চাচাতো ভাইয়ের বাগান থেকে লিচু কেনার মহূর্ত
"হ্যালো",
সত্যি বলতে এখন একটু বেশি ভালো আছি। কারণ হঠাৎই দু দিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি। ব্যক্তিগত কাজগুলো সেরে আমি চলে গিয়েছিলাম কিছু ফলমূল কিনতে। আমি প্রত্যেক বছরই এই কাজটা করি। গ্রামে আসছি আর এই সিজন আসলেই ফরমালিনমুক্ত আম এবং লিচু আমাকে কিনতেই হবে। আজকে গিয়েছিলাম আমার চাচাতো ভাইয়ের লিচুর বাগানে লিচু কিনতে।আর সেই মুহূর্তটাই আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
ঠিক করেছিলাম গতকাল যাওয়ার জন্য কিন্তু গতকাল বিকেল বেলা থেকে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে এবং প্রায় সারা রাতই বৃষ্টি হয়েছে যেন থামার কোন নামই ছিল না। এজন্য আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আর পরশুদিন যেহেতু আমরা এখান থেকে চলে যাব তাই ভাবছিলাম যে আজকে বিকেল বেলায় বাগানে গিয়ে লিচু আনব। দুপুরবেলায় বাসায় কিছু কাজ ছিল যেহেতু এখন কাটামাটি শুরু হয়ে গেছে তাই মাকে একটু সাহায্য করে গোসল করে খাওয়া দাওয়া সেরে বিকেলবেলা আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম লিচুর বাগানের উদ্দেশ্যে।
বাগানটি ছিল আমার বড় চাচার ছেলের এবং তারা বাজারে গিয়ে বাড়ি করেছে এজন্য আমাদের গ্রাম থেকে একটু দূরে যেতে হয়েছিল। আসলে আমি ফলমূল গুলো বাজার থেকে কিনে খেতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি না। আমি আমার ছেলেকে এজন্য সব সময় ন্যাচারাল খাবার গুলো দেওয়ার চেষ্টা করি। সত্যি বলতে ওকে আমি ফলমূল খুব বেঁছে খাওয়াই। এরপর আমরা সেখানে গিয়ে পুরো বাগানটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম এবং সেখানকার ফরমালিনমুক্ত কিছু ফলো খেলাম। আমার ছেলে যে কি পরিমান খুশি হয়েছিল সেটা আপনারা ভিডিওগ্রাফিতে এবং ওর ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন।
এরপর এখন ঘোরাঘুরি করার পর আমার বড় ভাইয়ের অনেক কিছুর ফার্ম আছে সেখানে সেগুলো দেখাশুনা করার পর আমরা প্রয়োজনমতো লিচু কিনে নিয়েছিলাম। এছাড়াও অনেকগুলো লিচু আমার বড় ভাই আমাদেরকে দিয়েছেন। তবে প্রত্যেকবারের থেকে এবারে লিচুর দাম একটু বেশি ছিল। আমি মনে করি বাজার থেকে কিনে খাওয়ার থেকে আমি এখানে নিয়ে বেশ ভালো করেছি।
ভিডিও দেখতে নিচে ক্লিক করুন।
তো তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে আমরা চলে এসেছিলাম। আমাদের ওখান থেকে আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। বাসায় এসে আবার লিচুগুলো আমি ভাগাভাগি করেছিলাম। কেননা আমার শাশুড়ি মাকে দিতে হবে, বাবার বাড়িতে দিয়ে যাবো আবার বাসার জন্য নিয়ে যাব।
আমার লিচুর বাগানে গিয়ে নিজ হাতে লিচু নিয়ে আসার মহূর্ত।আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। সুতরাং আপনাদের সুন্দর মন্তব্য আশা করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
আপু ফলের মধ্যে আম আর লিচু আমার পছন্দের ফল। আপনার ফল বাগান থেকে লিচু কেনার মুহূর্ত পড়ে খুব ইচ্ছা করছে লিচু বাগান থেকে ঘুরে আসি। বাগানে গিয়ে নিজের হাতে পেড়ে ফল খাওয়ার মজাই আলাদা। সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মত আমারও আম এবং লিচু ভীষণ পছন্দের। আর সত্যি বলতে নিজের হাতে যে কোন ফল বা যে কোন জিনিস পেড়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি আমার আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন চাচাতো ভাইয়ের বাগান থেকে লিচু কেনার মুহূর্ত। আসলে পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। লিচু বাগানে লিচু কেনার সময় আপনি আপনার ছেলের সাথে ফেসবুকে একটা ব্লগিং শেয়ার করেছিলেন সেটা দেখতে আরো বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পুরো পোস্টটি পড়ে এবং ভিডিওগ্রাফি দেখার পর অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিকই বলছেন আপু এভাবে যদি সরাসরি গাছ থেকে ফল গুলো নেওয়া যায় তাহলে অনেক ভালো। বাজারের গুলো তো অবশ্যই ফরমালিন দেওয়া থাকে তাই যতটুকু সম্ভব না কিনলে ভালো হয় যদি সুযোগ সুবিধা থাকে। গ্রামে গেলে অনেক ভালো লাগে কারণ গ্রামের জিনিস গুলো একদম ফ্রেশ খাবার। চাচাতো ভাইয়ের বাগান থেকে খুব সুন্দর ফ্রেশ লিচু নিলেন। লিচু গুলো অনেক ফ্রেশ ছিল দেখে তো লোভ লেগে গেছে।
জ্বী আপু একদম সরাসরি গাছ থেকে পেড়ে দিয়েছিল। যার কারণে আমার বেশি ভালো লেগেছে। আর আমি প্রতি বছর এটাই করে থাকি। আমি বাজার থেকে খুব কমই ফরমালিন দেওয়া ফলমূল গুলো কিনে থাকি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।