটা আমি শহরে থাকলে খুব একটা বেশি পাই না ।
আমি মনেকরি কর্মব্যস্ত জীবনে , মাঝে মাঝে যদি এরকম হঠাৎ করে গ্রামীণ পরিবেশে গিয়ে নিজের মতো করে কিছুটা সময় কাটানো যায়, এতে আর যাইহোক, অন্তত মানসিক অবসাদটা কিছুটা দূর হয়ে যায় ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
আসলে মানসিক প্রশান্তি সব জায়গায় পাওয়া যায় না। গ্রামে গেলে সত্যিই অনেক মানসিক প্রশান্তি আসে। তবে ভ্যান গাড়িতে উঠার অভিজ্ঞতা আমার শুধুমাত্র একবারই হয়েছিল। আমি যখন রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম তখন সেখানে গিয়ে দেখি ভ্যান গাড়ি ছাড়া আর তেমন কিছুই পাওয়া যায় না। প্রথমবার ভ্যান গাড়িতে উঠতে বেশ ভয় লাগছিল। যাই হোক সেই অভিজ্ঞতা আজও মনে পড়ে। তবে ভাইয়া আপনি আপনার পরিবারের ছোট সদস্যদের কে নিয়ে গ্রামীন পরিবেশে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। আর আপু এবং আপনাকে সত্যি দারুণ লাগছে। একেবারে পারফেক্ট কাপল।👌👌
আসলে আমি আপু ছোট বেলা থেকেই গ্রামে বড় হয়েছি , যার কারণে ভ্যানে চড়ে ঘোরাঘুরি করাতে বেশ পারদর্শী । তবে এইটা সত্য গ্রামে গিয়ে বেশ মানসিক প্রশান্তি পেয়েছি ।
গ্রাম্য পরিবেশে গিয়ে সেরা মুহূর্তটা পার করেছেন ।সত্যিই সবুজ শ্যামল পরিবেশ মুক্ত হওয়া সত্যিই অনেক উপভোগ্য হয়ে থাকে। ভাইয়া আপনার এবং ভাবির একসাথে দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া ছোট্ট বাবুদের হাসিমুখ গুলো সত্যিই অনেক কিউট ।আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
পরিবারসহ গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ অন্যরকম। নাড়ীর টান অনুভব করি। যদিও গ্রামের অনেক চেঞ্জ এসেছে তার পরেও শহরের থেকে কোলাহল মুক্ত। আর ভ্যানে চড়ার মজাই আলাদা। শুভ কামনা আপনার জন্য।
আজকে কি দেখছি শুভ দা ৷ পুরো সিনেমার শুটিং হচ্ছে না কি ৷ ভাবি আর আপনাকে যা লাগছে না ৷ এভাবেই আপনাদের ভালোবাসা অটুট থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা ৷ গ্রামের প্রকৃতি যেন এক নতুন রুপ ৷ আপনি অনেক দিন পর গ্রামে পরিবারের সকলে মিলে ৷ শায়ন বাবু তো বিরক্ত হচ্ছে মনে হয় ৷ নাকি রোদের ঝিলিক লাগছে ৷
যা হোক দাদা অনেক ভালো লাগলো ৷
শুটিং আর হইলো কোথায় রে ভাই । বয়স তো বেড়েই যাচ্ছে । তোমার মন্তব্য বেশ ভালোই লেগেছে ।
বয়সে কি আসে যায় ৷ মন তো সবসময় ১৬ বছরে থেকে যায় ৷
ঠিক বলেছেন ভাই শহরে অনেকদিন থাকার পর গ্রামে গেলে আসলে মনের ভিতর অনেক প্রশান্তি পাওয়া যায়। আমি সেটা কিছুদিন আগেই বুঝেছি। আর গ্রামের মুক্ত পরিবেশে বিকালে হাঁটাহাঁটি করতে আসলে অনেক ভালো লাগে। আপনার মুহূর্তগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ভাইয়া আপনি সত্যি ই খুব রোমান্টিক মানুষ। 🥰 সবাইকে খুব প্রানবন্ত লাগছে। ভাইয়া সায়ানকে খালি পায়ে মাটিতে হাঁটাবেন।সবাইকে নিয়ে সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন সত্যি দেখে ভাল লাগলো। 😍খুব সুন্দর সময় কাটান।সবার জন্য রইল অবিরাম ভালবাসা। 💞💞💞
কার না ভালো লাগে শহরের কোলাহল থেকে একটু বিশ্রাম নিয়ে গ্রামের সবুজ শায়রে হারিয়ে যেতে!
সময় যে খুব ভালো কেটেছিল তা বুঝতে আর বাকি নেই।সবকিছুর বাহিরে গিয়ে নিজেকে এমন সময় দেওয়াটা প্রয়োজন।
সবার জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা❤️
মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন আপনারা। ছবিতে প্রত্যেকে চাতক পাখির মত চেয়ে আছে যেন ছবির ভেতর থেকে নির্বাক কোন ভাষা আমাকে বলে দিচ্ছে আপনাদের ভিতরের আনন্দ গুলো। গ্রামীন পরিবেশের এমন সৌন্দর্য শুধুমাত্র যারা উপলব্ধি করতে পারে তারাই বুঝতে পারে কতটা সুন্দর। ব্যস্ত জীবনে এবং ইট কংক্রিটের শহরে এর উপলব্ধি বুঝা মুশকিল। ভ্যানে চড়তে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। হীরা আপু আর অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বেশ আনন্দের সময় কাটিয়েছেন গ্রামে।
আহা কি দৃশ্য সবই ঠিকঠাক ছিল শুধু মনে হয় একটু মিউজিকের কমতি। ভাবি আর আপনাকে প্রথম দৃশ্যে চমৎকার লাগছে। প্রত্যাশা করছি এভাবেই আপনাদের বন্ধন অটুট থাকুক চিরকাল।
আসলে অনেকদিন পর গ্রামে গিয়ে গ্রামের চারপাশে বিকালে ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। আমার দাদা বাড়ি এলাকায় গ্রামগুলোতে দু তিন বছর আগেও যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল ভ্যান। আমার কিন্তু বেশ মজাই লাগতো ভ্যানে করে ঘুরতে। অনেকদিন ওঠা হয় না, আপনাদের দেখে খুব ইচ্ছা করছে ভ্যান গাড়িতে উঠতে। আপনাদের দেখে বুঝতে পারছি অনেক মজা করেছেন এবার গ্রামে গিয়ে। কিন্তু শায়ান বাবুর দেখছি মুড অফ মুখে হাসি নাই।
হাহাহা , বেশ হাসালেন ভাই । তবে যাই বলুন ভ্যানে চড়ে ঘোরাঘুরির মজাই আলাদা ।
তারমানে গ্রামের মুক্ত পরিবেশে নিজেকে এবং ভাবিকে ও সপরিবারকে বিলিয়ে দিয়েছেন এবং বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন দেখছি। আসলে বিকেল বেলায় একটু বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে ভিন্ন রকম মজা লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।